সবচেয়ে সহজে কাঁচা আমের আচার তৈরি করার পদ্ধতি
বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির যুগে সারাবছরই আমের আচার পাওয়া যায়। কিন্তু গরমকাল পড়লেই বা আমের মৌসুম শুরু হলেই বাড়িতে বাড়িতে তৈরি করা হয় আচার, চাটনি, জেলি থেকে আমসত্ত্ব। আজ দেখে নিন কীভাবে বাড়িতে খুব সহজেই তৈরি করে ফেলবেন কাঁচা আমের আচার।
আমের আচার অত্যন্ত সুস্বাদু, মলশাদার হয়। আর তৈরি করাও খুব সহজ। ভাত, ডাল, রুটির সঙ্গেও দিব্যি খাওয়া যায়। আর অন্যান্য খাবারের স্বাদও বৃদ্ধি করে। আমের আচার তৈরি করার জন্য প্রথমে কাঁচা আমগুলি একটি পাত্রে ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে। এবার ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে তাতে এক চামচ লবন মিশিয়ে আলাদা করে রাখুন। অন্তত ঘণ্টা তিনেক রেখে দিতে হবে এভাবেই।
লবন মাখিয়ে আমের টুকরো রেখে দেওয়ার পর দেখতে পাবেন তা থেকে পানি বেরিয়েছে। এবার সেই পানি ছেঁকে ফেলে দিন। এবার আস্ত সরষে, মৌরি, মেথি, জিরে মিক্সিতে ভালো করে বেটে নিন। সমস্ত মশলা ভালো করে বাটা হলে আলাদা করে রাখুন।
এবার একটি কাচের পাত্রে আমের টুকরোগুলি নিন। মুখ বন্ধ কোনও জার হলে সবথেকে ভালো হয়। এবার সেই পাত্রে আমের টুকরোগুলি দিয়ে তার মধ্যে বেটে রাখা মশলা, রসুন বাটা, আদা বাটা, লাল মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, অল্প চিনি, লবন, সরষের তেল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
কাচের জারের মধ্যে আমসহ সমস্ত উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে মুখ বন্ধ করে দিন। অন্তত টানা ৭ দিন জারটিকে রোদের মধ্যে রাখতে হবে। ৭ দিন রোদে রাখার পর দেখবেন আপনার আমের আচার একেবারে তৈরি হয়ে গিয়েছে। মনে রাখবেন প্রতিদিন রোদে দেওয়ার সময় একবার করে নাড়াচাড়া করে দিতে ভুলবেন না।
এবার আচারের বয়ামটিকে অন্ধকার ও ঠান্ডা জায়গায় রাখুন। সঠিকভাবে রাখলে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে আচার। ফ্রিজেও সঠিকভাবে আচার রাখতে পারেন। তাতে ১ বছরও আচার ভালো থাকতে পারে।
সোর্স ঃ এখানে
বাড়ীর ছাদে সহজ পদ্ধতিতে সব্জী চাষ
বর্ধিত জনসংখ্যার চাপ সামাল দিতে ভার্টিক্যাল (লম্বালম্বী) চাষাবাদের দিকে ঝুকছে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব। তাই দেশের বিজ্ঞানীরা হরাইজন্টাল (সমান্তরাল) চাষাবাদের পাশাপাশি নতুন ওই চাষাবাদের জনপ্রিয়তা বাড়াতে পরামর্শ দিচ্ছেন সরকারকে। এক্ষেত্রে বাড়ির ছাদ উপযুক্ত স্থান। ইতিমধ্যেই গবেষকরা বাড়ির ছাদে সবজি চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি উদ্ভাবণ করলেও একইসাথে মাছ-সবজির সমন্বিত চাষের কথা কেউ ভাবেননি আগে। জিরো কস্ট বা প্রায় বিনা খরচেই এমনি এক পদ্ধতির বাস্তব দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড.এম এ সালাম।
দীর্ঘ ২০ বছরের অভিজ্ঞতা ও লন্ডন-নিউয়র্কের মত উন্নত শহরে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তিনি সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে উদ্ভাবণ করেছেন পরিবেশ বান্ধব একোয়াপনিক্সের মাধ্যমে মাছ ও সবজির সমন্বিত চাষ পদ্ধতি এবং উৎপাদনও পেয়েছেন প্রায় তিনগুন। একোয়াপনিক্স হচ্ছে হাইড্রোপনিক্স ও একোয়াকালচারের সমন্বয়ে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি যেখানে মাছ ও সবজির সমন্বিত চাষ করা যায়। প্রয়োজন পড়ে না কোনো মাটির। অল্প জায়গায় শুধুমাত্র সামান্য পানি ব্যবহার করে একইসাথে প্রচুর শাক-সবজি ও মাছ উৎপাদন করা যায়। এই পদ্ধতি খড়া ও উপকূলীয় লবনাক্ত অঞ্চলের জন্য খুবই উপযোগী কারন এতে প্রায় ৯৭ শতাংশ পানি কম লাগে।
মাছ চাষের জন্য ব্যবহৃত ট্যাঙ্কের অ্যামোনিয়া সমৃদ্ধ পানি গাছের শিকড়ে অবস্থিত ডি-নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া ভেঙ্গে গাছের খাদ্য উপযোগী নাইট্রেটে পরিনত করে ফলে গাছের জন্য আলাদা কোনো খাবার বা সারের প্রয়োজন হয় না। অপরদিকে গাছ মাছের ট্যাঙ্কের পানিকে দূষণমুক্ত করে পুনরায় মাছের ট্যাঙ্কে ব্যবহার উপযোগী করে তোলে ফলে মাছের উৎপদানও বেড়ে যায় অনেক। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র মাছের খাবার সরবরাহ করা প্রয়োজন পড়ে। তবে কেউ ইচ্ছা করলে বিনা খরচেই সেই খাবারও তৈরি করতে পারে ঘরে বসে। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাড়ির ছাদে কাজ শুরু করেন ড. সালাম। এলক্ষ্যে এক টনের একটি প্লাষ্টিকের ট্যাঙ্কে ৮০০ লিটার পানিতে ৬০টি তেলাপিয়া ছাড়েন তিনি। পাশাপাশি সাড়ে পাচ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট একটি কাঠের আলনা তৈরী করে তাতে তিন সারিতে মোট ৩৬ টি প্লাস্টিকের পানির বোতল যুক্ত করেন। বোতলগুলির তলার কাছাকাছি দুই পাশ দিয়ে কেটে জানালার মত রাখা হয়।
বোতলগুলিকে উল্টাটা করে ভিতরে একটু করা স্পঞ্জ দিয়ে তার উপর নুড়ি পাথর স্থাপন করে বোতল প্রতি দুটি করে গাছ লাগান। এতে একটি আলনায় ৩৬ টি বোতলে ৭২টি গাছ লাগানো সম্ভব হয়। এবার মাছের ট্যাঙ্কের পানি ৭ ফুট উঁচুতে একটি ৩০ লিটারের বালতিতে তুলে সেখান থেকে সাইফোন প্রক্রিয়ায় ফোটাফোটা করে উপরের ১২টি বোতলে পানি দেওয়া হয়। এই পানি পর্যায়ক্রমে উপর থেকে নিচে আরও দুটি বোতলের মধ্য দিয়ে গড়িয়ে একটি পাত্রে এসে জমা হয় যা পুনরায় মাছের ট্যাঙ্কে ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে প্রতি দিন ১৬-১৮ ঘন্টা পানি প্রবাহের প্রয়োজন। একোয়াপনিক্স পদ্ধতিতে সবজি চাষের জন্য কোন প্রকার সার বা মাটির প্রয়োজন হয় না। তবে মাছকে নিয়মিত খাদ্য সরবরাহ করতে হয়। বাজার থেকে কিনে মাছকে যাতে খাদ্য দিতে না হয় তার জন্য কালো সৈনিক (Black Soldier Fly) পোকার লার্ভার উৎপাদন প্রক্রিয়া উৎদ্ভাবন করেছেন তিনি যা মাছের খুব প্রিয় খাদ্য। এ পোকা পূর্ণবয়স্ক অবস্থায় মাত্র ৫-৮ দিন বাঁচে। পূর্ণবয়স্ক পোকার কোন মুখ থাকে না এবং এরা কোন রোগ জীবাণুর বাহক হিসাবেও কাজ করে না।
প্রাপ্ত বয়স্ক পোকা শুধুমাত্র প্রজননে অংশ গ্রহণ করে তার জীবন শেষ করে ফলে মানুষের জন্যও এটি ক্ষতিকর নয়। এই পোকার ডিম ও লার্ভা লালন-পালনের জন্য একটি বিশেষ চেম্বার তৈরী করে তার মাঝে রান্না ঘরের তরিতরকারীর খোসা ও গম পচা রেখে এই পোকাকে ডিম দেওয়ার জন্য আকৃষ্ঠ করা হয়। ফলে দলে দলে এই পোকা এসে এই চেম্বারে ডিম দেয়। ডিম থেকে লার্ভা বের হয়ে পচনশীল বর্জ্য খেয়ে বড় হয় এবং লার্ভা দশার শেষ পর্যায়ে চেম্বার হতে বের হয়ে কোকন অবস্থায় কিছুদিন থাকার পর পূর্ণাঙ্গ পোকাড় উদ্ভব হয়। এই পূর্ণাঙ্গ পোকাকে একটি মশারির সাহয্যে আটকে রেখে এদের বড় কলোণীর সৃষ্টি করা হয়েছে। এই কালো সৈনিক পোকার লার্ভা মাছের খুব প্রিয় খাদ্য যাতে ১৭-১৮ শতাংশ প্রোটিন, ১১ শতাংশ লিপিড এবং বিভিন্ন প্রকার খনিজ লবন রয়েছে যা মাছের দ্রুত বর্ধনে সাহায্য করে। খুব সহজের এই পদ্ধতি অবলম্বন করে গ্রাম বাংলার বেকার যুবক-যুবতীগণ সহজেই আত্নকর্ম সংস্থান করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তাছাড়া এই পদ্ধতিতে খুব কম খরচে বাড়ির আঙ্গিনায় মাছ ও শাকসবজির চাষ করে পারিবারিক প্রোটিনের চাহিদাও মিটানো সম্ভব। তাছাড়া এ পদ্ধতিতে কোনো রাসায়নিক সার বা কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না বলে এটি মানব দেহের জন্য সম্পূর্ণ ঝুকিমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব একটি পদ্ধতি। সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যদি আগ্রহী কৃষকদের সঠিক প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করে তবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন অধ্যাপক ড.এম এ সালাম।
তথ্যসূত্র : বিডি উদ্যোক্তা
শূন্য পুঁজিতে শুরু করা একজন সফল উদ্যোক্তা
ঘটনাটা ৩১ বছর আগের। এক তরুণী জীবিকার তাগিদে কাজ নেন পোশাক কারখানায়। মাননিয়ন্ত্রণকর্মী হিসেবে ৮০০ টাকা বেতনে চাকরি শুরু। কাজে যোগ দিয়ে কিছু সময় যেতেই নিজের ভেতরই যেন পরিবর্তনের ডাক পেলেন—এভাবে হবে না। এগোতে হলে শিখতে হবে মেশিনের কাজ। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ধরলেন মেশিন। কাজের দক্ষতায় পেতে থাকেন পদোন্নতি। এবার সচল হলো স্বপ্নও। পোক্ত হয়ে একসময় কাজ ছেড়ে নিজেই গড়লেন প্রতিষ্ঠান। শূন্য হাতে শুরু করে তিনি এখন সফল উদ্যোক্তা। তাঁর নাম বেবি হাসান। বিএস অ্যাপারেল নামের একটি বায়িং হাউসের কর্ণধার তিনি।
নিজের শ্রম ও মেধা দিয়ে সফল উদ্যোক্তাদের একজন হয়েছেন বেবি হাসান। তাঁর অধীনেই কাজ করছেন প্রায় অর্ধশত কর্মী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পোশাক রপ্তানির কাজ করে তাঁর প্রতিষ্ঠান। বছরে লেনদেন প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।
সফল ব্যবসায়ী হবেন, এমন কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করে কর্মজীবন শুরু করেননি বেবি। অনেকের মতো তাঁরও শুরুটা জীবিকার তাগিদেই। এসএসসি পাস করার পর পারিবারিক সিদ্ধান্তে ১৯৮১ সালে বিয়ে হয়ে যায় তাঁর। বিয়ের পরবর্তী বছর জন্ম নেয় কন্যাসন্তান। স্বামীর আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। তাই সংসারে কিছুটা স্বস্তি আনতে নিজেই চাকরি করার সিদ্ধান্ত নেন। শুরুতে পরিবারের কেউ উৎসাহ না দেখালেও পরে অবশ্য মেনে নিয়েছেন। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত পোশাক কারখানায় কাজ করেন বেবি। একসময় উৎপাদন পরিচালকের দায়িত্বও পান।
সে সময়গুলোর কথা উঠতেই বেবি হাসানের চেহারায় দৃঢ়তা। বললেন, ‘দিনে ১৪ ঘণ্টা করে কাজ করতাম। সকাল আটটায় কাজ শুরু হতো, ফিরতাম রাত ১০টার দিকে। কোনো দিন কাজে অবহেলা করিনি। শুরুতে অনেক দূর যেতে হবে এমন লক্ষ্য ছিল না, তবে যখন কাজটাকে ভালোবেসে ফেললাম, তখন স্থির করলাম একটা পর্যায়ে যেতে হবে।’
নব্বইয়ে দশকের মাঝামাঝি প্রতিষ্ঠান বদলে একটি বায়িং হাউসে যোগ দেন বেবি। পাশাপাশি টুকটাক এ–সংক্রান্ত ব্যবসাও শুরু করেন। ২০০০ সালে ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের একটি সংগঠনের সদস্য হন তিনি। হাতে তেমন নগদ টাকা ছিল না, তাই দ্বারস্থ হন ব্যাংকের। দুই লাখ টাকা ঋণ নিয়ে হালিশহর কে ব্লকে ‘বিতনু’ নামের একটি বুটিকের শোরুম খোলেন। ওই বছরই চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন উইম্যান এন্ট্রাপ্রেনিউরস অ্যাসোসিয়েশন (উই)। ওই সংগঠনের সদস্য হন বেবি। ২০০০ সালের শেষের দিকে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রায় ২০ জন অংশ নেন কলকাতার একটি কুটিরশিল্প মেলায়। সেখানে গিয়েই চোখ খুলে যায় তাঁর। তিনি বলেন, ‘ওই মেলায় গিয়েই ব্যবসা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারি। কী করে জানি সেদিনই ব্যবসার পোকা ঢুকে যায় মাথায়। মনস্থির করি, আমাকে ব্যবসায় সফল হতে হবে।’
২০০২ সালে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে একটি বায়িং হাউস দাঁড় করানো শুরু করেন। এরপর ২০০৯ সালে নিজেই প্রতিষ্ঠা করেন বিএস অ্যাপারেল নামের পৃথক বায়িং হাউস। বছর বছর এই প্রতিষ্ঠানের কলেবর বাড়ছে। মা বেবি হাসানের সঙ্গে ছেলে সালাহউদ্দিন চৌধুরীও সম্প্রতি ব্যবসায় যোগ দিয়েছেন।
প্রায় শূন্য থেকে আজকের অবস্থানে আসার কৃতিত্বের ভাগ বেবি হাসান দিতে চান আরও দুজন নারীকে। একজন তাঁর মা ফরিদা খাতুন, অন্যজন ব্যবসায়ী নেতা মনোয়ারা হাকিম আলী। ১৯৯৮ সালে অসুস্থতায় ভুগে বেবি হাসানের মা মারা যান। মেয়ের চূড়ান্ত সাফল্য মা দেখে যেতে পারেননি, এই কষ্টই এখন তাড়িয়ে বেড়ায় তাঁকে। বেবি হাসানের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে হলেও তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে।
চাকরির পাশাপাশি সংসারের দেখভাল করতে হয়েছে। ফলে অবসর বলে কিছু ছিল না। কিন্তু তাতে দুঃখ নেই বেবির। তিনি বলেন, চাকরি বা ব্যবসা মেয়েদের জন্য খুব কঠিন, এমনটি কখনো মনে হয়নি। চেষ্টা থাকলে যেকোনো নারীই ব্যবসা বা কর্মক্ষেত্রে সফল হতে পারবেন।’ এসব কথা যখন বলছিলেন, তখন বেবির মুখে সাফল্যর তৃপ্তির হাসি। বললেন, ‘পরিচিত কোনো মেয়ে যখন চাকরি করার কথা বলেন, আমি তাঁদের উৎসাহ দিই ব্যবসা করো। কারণ, আমাদের একটাই লক্ষ্য, চাকরি করব না, চাকরি দেব।’
সূত্র : প্রথম আলো
বাংলাদেশের সব ব্যাংকের লিস্ট একসাথে (ঠিকানাসহ)
Central Bank
Bangladesh Bank
Contact Person: Governor
Street: Bangladesh Bank, Head Office, 2nd Annex Building , Motijheel, Dhaka-1000.
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: 16236,
Fax: 88-02-9511771
Email: bb.cipc@bb.org.bd
Website: http://www.bangladesh-bank.org
State-owned Commercial Banks
Agrani Bank Limited
Contact Person: Managing Director
Street: 9D, Dilkusha Commercial Area, Dhaka-1000
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: +802 9566153-54 +8802 9566160-69,+8802 9566074-75
Fax: (+8802) 956 2346, 956 3662
Email: agrani@agranibank.org
Website: http://www.agranibank.org
Sonali Bank Limited (SBL)
Contact Person: Managing Director
Street: 35-42,44 Motijheel Commercial Area, Dhaka-1000, Bangladesh.
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: 88-02-9550426-31, 88-02-9550433, 88-02-9550434, 88-02-9552924
Fax: 88-02-9561410, 88-02-9552007
Email: sblch@sonalibank.net.bd
Website: http://www.sonalibank.com.bd
Rupali Bank Limited
Contact Person: Managing Director
Street: Head Office, Rupali Bhaban, 34 Dilkusha Commercial Area, Post Box Number:719 Dhaka-1000,Bangladesh.
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: 9551525, 9551624, 9551625, 9551840, 9552214, 9552746, 9555093, 9555094
Fax: 880-2-9564148
Email: info@rupalibank.org
Website: http://www.rupalibank.org
Janata Bank Limited
Contact Person: Managing Director
Street: 110, Motijheel Commercial Area, Dhaka - 1000, Bangladesh
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: 880-2- 9552078, 880-2- 9564640, 880-2- 9567477,880-2- 9566094, 880-2- 9565003, 880-2- 9566089, 880-2- 9560219,880-2- 9564375
Fax: 88-02-9564644
SWIFT: JANBBDDH
Email: jbcomp@janatabank-bd.com
Website: http://www.janatabank-bd.com
Private Commercial Banks
Uttara Bank Limited
Contact Person: Managing Director
Street: Uttara Bank Bhaban, 47, Bir Uttom Shahid Ashfaq-us-samad Road, (90, Motijheel Commercial Area), P.O. Box No# 217 & 818 ,Dhaka-1000, Bangladesh.
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: 880-2-9551162-3, 880-2-9553085-6, 880-2-9558656, 880-2-9566067-9, 880-2-9565732, 880-2-9568941
Fax: 880-2-7168376, 880-2-9572102, 880-2-9561392
SWIFT : UTBLBDDH
Email: ublidgen@uttarabank.com
Website: http://www.uttarabank-bd.com
Mutual Trust Bank Limited (MTBL)
Contact Person: Managing Director
Corporate Head Office, MTB Centre, 26 Gulshan Avenue, Plot 5, Block SE(D), Gulshan -1, Dhaka -1212
Postcode: 1212
City: Dhaka
Phone: 880 (2) 882 6966, 882 2429
Fax: 880 (2) 882 4303
SWIFT: MTBL BD DH
Email: info@mutualtrustbank.com
Website: http://www.mutualtrustbank.com
Dhaka Bank Limited
Contact Person: Managing Director
Street: Biman Bhaban (1st Floor). 100, Motijheel C/A, Dhaka - 1000, Bangladesh
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: +8802 9554514
Fax: +8802 9556584, +8802 95710130
Other Address:
SWIFT: DHBLBDDH
Email: info@dhakabank.com.bd
Website: http://www.dhakabankltd.com
Eastern Bank Limited
Contact Person: Managing Director
Street: 10, Dilkusha C/A ,Jiban Bima Bhaban, Dhaka - 1000, Bangladesh
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: + 88 02 9556360, + 88 02 9558392
Fax: + 88 02 9558392
Swift Code: EBLDBDDH
Email: info@ebl.com.bd
Dutch-Bangla Bank Limited (DBBL)
Contact Person: Managing Director
Street: Sena Kalyan Bhaban, 4th Floor 195 Motijheel Commercial Area Dhaka-1000, Bangladesh
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: (8802) 9574196-97
Fax: (8802) 9561889
DBBL Swift Code: DBBL BDDH
Email: info@dutchbanglabank.com
Website: http://www.dutchbanglabank.com
Pubali Bank Limited
Contact Person: Managing Director
Street: Head Office, 26 , Dilkusha Commercial Area, Dhaka - 1000, Bangladesh. G . P . O. Box. Number : 853.
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: 880-2-9551614
Fax: 880-2-9564009
SWIFT CODE : PUBABDDH
Email: info@pubalibankbd.com
Website: http://www.pubalibangla.com/
International Finance Investment and Commerce Bank Limited (IFIC Bank)
Contact Person: Managing Director
Street: BDBL Building (8th - 10th & 16th – 19th Floor) 8, Rajuk Avenue, G.P.O. Box – 2229, Dhaka-1000, Bangladesh
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: 880-2-9563020, 880-2-9562060, 880-2-9562062, 880-2-9562068
Fax: 880-2-9562015 880-2-7161644
Swift: IFICBDDH
Website : http://www.ificbank.com.bd/
National Bank Limited (NBL)
Contact Person: Managing Director
Street: 18 Dilkusha Commercial Area, Dhaka-1000, Bangladesh
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: 88-02-956-3081,88-02-966-6584
Fax: 88-02-956-3953, 88-02-966-9404
SWIFT :NBLBBDDH
Email: ho@nblbd.com
Website: http://www.nblbd.com
The City Bank Limited (CBL)
Contact Person: Managing Director
Street: City Bank Center, 136, Gulshan Avenue, Gulshan-2, Dhaka-1212, Bangladesh
Postcode: 1212
City: Dhaka
Phone: +8802-8813483, +8802-8814375, +8802-8813126
Fax: +8802- 9884446
Email: info@thecitybank.com.bd
Website: http://www.thecitybank.com.bd
National Credit and Commerce Bank Limited (NCC Bank)
Contact Person: Managing Director
Street: 7-8, Motijheel C/A, Dhaka - 1000, Bangladesh
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: 880 2 9561902-4, 880 2 9566283, 880 2 9563981-3
Fax: 880 2 9566290
Other Address:
Cable: NATCREDIT DHAKA
Telex: 642821 NCL BJ
Email: info@nccbank.com.bd
Website: http://www.nccbank.com.bd
Prime Bank Limited
Contact Person: Managing Director
Street: Adamjee Court Annex Building-2, 119-120, Motijheel C/A, Dhaka-1000, Bangladesh
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: 880-2-9567265, 880-2-9570747-8
Fax: 880-2-9567230, 880-2-9560977, 880-2-9566215, 880-2-9560960
SWIFT: PRBLBDDH
Email: info@primebank.com.bd
Website: http://www.primebank.com.bd
Mercantile Bank Limited (MBL)
Contact Person: Managing Director
Street: 61, Dilkusha Commercial Area, Dhaka-1000
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: +88-02-9559333, 9553892
Fax: +88-02-9561213
Swift: MBLBBDDH
Email: info@mblbd.com
Website: http://www.mblbd.com
Southeast Bank Limited (SBL)
Contact Person: Managing Director
Street: Eunoos Trade Center, 52-53, Dilkusha, C/A (Level - 2, 3, 4 & 16), Dhaka - 1000, Bangladesh
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: 88-02-9571115, 88-02-7160866, 88-02-9555466, 88-02-7173793
Fax: 88-02-9550093
SWIFT : SEBDBDDH
Email: info@southeastbank.com.bd
Website: http://www.southeastbank.com.bd
Standard Bank Limited (SBL)
Contact Person: Managing Director
Street: Metropolitan Chamber Building (3rd Floor) 122-124 , Motijheel C/A, Dhaka-1000, Bangladesh
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: 88-02-7175698, 88-02-7169134, 88-02-9558375
Fax: 880-2-7176367
Email: info@standardbankbd.com
Website: http://www.standardbankbd.com
ONE Bank Limited
Contact Person: Company Secretary
Street: HRC Bhaban (2bd -6th floors), 46 Kawran Bazar C/A, Dhaka-1215
Postcode: 1215
City: Dhaka
Phone: +8802 9137241, 9+8802 18161,+8802 9138361,+8802 8126173-6+8802 ,9564249
Fax: 880-2-9134794
Email: info@onebank.com.bd
Website: http://www.onebank.com.bd
Bangladesh Commerce Bank Limited (BCBL)
Contact Person: Managing Director
Street: Eunoos Trade Centre, (Level-22), 52-53, Dilkusha C/A ,Motijheel, Dhaka-1000
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: +8802 9571581,+8802 9559831-2, +8802 9563757
Fax: +880-2-9568218
Email: info@bcblbd.com
Website: http://www.bcblbd.com
Premier Bank Limited
Contact Person: Managing Director
Street: IQBAL CENTRE, 42 Kamal Ataturk Avenue, Banani, Dhaka-1213
Postcode: 1212
City: Dhaka
Phone: 880-2-9820844-8, 01711826047, 01711595718
Fax: 880-2-8815393, 880-2-9889153
Email: info@premierbankltd.com
Website: http://www.premierbankltd.com
Bank Asia Limited
Contact Person: Managing Director
Street: Rangs Tower(2nd to 6th Floor), 68,Purana Paltan, Dhaka-1000.
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: +8802- 7110042,+8802- 7110062,+8802- 7110147,+8802- 7110173,+8802- 7110177,+8802- 7110218
Fax: 88-02-7175524
Email: bankasia@bankasia.com.bd
Website: http://www.bankasia-bd.com
Trust Bank Limited (TBL)
Contact Person: Managing Director
Street: Peoples Insurance Bhaban, 36, Dilkusha C/A (2nd, 16th & 17th Floor), Dhaka-1000,Bangladesh
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: 880-2- 9570261, 880-2-9570263, 880-2-9572012-3,09678016201
Fax: 880-2-9572315
Email: info@trustbanklimited.com
Website: http://www.trustbank.com.bd
Jamuna Bank Limited (JBL)
Contact Person: Managing Director
Street: 2, Dilkusha C/A, Dhaka - 1000, Bangladesh.
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: +8802 9570912, +8802 9555141, Ext. 130
Fax: info@jamunabank.com.bd
Website: http://www.jamunabankbd.com
Arab Bangladesh Bank Limited (AB Bank)
Street: AB Bank Limited, BCIC Bhaban, 30-31 Dilkusha C/A, Dhaka 1000
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: +880-2-9560312
Fax: +880-2-9555098
Other Address:
CORPORATE OFFICE
BCIC Bhaban, 30-31 Dilkusha C/A
Dhaka 1000, Bangladesh
Phone: +88-02-9560312
Fax: +88-02-9564122, 23
SWIFT: ABBLBDDH
Email: info@abbank.com.bd
Email: info@abbank.com.bd
Website: http://www.abbank.com.bd
NRB Commercial Bank Limited
Street: 114, Motijheel C/A, Dhaka-1000
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: 88 02 9573426
Fax: 88 02 9573421
Email: info@nrbcommercialbank.com
Website: http://www.nrbcommercialbank.com
NRB Bank Limited
Corporate Head Office
Richmond Concord (7th Floor),68 Gulshan Avenue
Gulshan Circle -01,Dhaka-1212,Bangladesh
Tel:+880-2-9855161-164
Fax:+880-2-9855001
Website : http://www.nrbbankbd.com
Meghna Bank Limited
Contact Person: Managing Director
Street: Doreen Tower (Level 07-08), 6-A North Avenue C.A., Gulshan-2, Dhaka-1212
Postcode: 1212
City: Dhaka
Phone: +(880 2) 9857251
Fax: +(880 2) 9857124, 9857128
Email: info@meghnabank.com.bd
Website: http://www.meghnabank.com.bd
The Farmers Bank Limited
Street: Jabbar Tower, Plot-42, Road-135, Gulshan Avenue [Circle 1], Dhaka-1212, Dhaka, Bangladesh
Postcode: 1212
City: Dhaka
Phone: +(88) 02 888 888 8, +(88) 017 00 000 000
Email: info@farmersbanklimited.com
Website: http://www.farmersbanklimited.com
Modhumoti Bank Limited
DCCI building,3rd Floor,
65-66,Motijheel C/A
Dhaka-1000
Phone : +8802 9583808, +8802 9583809
Swift Code: MODHBDDH
E-mail : info@modhumotibankltd.com
Website : http://www.modhumotibankltd.com
South Bangla Agriculture and Commerce Bank (SBAC) Limited
Contact Person: Managing Director
Street: 47 Dilkusha, Zaman Chamber, Dhaka - 1000
Postcode: 1000
City: Dhaka
https://www.facebook.com/SBACbank
Email: info@sbacbank.com
Website: http://www.sbacbank.com
Midland Bank Limited
Contact Person: Managing Director
Street: N. B. Tower, 40/7, North Avenue Gulshan-2, Dhaka-1212,Bangladesh
Postcode: 1212
City: Dhaka
Phone: +88028836864
Fax: +88028836865
Email: info.mdbl@midlandbankbd.net
Website: http://www.midlandbankbd.net
United Commercial Bank Limited (UCBL)
Contact Person: Managing Director
Street: Bulus Center, Plot # CWS- (A)-1, Road No# 34 , Gulshan avenue, Dhaka-1212
Postcode: 1212
City: Dhaka
Phone: +88-02-8852500
Fax: +88-02-8852500-6000, +88-02-8852504
E-mail : trg@ucbl.com
Website : http://www.ucbl.com
BRAC Bank Limited
Contact Person: Managing Director
Street: 1, Gulshan Avenue, Gulshan -1, Dhaka - 1212
Postcode: 1212
City: Dhaka
Phone: +880-2-885 9202
Fax: +880-2-986 0395
Other Address:
For Overseas Callers: +880 2 8852233
24 Hour Call Center: 16221
SWIFT : BRAKBDDH
Email: enquiry@bracbank.com
Website: http://www.bracbank.com
Islamic Commercial Banks
Islami Bank Bangladesh Limited (IBBL)
Contact Person: Managing Director
Street: Islami Bank Tower 40, Dilkusha C/A, Dhaka - 1000, Bangladesh
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: 9560099, 9567161,9567162, 9569417
Fax: 880- 2- 9564532, 880 -2- 9568634
SWIFT: IBBLBDDH
Email: info@islamibankbd.com
Website: http://www.islamibankbd.com
Shahjalal Islami Bank Limited (SJIBL)
Contact Person: Managing Director
Street: Uday Sanz, Plot No# SE (A) 2/B , Gulshan South Avenue Gulshan – 1, Dhaka-1212, Bangladesh
Postcode: 1212
City: Dhaka
Phone: + 88-02-8825457, + 88-02-8828142,+ 88-02- 8824736, + 88-02-8819385, + 88-02-8818737
Fax: + 88-02-8824009
Email: sblho@shahjalalbank.com.bd
Website: http://www.shahjalalbank.com.bd
First Security Islami Bank Ltd. (FSIBL)
Contact Person: Managing Director
Street: House- SW(I) 1/A, Road-8, Gulshan-1, Dhaka-1212, Bangladesh
Postcode: 1212
City: Dhaka
Phone: 88-02-9888446
Fax: 88- 02-9891915
Email: info@fsiblbd.com
Website: http://www.fsiblbd.com
Export Import Bank of Bangladesh (EXIM) Limited
Contact Person: Managing Director
Street: "SYMPHONY", Plot # SE (F): 9, Road # 142, Gulshan Avenue, Dhaka- 1212
Postcode: 1212
City: Dhaka
Phone: 880-2-9889363, 9891489
Fax: 880-2-8828962
Email: info@eximbankbd.com
Website: http://www.eximbankbd.com
Al-Arafah Islami Bank Limited
Contact Person: Company Secretary
Street: People Inssurance Bhaban (6th-9th Floors), 36 Dilkusha C/A, Dhaka-1000
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: +8802 9569354,+8802 9569352, +8802 9569353,+880-2-7123255-7
Fax: +8802 9569351
SWIFT : ALARBDDH
Email: aibl@al-arafahbank.com
Website: http://www.al-arafahbank.com
Social Islami Bank Limited (SIBL)
Contact Person: Managing Director
Street: 103, Motijheel Commercial Area ,Dhaka-1000, Bangladesh
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: 09612001122
SWIFT : SOIVBDDH
Email: info@sibl-bd.com
Website: http://www.siblbd.com
ICB Islamic Bank Limited
Contact Person: Managing Director
Street: T.K. Bhaban (15th floor), 13 Kazi Nazrul Islam Avenue, Kawran Bazar, Dhaka -1215, Bangladesh
Postcode: 1215
City: Dhaka
Phone: +8802 9143361-5, 88 01841 242 242
Fax: +8802 9111994
Email: info@icbislamic-bd.com
Website: http://www.icbislamic-bd.com
Union Bank Limited
Contact Person: Managing Director
Street: Bahela Tower,72 Gulshan Avenue,Gulshan 1, Dhaka-1212, Bangladesh.
Postcode: 1212
City: Dhaka
Email: info@unionbank.com.bd
Website: http://www.unionbank.com.bd
Specialized Banks
BASIC Bank Limited
Contact Person: Managing Director
Street: Sena Kalyan Bhaban, (5th Floor) 195, Motijheel C/A, Dhaka-1000
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: +8802-9568190,+8802- 9564830, +8802-9590548, +8802-9590549, +8802-9556616
Fax: +8802-9564829, +8802-7115612, +8802-7124911,+8802- 7125653
SWIFT: BKSIBDDH
Email: info@basicbanklimited.com
Website: http://www.basicbanklimited.com
Rajshahi Krishi Unnayan Bank (RAKUB)
Contact Person: Managing Director
Street: Rajshahi Krishi Unnayan Bank, Head Office, 272, Banolata C/A, Airport Road, Rajshahi ,Bangladesh
City: Rajshahi
Phone: +88-0721-862431,+88-0721-862432,+88-0721-862441,+88-0721-862439,+88-0721-862453
Email: info@rakub.org.bd
Website: http://www.rakub.org.bd
Bangladesh Development Bank Limited (BDBL)
Contact Person: Managing Director
Street: 8, Rajuk Avenue, Dhaka-1000, Bangladesh.
Postcode: 1000
City: Dhaka
Phone: +8802 9555151-59
Email: info@bdbl.com.bd
Website: http://www.bdbl.com.bd
Probashi Kallyan Bank
Contact Person : Managing Director
Head Office
Probashi Kallyan Bhaban
71-72 Old Elephant Road, Eskaton, Dhaka-1000
Tel. : +88-02-8321979, 01711-565699.
Fax : +88-02- 8322328
E-mail: info@pkb.gov.bd
Web: http://www.pkb.gov.bd
Bangladesh Krishi Bank
Krishi Bank Bhaban
83-85 Motijheel Commercial Area
Dhaka - 1000, Bangladesh
Tel. : (+88 02) 956 0021 PABX
Fax : (+88 02) 956 1211
Swift : BKBABDDH
Email : info@krishibank.org.bd
Website : http://www.krishibank.org.bd
আপনারা পড়ছেন, বাংলাদেশের সব ব্যাংকের লিস্ট একসাথে (ঠিকানাসহ)
You are reading, List of Banks in Bangladesh
Foreign Commercial Banks
Citibank NA
Motijheel Office Citibank, N.A. 23, Motijheel C/A
Dhaka-1000 Bangladesh
PABX: +880 2 9550060
Tel.: +880 2 9562236, 9570858
Telex: 642611 CITIBJ
SWIFT: CITIBDDX
Website: https://www.asia.citibank.com/bangladesh/corporate
The Hongkong and Shanghai Banking Corporation Limited (HSBC)
HSBC, Bangladesh
Management Office: Level 4, Shanta Western Tower
186 Bir Uttam Mir Shawkat Ali Road
Tejgaon Industrial Area, Dhaka 1208
Ph. : 880 2 9660547
Email : contact@hsbc.com.bd
Website : http://www.hsbc.com.bd
Standard Chartered Bank
Motijheel Branch
Alico Building, 18-20 Motijheel C/A
Banking Hours (Sun - Thu): 10:00 am to 4:00 pm
Saturday Banking: 10:00 am to 4:00 pm
Tel : 02 8332272
Website : sc.com/bd/en
Commercial Bank of Ceylon
Hadi Mansion, 2 Dilkusha C/A,
Dhaka 1000.
Telephone : +88 02 7114125 (General)
Fax : +88 02 9565707, +88 02 9566574
SWIFT Code - CCEYBDDH
E-mail : email@combankbd.com
Website : http://www.combank.net
State Bank of India
24-25, Dilkusha C/A, Dhaka-1000, Bangladesh
Telephone: +88-02-9563992, +88-02-9570566
Fax: +88-02-9563991
Website : http://www.sbibd.com
Habib Bank Limited
South Avenue Tower,
7, Gulshan Avenue, Gulshan -1,
Dhaka -1212. Bangladesh.
Phone: +88 02 9883505
Fax: +88 02 9883064
URL:http://www.hbl.com/bangladesh
National Bank of Pakistan (NBP)
79, Motijheel Commercial Area,
Dhaka - 1000, Bangladesh.
Phone: +880-2-9560248, 9560249
Fax: +880-2-9560247
Email: nbp@agni.com
Website : http://www.nbp.com.pk/
Bank Al-falah Limited
168, Gulshan Avenue, Gulshan North
1212, Dhaka
Bangladesh
Telephone:+88 02 8861848
Fax:+88 02 8850714
SWIFT CODE:ALFHBDDH
Website www.bankalfalah.com
Woori Bank
Suvastu Imam Square (1st, 4th floor) 65 Gulshan Avenue,
Dhaka - 1212, Bangladesh
Phone No. 880-2-881-3270~3
Fax No. : 880-2-881-3274, 3241
SWIFT CODE : HVBKBDDHXXX
Email: wbd@wooribank-dhaka.com
Website : http://www.bd.wooribank.com
Land Development Bank
Progoti Co-operative Land Development Bank Limited
Contact person : Chairman
Elora Complex (3rd Floor), Main Road,
Kapasia Bazar, Gazipur-1730.
Mobile : 01920710418, 01718154571
Phone : 0682452285
Fax : 0682451034
Email : info@progotibank.com.bd
Website : http://www.progotibank.com.bd
নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইটের লিংকসমূহ
কারো কাছে কোনো ভুলভ্রান্তি নজরে এলে বা নতুন কোনো তথ্য উপাত্ত পেলে তা সংশোধন ও সংযোজন করে দেয়ার জন্যে বিশেষ অনুরোধ থাকল। নতুন প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত আমি পরবর্তীতে এই পোষ্টে নিয়মিত ভাবে সংযোজন করতে চেষ্টা করব।
ট্রেড লাইসেন্স এর জন্যেঃ
http://www.dhakacity.org/index.php
কোম্পানি রেজিষ্ট্রেশন এর জন্যেঃ
http://www.roc.gov.bd
http://www.roc.gov.bd:7781
নেম ক্লিয়ারেন্স যাচাই এর জন্যেঃ
http://www.roc.gov.bd:7781/psp/nc_search?p_user_id=
VAT, TAX & Customs সংক্রান্ত তথ্য ও সহযোগিতার জন্যেঃ
http://www.nbr.gov.bd/Portal/HomePage.aspx?lg=bangla
http://www.nbr-bd.org/index.html
http://www.nbrepayment.org
Export-Import বিষয়ক তথ্য সহায়তা ও লাইসেন্স এর জন্যেঃ
http://www.epb.gov.bd
http://www.ccie.gov.bd
http://www.bsbk.gov.bd
http://www.bdtariffcom.org
চেম্বার অব কমার্স বিষয়ক তথ্যঃ
http://www.fbcci-bd.org
http://www.dhakachamber.com
http://www.mccibd.org
বীমা সংক্রান্ত তথ্য সহায়তার জন্যেঃ
http://www.sbc.gov.bd
http://www.jbc.gov.bd
http://www.idra.org.bd/idra-org/index.htm
আপনারা পড়ছেন, নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইটের লিংকসমূহ
কপিরাইট সংক্রান্ত সহায়তার জন্যেঃ
http://copyrightoffice.gov.bd
ডিজাইন, পেটেন্ট ও ট্রেড মার্ক সংক্রান্ত সহায়তার জন্যেঃ
http://www.dpdt.gov.bd
ফায়ার লাইসেন্স এর জন্যেঃ
http://www.fireservice.gov.bd
পরিবেশ অধিদপ্তর এর লাইসেন্স এর জন্যেঃ
http://www.doe-bd.org
বিএসটিআই রেজিষ্ট্রেশন ও লাইসেন্স এর জন্যেঃ
http://www.bsti.gov.bd
হালাল ও অর্গানিক সার্টিফিকেট এর জন্যেঃ
http://www.halalbangladesh.org
http://bopma.org
http://www.sgs.es/en.aspx
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংক্রান্ত সহায়তার জন্যেঃ
http://www.ictd.gov.bd
http://www.bcc.net.bd
http://www.basis.org.bd
সমবায় অধিদপ্তরঃ
http://www.coop.gov.bd
http://www.rdcd.gov.bd
বানিজ্য মন্ত্রনালয়ঃ
http://www.mincom.gov.bd
শিল্প মন্ত্রনালয়ঃ
http://www.moind.gov.bd
অর্থ মন্ত্রনালয়ঃ
http://www.mof.gov.bd/en
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ঃ
http://www.mosict.gov.bd
http://www.bcsir.gov.bd
কৃষি মন্ত্রনালয়ঃ
http://www.moa.gov.bd
http://www.mofl.gov.bd
বাংলাদেশ ব্যাংকঃ
http://www.bb.org.bd
কর্মসংস্থান ব্যাংকঃ
http://www.karmasangsthanbank.gov.bd
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টঃ
http://www.supremecourt.gov.bd/scweb
আরো কিছু প্রয়োজনীয় সাইটঃ
http://www.bangladesh.gov.bd
http://www.legalsteps.com.bd/index.html
http://www.smef.org.bd
http://www.bscic.gov.bd
http://bangladesh.smetoolkit.org/south-asia/en
http://www.bplans.com
তথ্যসূত্র : বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক পরিচালিত "চাকরি খুজব না দেব" নামব উদ্যোক্তা ব্লগে সাজ্জাত হোসাইনের লিখিত পোষ্ট।
বিদ্যুৎ ছাড়াই জ্বলবে বাতি
বোতলে বিশুদ্ধ পানি ও ৩ চামচ (১০ মিলিলিটার) ব্লিচ কিংবা তরল ক্লোরিন দ্রবণ মিশ্রিত করে বোতলের মুখ ভালোভাবে গালা দিয়ে বন্ধ করা হয়। এরপর ১ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১ ফুট প্রস্থ আয়তনবিশিষ্ট একটি টিন মাঝখানে ছিদ্র করে বোতলের গায়ে লাগাতে হবে। বাড়ি বা বাসার ছাদের টিনটি বোতলের পরিমাপে ছিদ্র করে ওই স্থানে বোতল স্থাপন করতে হবে। এটি স্থাপনের সময় বোতলের ১ তৃতীয়াংশ টিনের উপরিভাগে এবং ২ তৃতীয়াংশ ঘরের ভিতর রেখে বোতলটি বসাতে হবে। বৃষ্টির পানি ঘরে প্রবেশ না করার জন্য বোতলের চতুর্দিকে গালা দিয়ে শক্ত করে আটকে দিতে হবে।
আপনারা পড়ছেন, বিদ্যুৎ ছাড়াই জ্বলবে বাতি
দিনের বেলায় সূর্যের আলো বোতলের উপরের অংশে পড়লে সে আলো প্রতিফলিত হয়ে বোতলের পানির সাহায্যে ঘরের ভিতর সমানভাবে আলো ছড়িয়ে পড়বে, যা ৫৫ ওয়াটের একটি এনার্জি বাল্বের আলোর সমতুল্য। রাতের বেলায় বোতলের মধ্যে রাস্তার কোন বাতির আলো পড়লে তাও প্রতিফলিত হয়ে ঘর আলোকিত করবে। বোতলে ক্লোরিন অথবা ব্লিচ মিশ্রিত পানি পরবর্তী ৫ বছর পর্যন্ত বদলাতে হবে না। তিনি বলেন, একটি বোতল বাল্ব তৈরি করে বাড়িতে স্থাপন করলে সূর্যের আলো থেকে এই বাল্বটি কোন খরচ ছাড়াই টানা ৫ বছর পর্যন্ত নিয়মিত আলো দিয়ে যাবে।
কাপ্তাই সেনা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর শাখাওয়াত হোসেন উদ্ভাবিত নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে বলেন, বাংলাদেশে এই সোলার বাল্ব প্রযুক্তি প্রথম উদ্ভাবিত হয়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই বাল্ব তৈরি করতে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা খরচ হতে পারে। বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুত করলে ২০ টাকায় করা সম্ভব। তিনি বলেন, এই বাল্ব ব্যবহারে কোন বিদ্যুত্ খরচ নেই। সূর্যের আলোই এই বাল্বের মূল বিদ্যুত্ শক্তি। এ প্রযুক্তি প্রস্তুতকরণে প্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলো সহজলভ্য। এটি পরিবেশবান্ধব ও কোন প্রকার দুর্ঘটনার ঝুঁকি নেই।
সূত্র : উদ্যোক্তা ওয়েবসাইট
কবুতর পালন : কম সময়ে অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ
আমাদের দেশে হাঁস-মুরগির মতো অনেক বাড়িতেই কবুতর পালন করা হয়ে থাকে। এখনও পুরনো পদ্ধতিতে কবুতর পালন করা হচ্ছে। তবে ইদানীং জনসাধারণের মাঝে উন্নত পদ্ধতিতে কবুতর পালনে আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে। বসতবাড়িতে অল্প শ্রমে ও স্বল্প ব্যয়ে অবসর সময়ে কবুতর পোষা যায়। কবুতর পুষে একদিকে পরিবারের আমিষ জাতীয় খাদ্যের চাহিদা মেটানো যায়, অপরদিকে বাড়তি আয়েরও সুযোগ হয়। বাচ্চা কবুতরের মাংস সুস্বাদু ও বলকারক হওয়ায় বাজারে এর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।
জীবন চক্র
পুরুষ ও স্ত্রী কবুতর জোড়া বেঁধে একসঙ্গে বাস করে। এদের জীবনকাল ১২ বছর। স্ত্রী-পুরুষ উভয় মিলে খড়কুটা সংগ্রহ করে ছোট জায়গায় বাসা তৈরি করে। ডিম পাড়ার স্থান ৫ থেকে ৬ মাস বয়সে স্ত্রী কবুতর ডিম পাড়া শুরু করে। এরা ২৮ দিন অন্তর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ (দুই)টি ডিম দেয় এবং পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত দেয়া ডিমে বাচ্চা উত্পাদান ক্ষমতা সক্রিয় থাকে। স্ত্রী-পুরুষ উভয়েই পালা করে ডিমে তা দেয়। ডিম থেকে বাচ্ছা ফুটতে ১৭-১৮ দিন সময় লাগে। ডিমে তা দেয়ার ১৫ থেকে ১৬ দিনের মধ্যে স্ত্রী ও পুরুষ উভয় কবুতরের খাদ্য থলিতে দুধ জাতীয় বস্তু তৈরি হয় যা খেয়ে বাচ্চারা ৪ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে। স্ত্রী ও পুরুষ কবুতর উভয়েই ১০ দিন পর্যন্ত এদের বাচ্চাকে ঠোঁট দিয়ে খাওয়ায়, এরপর বাচ্চারা দানাদার খাদ্য খেতে আরম্ভ করে।
কবুতরের জাত
পৃথিবীতে প্রায় দুশ’ থেকে তিনশ’ জাতের কবুতর আছে। মাংস উত্পাদনের জন্য সিলভারকিং, হামকাচ্চা, ডাউকা, কাউরা, গোলা, গোলী, পক্কা, লক্ষা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। চিত্তবিনোদনের জন্য ময়ুরপঙ্খী, সিরাজী, লাহোরী, ফ্যানটেইল, জেকোডিন, মুক, গিরিবাজ, টেম্পলারলোটন—এসব জাতের কবুতর রয়েছে। এছাড়াও আমাদের দেশে উল্লেযোগ্য কবুতরের একটি জাত হচ্ছে ‘জালালী কবুতর’।
এ নামটি হজরত শাহ্জালাল (রহ.) এর পুণ্য স্মৃতির সঙ্গে জড়িত।
আপনারা পড়ছেন, কবুতর পালন : কম সময়ে অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ
পালনের সুবিধা
কবুতর পালন আনন্দদায়ক। কবুতরের গোশত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। প্রতিমাসে গড়ে ২টি বাচ্চা পাওয়া যায় এবং ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যেই বাচ্চা খাওয়ার উপযোগী হয়। তাদের রোগবালাই কম। খাবার করচ কম এবং থাকার ঘর তৈরি করতে খরচ কম লাগে। স্বল্প পুঁজি ও শ্রমে সহজেই লাভবান হওয়া যায়।
কবুতরের বাসস্থান
কবুতরের থাকার ঘরটি উঁচু করে এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে ক্ষতিকর প্রাণী ও পাখিদের নাগালের বাইরে থাকে। ঘরে প্রচুর আলো-বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা রাখতে হবে। বৃষ্টির পানি যাতে ঢুকতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। হালকা কাঠ, পাতলা টিন, বাঁশ বা প্যাকিং কাঠ দিয়ে কবুতরের ঘর বানানো যায়। প্রতিজোড়া কবুতরের জন্য ৩০ সেমি. চওড়ার এবং উচ্চতায় ৩০ সেমি. মাপের খোঁপ বানাতে হবে। কবুতরের ঘর পাশাপাশি বা কয়েকতলা বিশিষ্ট করা যেতে পারে। প্রতিটি খোপের জন্য একটি করে দরজা থাকবে। অধিক কবুতর পুষলে প্রয়োজনের তুলনায় কয়েকটি খোপ বেশি রাখতে হবে। প্রতিমাসে ১-২ বার করে ঘরে কবুতরের বিষ্টা পরিষ্কার করতে হবে এবং যাতে কবুতরের ঘর পরিষ্কার ও শুকনো থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। খাবার ও পানির পাত্র কবুতরের ঘরের কাছেই রাখতে হবে। এছাড়াও কবুতরের গোসলের জন্য পানি ও ধূলি এবং বাসা বানানোর জন্য খড়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
খাদ্য
কবুতর সাধারণত গম, মটর, খেসারি, সরিষা, ভুট্টা, কলাই, ধান, চাল, কাউন, জোয়ার—এসব শস্যদানা খেয়ে থাকে। এরা মুক্ত আকাশে বিচরণ করে এবং পছন্দমত স্থান থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্য সংগ্রহ করে থাকে। এছাড়া স্বাস্থ্য রক্ষা, দৈহিক বৃদ্ধি ও বংশবৃদ্ধির জন্য এদের খাবারের শতকরা ১৫ শতাংশ থেকে ১৬ শতাংশ আমিষ থাকা প্রয়োজন। তবে মুরগির জন্য নির্ধারিত তৈরি সুষম খাবার খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি কবুতর দৈনিক গড়ে ৩৫ থেকে ৬০ গ্রাম দানাদার খাদ্য খেয়ে থাকে। কবুতর ছানার দ্রুত বৃদ্ধি, হাড়শক্ত ও পুষ্টি এবং বয়স্ক কবুতরে সুস্বাস্থ্য এবং ডিমের খোসা শক্ত হওয়ার জন্য ঝিনুকের চূর্ণ, চুনাপাথর, শক্ত কাঠকয়লার চূর্ণ, হাড়ের গুঁড়ো, লবণ এসব মিশিয়ে ‘গ্রিট মিকচার’ তৈরি করে খাওয়ানো প্রয়োজন। এছাড়াও প্রতিদিন কিছু কিছু কাঁচা শাক-সবজি কবুতরকে খেতে দেয়া ভালো।
খরচ
১০ জোড়া কবুতরের জন্য ১টি ঘর বানাতে (খাবারের পাত্র, পানির পাত্রসহ) আনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা খরচ হতে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জোড়া কবুতরের ক্রয়মূল্য প্রায় ১০০০ টাকা এবং ১০ জোড়া থেকে মাসে প্রায় ৮ থেকে ৯ জোড়া বাচ্চা পাওয়া যাবে। এগুলো বিক্রি করে মাসে গড়ে ৬০০ টাকা আয় করা যাবে।
সূত্র : উদ্যোক্তা ওয়েবসাইট
আমিরের ধানকাটা যন্ত্র : দু’ঘণ্টায় কাটা যাবে এক একর জমির ধান
বগুড়ার প্রকৌশলী আমির হোসেন এবার হালকা ও সস্তা ধানকাটা মেশিন তৈরি করেছেন। এ মেশিন দিয়ে ধান-গম-ভুট্টা-পাট ও আখ কাটা যাবে। এর আগে তিনি ব্যাটারি ও সোলার পাওয়ার চালিত মোটরগাড়িসহ অর্ধশতাধিক সস্তা কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি করেছেন। এই ধানকাটা মেশিন তৈরি করে পুনরায় আলোচনায় এসেছেন তিনি।
আমির হোসেনের তৈরি এ মেশিনে দু’ঘণ্টায় এক একর জমির ধান কাটা যাবে। এজন্য খরচ হবে ২ লিটার পেট্রোল। ১ দশমিক ৫ হর্স পাওয়ারের মেশিন খুব হালকা, ১০/১৫ কেজি ওজন। নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী যে কেউ সহজেই যন্ত্রটি চালিয়ে ধান-পাট-গম-ভুট্টা-তিল-আখ গাছ কাটতে পারবেন। আপাতত পেট্রোল ইঞ্জিন তৈরি করলেও তিনি পরে এটিকে সোলার পাওয়ার মেশিনে রূপান্তরিত করবেন বলে জানান।
একজন কৃষক মাত্র ৮/১০ মণ চাল বিক্রি করে এ মেশিন ৮/১০ হাজার টাকায় কিনতে পারবেন। ইঞ্জিনের বিশেষত্ব, ধান-পাট-গম যে অবস্থায় থাকুক, যে অবস্থায় লাগানো হোক, খাড়া থাক বা মাটিতে হেলে পড়ুক, সহজেই এসব কাটা যাবে।
আপনারা পড়ছেন, আমিরের ধানকাটা যন্ত্র : দু’ঘণ্টায় কাটা যাবে এক একর জমির ধান
এ মেশিন দিয়ে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটে এক বিঘা জমির ধান কেটে দেখিয়েছেন আমির হোসেন বগুড়া পৌর এলাকার ধরমপুর গ্রামের মাঠে। এক বিঘা জমির ধান কাটতে খরচ হবে মাত্র ৬০/৭০ টাকা। বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া রহিম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের স্বত্বাধিকারী আমির হোসেন দাবি করেছেন—চীন, জাপান, ভারত, থাইল্যান্ড কোনো দেশ এখনও তার মতো হালকা, টেকসই ও সস্তা শস্যকাটার মেশিন তৈরি করতে পারেনি। তারা যা তৈরি করেছে, তা অনেক ভারি, দামি ও ব্যয়বহুল। ওইসব যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ধান-পাট-গম লাইন করে লাগাতে হয় এবং খাড়া হয়ে থাকতে হয়। কিন্তু মাটিতে ধান-পাট-গমের গাছ হেলে পড়লেও আমিরের তৈরি মেশিন দিয়ে সহজেই কাটা যাবে।
বোরো মৌসুমে একসঙ্গে লাখ লাখ একর জমির ধান পেকে যায়। শ্রমিকের অভাবে কৃষক ধান কাটতে পারে না। সে সময় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকায় শঙ্কিত থাকে কৃষক। অনেকেই শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে না পারায় ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে সব নষ্ট হয়ে যায়। একথা চিন্তা করে আমির হোসেন হালকা ও সস্তা এ ধানকাটার মেশিন তৈরি করেছেন।
এ মেশিন আরও সস্তা ও আধুনিক করার জন্য কৃষিমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের সহযোগিতা চেয়েছেন আমির হোসেন। সোলার পাওয়ারে এ মেশিন চালানো গেলে শস্য কাটতে কোনো খরচ লাগবে না। এ প্রযুক্তির ওপর তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ৬ বিভাগের ৬শ’ কৃষকের মধ্যে তার এই সস্তা ধানকাটা মেশিন নামমাত্র মূল্যে তৈরি করে দিতে চান। কৃষিকে যান্ত্রিক ও আধুনিকীকরণের জন্য এটি তার আর একটি নতুন পদক্ষেপ।
এ ব্যাপারে বগুড়ার কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রোস্তম আলী সাংবাদিকদের বলেন, এই যন্ত্র ব্যবহার করে কৃষককুল উপকৃত হবে। ধান কাটতে খরচ ও সময় দুই-ই বাঁচবে।
সূত্র : উদ্যোক্তা ওয়েবসাইট
একটি মানবিক আবেদন
আসসালামু আলাইকুম। ডা. মোসলেম ফাউন্ডেশনের (ডিএমএফ) পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাচ্ছি প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। এই যে আপনি প্রস্তাবনাটি অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ছেন, এটা প্রমান করে আপনি ইহকাল ও পরকালের কল্যানের জন্য কিছু করতে চান, আপনি বিশ্বের সকল সমাজসেবীদের নামের পাশে আপনার নামটিও দেখতে চান, আপনি মহান আল্লাহ তা’আলার সৃষ্টির সেবা করার মাধ্যমে তার সন্তুষ্টি অর্জন করতে চান।
রাতের নিস্তব্দতায় কখনও আকাশের বিশালতার নীচে তারাদের দিকে তাকিয়ে ভেবেছেন কি, পৃথিবীতে আপনার আগমনের হেতু কী? কেন আপনি পৃথিবীতে এসেছেন, কি আপনার কর্তব্য? সহজ উত্তর, “স্রষ্টা আমাদের সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদত করার জন্য।“ আর কিছু কি নয়? সৃষ্টিকর্তার হক আদায়ের সাথে সাথে তার সৃষ্ট সৃষ্টির হক ও তো আদায় করতে হবে, কথাটি আমরা সবাই জানি। কিন্তু আমরা কি তাই করি?
আমরা চাই আপনার ভালো কর্মের দ্বারা আপনি অমর হয়ে থাকুন চিরকাল। মানুষ আপনাকে নিজেদের মনে স্থান দিবে, আপনার অনুপস্থিতিতে দু:খ পাবে-কাঁদবে, আপনার কল্যানে সর্বদা সৃষ্টিকর্তার নিকট দোয়া প্রার্থনা করবে, এটাই আমরা চাই।
দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য আপনার ভালোবাসার সঠিক পরিস্ফুটন ঘটাতেই গঠিত হয়েছে “ডিএমএফ”। ১৯৮০ সাল থেকে পথচলা আরম্ভ করে আজ পর্যন্ত "ডিএমএফ" ৬,৩৭,৯২০ এরও বেশি মানুষকে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে এসেছে। বর্তমানে আমরা লক্ষ্য করছি সেবার পরিধি শুধুমাত্র চিকিৎসায় বেধে রাখলে চলবে না, করন মৌলিক চাহিদার প্রতিটিতেই মানুষের সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে। আর তাই “ডিএমএফ” কে নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে। যুক্ত করা হয়েছে নতুন নতুন সেবামূলক কার্যক্রম।
বর্তমানে আমরা চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি দরিদ্র সহায়তা ও বিনামূল্যে শিক্ষা কার্যক্রম আরম্ভ করতে চলছি। প্রাথমিক পর্যায়ে স্টারিয়ণ লিমিটেড থেকে প্রাপ্ত অনুদান দিয়ে একটি ফান্ড গঠন করা হয়েছে। আমরা চাই বাংলাদেশের প্রতিটি সচ্ছল মানুষ আমাদের সাথে কাজ করুক। নিজের স্থান থেকে আপনি আপনার আশপাশে সমাজ সেবামূলক কাজ করুন। বন্ধুদের সাথে মিলে ফান্ড তৈরী করতে পারেন। আপনাদের কর্মতৎপরতা আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজে (www.fb.com/moslemfoundation).
এছাড়াও “ডিএমএফ” কমিউনিটির সাথে যুক্ত হয়ে আপনি বড় কোন সেবামূলক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন। আমরা আমাদের কার্যক্রমগুলো বিস্তারিত আমাদের ফেসবুক পেজে (www.fb.com/moslemfoundation) আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।
ফাউন্ডেশনের কাজে স্বচ্ছতা একটি বিরাট ফ্যাক্টর। অনেক ক্ষেত্রে শোনা যায়, ফাউন্ডেশনের টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। খুব দু:খজনক ঘটনা। দান গোপন রাখা ভাল কিন্তু অন্যকে দান করতে উৎসাহিত করতে হলে এর প্রকাশ করার গুরুত্বও রয়েছে। যারা যারা অর্থ দান করবেন তাদের প্রত্যেকের ফাউন্ডেশন প্রদত্ত একটি আইডি থাকবে। বৎসর শেষে কোন আইডি কত অর্থ প্রদান করেছেন তার একটি লিস্ট সকল আইডিধারীদের মেইল করে জানানো হবে। এছাড়াও প্রাপ্ত ও প্রকল্প খরচের বিস্তারিত বিবরন আমাদের ওয়েবসাইটে (www.stareongroup.com/foundation.html) ও ফেসবুক পেজে (www.fb.com/moslemfoundation) পাবলিশ করা হবে। এর ফলে একদিকে যেমন গোপনে অর্থ দিতে আগ্রহীদের মনও রক্ষা হবে, অন্যদিকে স্বচ্ছতাও নিশ্চিত হবে।
আমাদের প্রতিটি প্রকল্পের আলাদা আলাদা কার্যকরী পরিষদ গঠন করা হবে। বাংলাদেশে গ্রাম সংখ্যা ৮৭৩১৯ টি। উপজেলা ৫৫০ টি এবং ইউনিয়ন ৪৪৮৪ টি। প্রথমে উপজেলা ও ইউনিয়ন ভিত্তিক ভলান্টিয়ার কমিটি গঠন করা হবে। তারপর ঐ থানাধীন সবগুলো গ্রাম সার্ভে করে দেখতে হবে কোন গ্রাম থেকে কাজ আরম্ভ করা যাবে। গ্রাম নির্দিষ্ট হয়ে গেলে ১টি দরিদ্র পরিবারকে নির্বাচন করতে হবে যেই পরিবারে কমপক্ষে ১জন কর্মঠ ব্যক্তি রয়েছে। তারপর তার সাথে আলোচনা করে দেখতে হবে সে কোন কাজটি করতে আগ্রহী। অত:পর ভলান্টিয়ারগণ ডা. মোসলেম ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন। যাতে করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য যে, উক্ত ব্যক্তিকে যত টাকা সহায়তা করা হবে সেটা ১০০% ফেরতযোগ্য। ফেরত টাকা দিয়ে অন্য আরেকটি পরিবারকে সহায়তা করা হবে অথবা যে সকল পরিবারে কর্মঠ ব্যক্তি নেই, সেই পরিবারের জন্য ১টি অবলম্বনের ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিটি দরিদ্র পরিবারকে সহায়তার পর ভলান্টিয়ারগণ তার সচ্ছল হওয়া পর্যন্ত মনিটরিং করবেন। এভাবে কয়েকটি পরিবার স্বাবলম্ভী হয়ে গেলে উক্ত ইউনিয়ন বা থানায় বড় কোন প্রকল্প আরম্ভ করা হবে আর তাতে ইউনিয়নের অন্যান্য দরিদ্র পরিবরের কর্মঠ ব্যক্তিরা কাজ করে নিজেদের পরিবার ভরন-পোষণ করতে পারবেন। ঐ প্রকল্পের অর্জিত টাকায় ঐ থানায় ১টি পাবলিক লাইব্রেরী, কয়েকটি বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র, ১টি বৃদ্ধাশ্রম, ১টি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট, মাদ্রাসা-মসজিদে দানসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ করা হবে। চূড়ান্তভাবে প্রতিটি জেলায় আন্তর্জাতিকমানের ১টি জেনারেল হাসপাতাল নির্মান করা হবে যেখানে দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। আপাতত এই হচ্ছে আমাদের প্রকল্প প্ল্যান। যেকোন সময় এ প্ল্যানের পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও বিয়োজন করার ক্ষমতা কর্তৃপক্ষ সংরক্ষন করে।
উল্লেখ্য : ভলান্টিয়ারগণ তাদের নিজ নিজ ইউনিয়ন/উপজেলায় প্রকল্পগুলের দায়িত্বে থাকবেন। এক্ষেত্রে তাদের জন্য সম্মানজনক পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করা হবে।
অনুদান পাঠানোর উপায় :
আমাদের কাছে টাকার অংক বড় নয়, কল্যানের উদ্দেশ্যে আপনার দান করার মনোমানসিকতই আমাদের কাছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব বহন করে। আপনি নিজের স্থান থেকে এই মহৎ উদ্দেশ্য পরিচালনা করতে পারেন। “ডিএমএফ” কে দান করা শর্ত নয়। তবে আপনার পক্ষে হয়ত বড় কোন প্রকল্প করা সম্ভব হবে না আর এই কারনেই “ডিএমএফ”। যত ক্ষুদ্রই হোক, আপনার মূল্যবান দান অনেক বড় সাফল্যের সাথী হতে পারে। আপনি নিয়মিত, সাপ্তাহিক, মাসিক বা বাৎসরিক যাকাত হিসেবে “ডিএমএফ” এ আপনার দান পাঠিয়ে ফান্ড গঠন করতে পারেন। নিচের যেকোন পদ্ধতিতে প্রথমবার ফান্ড পাঠিয়ে “ডিএমএফ” থেকে একটি ডোনার আইডি নিন। পরবর্তীতে যেকোন অংকের দান করার পরেই আপনার আইডিসহ বিস্তারিত moslemfoundation@gmail.com বরাবর ই-মেইল পাঠিয়ে দিন এবং কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নিন। এছাড়াও আপনি আমাদের ফেসবুক পেজে (www.fb.com/moslemfoundation) আপনার প্রশ্ন, পরিকল্পনা, সাফল্য ও দান/ফান্ড বিস্তারিত আলোচনা করতে পারেন।
আমরা সৎ নিয়তে সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় ইহকাল ও পরকালের কল্যাণের উদ্দেশ্যে কাজ করতে চাই।
ডাচ-বাংলা ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং : ০১৯১৪১৬১৯৩১১
বিকাশ : ০১৯১৪১৬১৯৩১
Wire Transfer/Direct Deposit/ TT
A/C Name : Mahedi Hasan
A/C No. : 128.101.151144
Dutch-Bangla Bank Limited
Shimrail Branch
Swift : DBBLBDDH
সাফল্যের সাত সোপান : শচীন টেন্ডুলকার
খেলার প্রতি ভালোবাসাই আমাকে এত দূর নিয়ে এসেছে। আমি মনে করি, কেউ যখন অনেক দিন ধরে কোনো কাজ করে, সেই কাজই তার পরিচয় হয়ে ওঠে। আমি ভাগ্যবান এ কারণে যে আমি আমার পরিচয়কে এতটা ভালোবাসতে পেরেছি। আমার খেলার শুরুটা আসলে হয়েছিল ৯-১০ বছর বয়সে, যখন আমি আমার বড় দুই ভাই আর অ্যাপার্টমেন্টের অন্যদের খেলতে দেখতাম। আমার কল্পনার জগতে তখন তারাই ব্যাট ঘোরাত। আমি তাদের মতো খেলতে চাইতাম। সে সময় আমার স্বপ্ন ছিল, সমবয়সীদের সঙ্গে খেলায় সবাইকে পেছনে ফেলা, যাতে করে আমার চেয়ে বয়সে বড়দের দলে খেলতে পারি, আর অ্যাপার্টমেন্টে আমার নাম ছড়ায়। এভাবে ১০ বছর বয়সেই আমি ২০-২২ বছর বয়সীদের সঙ্গে খেলতাম। সেই বছরই ভারত বিশ্বকাপ জেতে। এরপর আমার জীবনটাই একেবারে বদলে যায়। সে সময় ভারতের ৪০ লাখ তরুণ এক আশ্চর্য নেশায় আটকা পড়ে, একটি খেলার প্রতি সীমাহীন ভালোবাসায় তারা সবকিছু ভুলে যায়। আমিও সেই সময় থেকেই ক্রিকেটের প্রেমে পড়ি। এর আগে আমি অনেক খেলাই খেলতাম, ব্যাডমিন্টন, হকি, ফুটবল, টেনিস—কিন্তু ক্রিকেটের প্রতি মুগ্ধতা ছিল আমার জীবনের সেরা ঘটনা। সেই মুগ্ধতা আমার কখনো কাটেনি।
২. নিজের ওপর ভরসা রাখা
ক্রিকেটে নিজের অনুভূতির ওপর বিশ্বাস রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটাই একজন ভালো খেলোয়াড়ের সঙ্গে একজন খারাপ খেলোয়াড়ের পার্থক্য গড়ে দেয়। প্রতিটি খেলোয়াড়ের স্বকীয়তা আছে, আছে নিজেকে মাঠে তুলে ধরার নিজস্ব স্টাইল। সমালোচকেরা আমাকে খেলতে শেখাননি। আমি মনে করি, তাঁরা জানেন না, মাঠে আমি কী চিন্তা করছি, কিংবা আমার শরীর আমাকে কতটুকু সাহায্য করছে। প্রতিটি বল খেলার জন্য আমার হাতে মাত্র শূন্য দশমিক ৫ সেকেন্ড সময় থাকে, কখনো বা তারও কম। সময়টা আসলে কোনো সমালোচক আমাকে কী বলেছেন, তা চিন্তা করার জন্য নয়। আমি স্বাভাবিকভাবে আমার নিজের অনুভূতিকে কাজে লাগাই, আমার অবচেতন মন জানে, আমার কী করা উচিত এবং আমি ঠিক সেই কাজই করি। কারণ, এই কাজ করার জন্যই আমি নিজেকে প্রস্তুত করেছি। প্রতিটি বলকে দেখা এবং তাকে তার প্রাপ্য জবাব দেওয়া—সহজ এই কাজ করতে পারাই একজন ক্রিকেটারের মূল চ্যালেঞ্জ।
৩. স্বপ্নকে ধাওয়া করা
খেলায় আমার উত্থান-পতন ছিলই। কিন্তু খেলোয়াড় হিসেবে আমি কখনোই হারতে পছন্দ করতাম না। বাস্তবে শুধু সন্তানদের সঙ্গে খেলার সময়ই আমি নিজেকে ছাড় দিই। কারণ, আমার স্ত্রী আমাকে বলেছে যে মাঝেমধ্যে সন্তানদের জিততে দিতে হয়। কিন্তু সব সময় আমি তাদের জিততে দিই না। কারণ, তাদের সামনে এখনো অনেকটা পথ পড়ে আছে এবং এই পথে তাদের লড়াই করে জিততে হবে। আমি সব সময়ই আমার সন্তানদের বলি, ‘তোমাকেই জীবনের পথে এগিয়ে যেতে হবে, অনেক পরিশ্রম করতে হবে এবং জীবনে জিততে হবে।’ আমি ১৫ বছর বয়সে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট শুরু করি এবং তখন থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল একজন টেস্ট খেলোয়াড় হওয়া। দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছেটা আমার তখন থেকেই তীব্রতা পেতে শুরু করে। সেই স্বপ্নকে ধাওয়া করেই আমি এত দূর এসেছি।
আপনারা পড়ছেন, সাফল্যের সাত সোপান : শচীন টেন্ডুলকার
৪. সফল নয়, চাই সেরা হওয়ার লড়াই
আমি কখনো নিজের জন্য কোনো শেষ ভেবে রাখিনি। ঠিক করিনি যে এই পর্যন্ত গিয়ে আমি থেমে যাব। আমার বাবার একটি উপদেশ সব সময়ই মনে রাখি, ‘জীবনে কখনো শর্টকাট খুঁজো না। এটা তোমাকে ক্ষণিক সাফল্য দেবে, কিন্তু তোমাকে সেরা বানাবে না। সেরা হওয়ার পথ সব সময়ই বন্ধুর ও কঠিন। কিন্তু তুমি যদি নিজের ওপর বিশ্বাস রাখো এবং ধৈর্য ধরো, কেউ তোমার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।’ আমি আমার সারা জীবনে কখনো এই উপদেশ ভুলিনি। আমি সফল হওয়ার জন্য নয়, সেরা হওয়ার জন্যই কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং স্বাভাবিক পথেই জীবনকে চালিয়ে নিয়ে এসেছি।
৫. গতকালের কথা ভুলে যাও
ক্যারিয়ারের শুরুতে ম্যাচের আগের রাতে আমি ঘুমাতে পারতাম না। সারা রাত ধরে আমি টস করতাম, পরদিন ম্যাচে কী হবে। ঘুমানোর জন্য তখন আমাকে নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হতো। কিন্তু এখন আমি আর তা করি না। কারণ, আমি জানি এটা কোনো ফল এনে দেয় না; বিশেষ করে ম্যাচের পরে আমি আর কখনো সেই ম্যাচ নিয়ে ভাবি না। আমি কারও সঙ্গে নিজের তুলনায় বিশ্বাসী নই। আমি কেবল আমার নিজের ভুলগুলো নিয়ে নেটে পরিশ্রম করি এবং পরবর্তী ম্যাচের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি।
৬. একটি লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়া
নিজেকে নিয়ে আমি কখনোই খুব বেশি দূর চিন্তা করি না। আমি আমার পরবর্তী কাজটিকেই সব সময় চিন্তায় রাখি। যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্যই এটা একটা চ্যালেঞ্জ, নিজের কাজ নিয়ে একাগ্র মনে সাধনা করে যাওয়া। নিজের চিন্তাকে একটি মাত্র ফ্রেমে বেঁধে রাখা। বাইরের জগতের হাজারো প্রলোভনকে উপেক্ষা করে নিজের কাজ করে যাওয়া। এগুলোই ছিল আমার কাছে ক্রিকেটের সাধনা। আমি ঠিক করে নিতাম, কখন কোন কাজটি করব। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় আমি ক্রিকেট নিয়ে খুব বেশি ভাবতাম না। গান শোনা, সন্তানদের সময় দেওয়া, বাইরে বেড়াতে যাওয়া—এভাবে নিজেকে একজন সাধারণ মানুষের কাতারে নিয়ে আসতাম। কিন্তু যখন মাঠে নামতাম, তখন আমার ভাবনায় শতভাগ ক্রিকেট ছাড়া আর কিছুই থাকত না। লক্ষ্য অর্জনের পথে মাঝেমধ্যে নিজেকে বিশ্রাম দেওয়া এবং পুনরায় খুব দ্রুত আগের অবস্থানে ফিরে আসতে পারা একজন খেলোয়াড়কে অনেক দূর নিয়ে যাবে।
৭. হাল না ছাড়া
আমাদের জীবনটা আসলে কিছু পর্যায়ের সমন্বয়, যেখানে আমরা নিজেদের জন্য লক্ষ্য ঠিক করি, আর সেগুলো অর্জনের জন্য কাজ করি। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এ ক্ষেত্রে মা-বাবার ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। মা-বাবাই পারেন সন্তানকে শেখাতে, যাতে করে সে জীবনকে সহজভাবে নেয়, সঠিক পথেই নিজেকে নিয়ে যায় এবং সাহসের সঙ্গে জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হয়। আমার বাবা আমাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন, যাতে করে আমি আমার স্বপ্নের পথে চলতে পারি। যে সময় আমি ক্রিকেটের জগতে নিজেকে মেলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলাম, তিনি তখন আমাকে বলেছিলেন, ‘হাল ছেড়ে দিয়ো না। প্রতিটি অন্ধকার টানেলের শেষেই আলো থাকে।’ আমি হাল ছেড়ে দিইনি। এ কারণেই আমি আজকে আলোর দেখা পেয়েছি।
সূত্র: ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া বিভিন্ন তথ্য অবলম্বনে লিখিত। ইংরেজি থেকে অনুবাদ: মনীষ দাশ | সূত্র: প্রথম আলো
ব্যর্থতা জিন্দাবাদ : শাহরুখ খান
জীবনকে অনেকভাবেই মাপা যায়; বয়স, সময় কিংবা লক্ষ্য দিয়ে বোঝানো যায় জীবনের পথচলা। সময়ের পরিমাপ আমাকে প্রায়ই বিভ্রান্ত করে। যেদিন আমার বাবা মারা গিয়েছিলেন, সেই একটি দিন আমার কাছে সারা শৈশবের চেয়েও দীর্ঘ মনে হয়। আমার জীবনের গন্তব্য কোথায়, মনে হয় না এই প্রশ্নের উত্তর আমি কখনো জানতাম। আমি হেঁটেছি, প্রাণপণে দৌড়েছি আমার স্বপ্নের পথে, যা কিছু পেয়েছি, যা কিছু এসেছে, সবই এসেছে নিজেদের নিয়মে। আমি বদলেছি, আমার চারপাশের মানুষেরা বদলেছে, পুরো পৃথিবীটা বদলেছে, এমনকি আমার স্বপ্নও বদলে গেছে। কোথায় পৌঁছাতে হবে, তা আমি সত্যি জানতাম না। আমি শুধু সেটাই করে গেছি, যা আমি জানতাম, আমি সবচেয়ে ভালো পারি।
তাহলে আজকে আমি নিজের মতো করে আমার গল্প বলব। আমার মতে, জীবনের মাপকাঠি হলো হূদয়ের আর অভিজ্ঞতার পরিপূর্ণতা। এর বাইরে আর কিছুতেই তেমন কিছু যায়-আসে না। খ্যাতি, সাফল্য, সৌন্দর্য—এ সবকিছুর চেয়েও একটি পরিপূর্ণ হূদয়ের মূল্য অনেক বেশি।
আমি একজন অভিনেতা। জর্জ বার্নস বলেছিলেন, ‘অভিনয়ের মূলে রয়েছে সততা’। শুদ্ধ সততার সঙ্গে যখন আমি কোনো চরিত্র রূপ দিতে পারি, তখন সেটাই হয় প্রকৃত অভিনয়। শুদ্ধতম অভিব্যক্তিগুলো আসে অভিনেতার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে।
এটা সত্যি যে সৃষ্টি যখন সবার সামনে উন্মোচিত হয়, তখনই তা স্রষ্টার থেকে আলাদা হয়ে জনগণের সম্পদ হয়ে যায়। এমন অনেক রাত গেছে, আমি হয়তো কোনো পুরস্কার পেয়ে প্রচণ্ড খুশিতে উদ্বেলিত হয়ে বাড়ি ফিরেছি। আর তারপর আবিষ্কার করেছি কোনো সমালোচক লিখেছে যে আমাকে পুরস্কারের বদলে কাঁচা কলা দেওয়া উচিত ছিল! রাগে, ক্ষোভে তখন মনে হয়, কাঁচা কলা আর সমালোচক—এই দুটিরই চামড়া ছাড়িয়ে বাঁদরদের উপহার দেওয়া উচিত! এমন মুহূর্তগুলোতে আমি ক্ষণিকের জন্য হাল ছেড়ে দিই, কিন্তু তা কখনোই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। যখন তুমি ভেঙে পড়বে, যখন সারা পৃথিবী তোমাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবে, তখন টিকে থাকার একটাই উপায়। আর তা হলো, তোমার প্রকৃত সত্তাকে আঁকড়ে ধরা। পৃথিবী তোমাকে না বুঝতে পারে, ভুল বুঝতে পারে। কিন্তু অন্তত তোমার নিজেকে চিনতে হবে।
আমার বেলায় ব্যাপারটা একটা অদ্ভুত সমঝোতার মতো। আমি নিজের মতো অভিনয় করি, করতে চাই, আবার দর্শক আমার কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করে, সেটাও মাথায় রাখতে হয়। আমাকে একই সঙ্গে আমার সেরা কাজটা দিতে হয়, আবার আমি যাদের জন্য কাজ করছি, তাদের প্রতিক্রিয়া দেখে যাতে আমি বিচলিত না হয়ে পড়ি, এটাও খেয়াল রাখতে হয়। আমি চেষ্টা করি লাইনচ্যুত না হতে। ভেতরে যা-ই চলতে থাকুক না কেন, বাইরে আমি ঠিকই হাসছি, অটোগ্রাফ দিচ্ছি। কখনো কখনো মনে হয়, আমি একটা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অভিনয় করে চলছি। আমার দর্শক হচ্ছে পথচারীরা, যারা আমাকে হাততালি দিচ্ছে খানিকটা কৌতুকের বশে, খানিকটা দয়া করে আর খানিকটা তাচ্ছিল্যভরে। কিন্তু দর্শক যারাই হোক না কেন, আমি জানি আমার অন্তর্নিহিত সত্তা ঠিকই আমার অভিনয় দেখছে, ভালো কাজের জন্য বাহবা দিচ্ছে, আমার বোকামিগুলো দেখে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছে। তাই আমি বলব, নিজেকে চিনতে শেখো, নিজের ওপর থেকে কখনো বিশ্বাস হারিয়ো না। নিজের জীবন নিয়ে কখনো হতাশ হয়ো না। জীবনের ওপর হতাশা আর বিতৃষ্ণা তোমার যত ক্ষতি করবে, তেমনটা আর কোনো কিছুই করতে পারবে না।
আপনারা পড়ছেন, ব্যর্থতা জিন্দাবাদ : শাহরুখ খান
নিজের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস রাখো।
সমালোচনা, নিন্দার ঊর্ধ্বে উঠে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখো। প্রচলিত নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করতে ভয় পেয়ো না। একলা চলতে দ্বিধা কোরো না।
তোমাদের বয়সে আমি যা চাইতাম, আজ আমার সেই সব কিছু আছে। আমি সাফল্য পেয়েছি, খ্যাতি পেয়েছি, আমার যথেষ্ট সম্পদ আছে। কিন্তু এসবের কোনো কিছুই আমাকে এতটা সুখ দেয়নি, যা দিয়েছে আমার সন্তানেরা। তোমরা এখনো বাবা-মা হওনি, কিন্তু তোমাদের বাবা-মা আছেন, যাঁরা তোমাদের অপরিসীম ভালোবাসেন। পৃথিবীর কোনো কিছুর সঙ্গেই তাঁদের ভালোবাসার কোনো তুলনা চলে না। খেয়াল করে দেখবে, সত্যিকারের সুখ এমন সব জিনিসে থাকে, যা কখনো গোনা যায় না।
আর দেখ, এই ভালোবাসার বিনিময়ে তাঁরা তোমাদের কাছ থেকে কিছুই চান না। তোমরা তাঁদের অনুভূতিগুলোকে একটু শ্রদ্ধার চোখে দেখবে, এটাই তাঁদের কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি। আমি দুটো অসম্ভব দুষ্টু শিশুর বাবা হয়ে বলছি। সন্তান হিসেবে তোমরা যা-ই করো না কেন, যত বড় ভুলই করো না কেন, বাবা-মায়ের চেয়ে বড় বন্ধু আর নেই। তোমাদের হয়তো মনে হতে পারে, তাঁরা বিরক্তিকর, একঘেয়ে, একগুঁয়ে। আমার সন্তানরাও আমায় তা-ই মনে করে। কিন্তু যদি কখনো কোনো ঝামেলায় পড়ো, তোমার মা-বাবাকেই তুমি সবচেয়ে নিশ্চিন্তে বিশ্বাস করতে পারো। আমি অনেক কম বয়সেই মা-বাবাকে হারিয়েছি, আমি জানি, তাঁদের আমি কতটা মিস করি।
একটা কথা মনে রেখো, সাফল্য অনেক আকাঙ্ক্ষিত হলেও, বেশির ভাগ সময়ই তা আমাদের বড় কিছু শেখাতে পারে না। আর সেজন্যই সফল হওয়ার চাবিকাঠি-জাতীয় কোনো উপদেশ আমি দেব না। সত্য কথা হলো, আমি যতটা সফল হয়েছি, তা পেরেছি কারণ আমি ব্যর্থতা মানতে পারতাম না। সফল হওয়ার জন্য আমি কখনো এতটা প্রাণপণ চেষ্টা করিনি, যতটা না করেছি ব্যর্থতাকে এড়ানোর জন্য। আমি খুব সাধারণ এক নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে। দারিদ্র্য কী জিনিস তা আমি খুব স্পষ্টভাবে চোখের সামনে দেখেছি। আমি জানি, তার আসল রূপ কতখানি নিষ্ঠুর। যখন আমার বাবা-মা মারা যান, দারিদ্র্যের নিষ্ঠুরতার সঙ্গে আর একটি শব্দ যোগ হয়—ব্যর্থতা। আমি কোনোমতেই আর দরিদ্র থাকতে চাইনি। তাই যখন আমি প্রথম অভিনয় শুরু করি, তার সঙ্গে সৃজনশীলতার কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমি যেসব সিনেমা করতাম, তার বেশির ভাগই ছিল অন্যদের ফেলে দেওয়া চরিত্র, অথবা এমন কিছু, যাতে কেউই অভিনয় করতে রাজি হয়নি। আমি সেসব চরিত্রের প্রতিটিতে অভিনয় করেছি, শুধু একটা কারণে, যাতে আমাকে বেকার বসে না থাকতে হয়। এসব করতে করতেই একসময় আমি বড় অভিনেতা হলাম। সাফল্য তার নিজের নিয়মেই আমার জীবনে এসেছে, আমি আমার নিজের কাজটুকু করেছি মাত্র। তাই আমার মনে হয়, ব্যর্থতার যথেষ্ট ভয় না থাকলে, ব্যর্থ হওয়ার অভিজ্ঞতা না থাকলে সফল হওয়া কঠিন। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে আমি কিছু কথা বলতে পারি।
১. ব্যর্থতা না থাকলে সফল হওয়া কঠিন। ব্যর্থ হওয়ার পর তোমার প্রতিক্রিয়াই নির্ধারণ করে তুমি এরপর সফল হবে কি না। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, যদি একটা উপায় কাজ না করে, তাহলে অন্য কোনো একটা নিশ্চয়ই করবে। তাই আমি চেষ্টা করে যাই।
২. একবার ব্যর্থ হলে আমি আরও বেশি কাজ করা শুরু করি, আরও বেশি চেষ্টা করতে থাকি। বেশির ভাগ সময় এতেই সাফল্য এসে ধরা দেয়।
৩. যখন একের পর এক ব্যর্থতা আসতে থাকে, তখন বুঝতে পারি, আমি হয়তো আমার নিজের সত্তাকে ভুলে আমি যা নই তা হতে চাইছি। তখন আমি আবার নিজের মধ্যে ফিরে আসি, যা আমার কাছে সত্যিকার অর্থেই গুরুত্ব বহন করে, আমি শুধু তাতেই মনোযোগ দিই।
৪. ব্যর্থতা তোমাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে কে তোমার প্রকৃত বন্ধু আর কে নয়। সংকটের মুহূর্তগুলোতেই আমাদের সম্পর্কগুলোর পরীক্ষা হয়ে যায়।
৫. যখন আমি ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠি, তখন নিজেকে আরও ভালো করে চিনতে পারি। নিজের সম্ভাবনাগুলোকে আবার নতুন করে আবিষ্কার করি। এভাবেই আমার আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠে।
জীবনটা আসলে কতগুলো অর্জন, সাফল্য, যোগ্যতা আর পুরস্কারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। জীবনকে জানো, স্বপ্ন দেখো; ব্যর্থ হলে ঘুরে দাঁড়াও। তোমার যা আছে তার উপযুক্ত মূল্য দিতে শেখো। লোকের কথায় কান দিয়ো না আর ব্যর্থতাকে ভুলে যেয়ো না। নিষ্ঠুর হলেও সে-ই প্রকৃত বন্ধু।
সূত্র: ওয়েবসাইট, ইংরেজি থেকে সংক্ষেপিত অনুবাদ: অঞ্জলি সরকার
(লেখাটি ১৮ এপ্রিল ২০১২ তারিখে দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত)
সব সময় তাগাদা দিতে হবে নিজেকে : ওবামা
আমরা আজ এখানে দর্শকসারিতে অনেক বড় মাপের অতিথিদের পেয়েছি। টেনেসির গভর্নর বিল হাসলাম রয়েছেন আমাদের মধ্যে। আসুন, সবাই তাঁকে করতালি দিয়ে স্বাগত জানাই। আমাদের মধ্যে আরও রয়েছেন সিনেটর বব কর্কার, সিনেটর ল্যামার আলেক্সান্ডার এবং সিনেটর স্টিভ কোহেন। এমনকি মেমফিসের নিজের মানুষ সিনেটর হ্যারল্ড ফোর্ড জুনিয়রও রয়েছেন আমাদের মধ্যে। আরও রয়েছেন মেমফিসের মেয়র এ সি হুয়ারটন। তাঁদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আজকের এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে।
আজ তোমাদের প্রত্যেককে নিয়ে আমি গর্বিত। কারণ, তোমরা শেষ পর্যন্ত অনেক শ্রম দিয়ে এ পর্যন্ত এসেছ। এর জন্য ধন্যবাদ জানাতে হবে তোমাদের শিক্ষকদের। তাঁরা সব সময় তোমাদের পড়াশোনা করানোকে তাঁদের চাকরির অংশ হিসেবে নয়, বরং নিজেদের দায়িত্ব হিসেবে চিন্তা করেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ দেওয়া উচিত তোমাদের পরিবারকে। তোমাদের বাবা-মা, ভাইবোন, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী—সবার অবদান রয়েছে এতে। কারণ, তাঁরা তোমার ওপর আস্থা রেখেছেন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠান মানেই হলো আনন্দের উপলক্ষ। কিন্তু আজকের এই সমাবর্তন যেন আরও বেশি আনন্দের। কারণ, আমি জানি, বুকার টি নিয়ে অনেকেই এতটা আশাবাদী ছিলেন না। অনেকেই মনে করত, এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের কড়া প্রতিযোগিতার মধ্যে কখনোই নিজেদের জায়গা করে নিতে পারবে না। কারণ, এই এলাকাটা অনুন্নত, এখানকার রাস্তাঘাট ভাঙাচোরা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও ভাঙাচোরা। এককথায় এখানকার শিক্ষার্থীরা উন্নত সুযোগ-সুবিধা তেমন পায় না বললেই চলে।
কিন্তু তোমরা প্রমাণ করেছ, তোমাদের প্রত্যেকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে বলেছ, ‘ইয়েস, উই ক্যান’। হ্যাঁ, আমরাও পারি। আমরা শিখতে পারি, আমরাও পারি সফল হতে। কোথা থেকে এসেছ, সেটা নয়; বরং কোথায় যেতে চাও, সেটাই যে তোমাদের আসল পরিচয়, তা প্রমাণ করেছ তোমরাই।
এই তো বছর খানেক আগের কথা। এমন একটা সময় ছিল, যখন এই প্রতিষ্ঠানের মাত্র অর্ধেক শিক্ষার্থীই পড়াশোনা শেষ করতে পারত। অনেক কাল ধরেই এই প্রতিষ্ঠানের মাত্র হাতে গোনা গুটিকয় শিক্ষার্থীই পারত পরবর্তী ধাপে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে। কিন্তু আজ তোমরা যে সবকিছু বদলে দিয়েছ!
এই প্রতিষ্ঠানে যারা নতুন পড়তে আসবে, তাদের সামনে এক অবিস্মরণীয় দৃষ্টান্ত তৈরি করেছ তোমরা। তোমরা এমন একটা ধারা তৈরি করতে পেরেছ, যা কি না পরিশ্রমীদের সাফল্য নিশ্চিত করে। এখানকার প্রতিটি শিক্ষার্থীর ওপর শিক্ষকেরা আস্থা রেখেছেন। এবং তারই ফলে আজ তোমাদের মধ্যে ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীই তাদের পড়াশোনা সম্পন্ন করতে পেরেছে সুন্দরভাবে। এবং সবচেয়ে বড় কথা হলো, তাদের অনেকেই এখন তাদের নিজের পরিবারের সবচেয়ে শিক্ষিত মানুষ।
আমি আজ এখানে এসেছি, কারণ আমি মনে করি, এমন সাফল্য যদি বুকার টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা পেতে পারে, তবে সেই সাফল্য মেমফিস এলাকাও অর্জন করতে পারে; এই সাফল্য যদি মেমফিস এলাকায় সম্ভব হয়, তাহলে তা সম্ভব হবে পুরো টেনেসি রাজ্যেও; আর টেনেসি রাজ্য যদি তা পারে, তাহলে পুরো যুক্তরাষ্ট্রও পারবে সফল হতে।
তবে এর জন্য আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন প্রতিটি মানুষই তার ঈশ্বর প্রদত্ত ক্ষমতার সঠিক প্রয়োগ করতে পারে। আমরা ‘রেস টু টপ’ প্রকল্প চালু করেছি এ জন্যই, যেন আমরা বুকার টির মতো সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের পাওয়া সাফল্যের জন্য উপযুক্ত সম্মান দিতে পারি।
আজ আমি তোমাদের সামনে এমনি এমনিই এসে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছি, তা কিন্তু নয়। আজ আমি এখানে তোমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছি, তার কারণ হলো আমার শিক্ষা। আমার যখন বয়স মাত্র দুই বছর, তখন আমার বাবা আমাদের রেখে চলে যান। আমার অসহায় মা আমাকে আর আমার বোনকে নিয়ে অমানবিক পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন সেই সময়। কিন্তু একটা বিষয়ে আমার মা, আমার নানা-নানি কখনো ছাড় দেননি আমাকে। সেটা হলো পড়াশোনা। তাঁরা সব সময় আমার পেছনে লেগে থাকতেন। আমার কোনো অজুহাত দেওয়ার উপায় ছিল না। আমার শিক্ষকেরাও আমার পেছনে অবিরত লেগে থাকতেন পড়াশোনার জন্য। আমার সৌভাগ্য, তাঁরা কখনো আমাকে পড়াশোনার জন্য তাগাদা দেওয়া থামাননি। ঠিক এমনটাই ঘটেছিল আমার স্ত্রী মিশেলের বেলায়ও। তার মা-বাবাও সব সময় তার পেছনে লেগে থাকতেন পড়াশোনার জন্য।
একটা কথা বলে রাখি, দেশের সাফল্যের জন্য তোমাদের মধ্যে কয়েকজন ভালো করলেই হবে না, তোমাদের সবাই সুশিক্ষায় শিক্ষিত হলেই সম্ভব হবে দেশের উন্নতি। শিক্ষার মাধ্যমে তোমরা সব ধরনের সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবে। আমার মনে আছে, ছোটবেলায় আমরা সব সময় আমাদের শিক্ষকদের প্রশ্ন করতাম, এসব ‘আলজেব্রা’ শিখে আমাদের কী লাভ? হ্যাঁ, এটা অবশ্যই সত্য যে কর্মজীবনে গিয়ে তোমাদের এক্স অথবা ওয়াইয়ের মান বের করতে হবে না। কিন্তু এসব অঙ্ক করার মাধ্যমে আসলে তোমাদের মস্তিষ্কের সব জট খুলে যাচ্ছে। এসব গণিতের সমস্যা সমাধান করে তোমরা সব ধরনের পরিস্থিতিতে বিভিন্ন তথ্য, সমস্যা ঠান্ডা মাথায় যুক্তি দিয়ে সমাধান করা শিখছ। অঙ্কের শিক্ষকদের বলি, আপনারা আপনাদের শিক্ষার্থীদের বলবেন, প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সবাইকে ভালোভাবে গণিত শিখতে হবে।
আপনারা পড়ছেন, সব সময় তাগাদা দিতে হবে নিজেকে : ওবামা
তোমাদের সবার নিজের নিজের গল্প আছে। অনেকেই অনেক কষ্ট করে এসেছ। দক্ষিণ মেমফিস অঞ্চল সব সময় ছিল অনুন্নত। এখানকার অধিবাসীরা হাত বাড়ালেই সবকিছু পেয়েছে, এমনটা কখনোই হয়নি। তোমরা যা চেয়েছ, তা চাওয়ামাত্র পেয়েছ, এটাও হয়নি কোনো দিন। কিন্তু এতে কষ্ট পাওয়ার কোনো কারণ নেই। বরং এটা গর্বের ব্যাপার। কারণ, তোমরা যা কিছু পেয়েছ, যত লক্ষ্য অতিক্রম করেছ, যত সাফল্য অর্জন করেছ, যত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছ, তার সবই তোমাদের নিজের, একেবারে নিজেদের কৃতিত্ব, নিজেদের পরিশ্রমের ফসল। এসব কারও অনুগ্রহের ফসল নয়।
কিন্তু শিক্ষার্থীরা, একটা কথা মনে রাখবে, আজ তোমাদের যাত্রা শেষ হলো তা নয়, আরও অনেক পথ বাকি রয়েছে। যাত্রা কেবল শুরু হলো। পথের প্রতিটি বাঁকেই নিজেকে ভালো, আরও ভালো করার জন্য তাগাদা দেওয়াটা কখনোই থামাবে না। সামনের দিনগুলোতে তোমরা কতটা সফল হবে, তার নিশ্চয়তা আমি দিতে পারি না; কিন্তু একটা কথা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, চলার পথে অনেক ভুল করবে তোমরা। অনেক কঠিন সময় আসবে। হয়তো হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বে। কিন্তু তোমরা যদি সব সময় নিজেকে তাগাদা দিতে থাকো, তাহলে সব সমস্যার সমাধান করতে পারবে নিজেই। আজ তোমরা যদি এই সংকল্প করো যে সব সময় ভালো কিছু করার জন্য নিজেকে তাগাদা দিতেই থাকবে, তাহলে আমি তোমাদের ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলতে পারি, যে শিক্ষা, ভালোবাসা, সাফল্য তোমরা বুকার টি স্কুল থেকে পেয়েছ, তা দিয়েই সারা বিশ্বে নিজেদের চিহ্ন এঁকে দিতে পারবে তোমরা।
ধন্যবাদ সবাইকে। ধন্যবাদ তোমাদের নিজের আত্মবিশ্বাস আমার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। ঈশ্বর তোমাদের সহায় হোন।
সূত্র: ওয়েবসাইট, ইংরেজি থেকে সংক্ষেপিত। অনুবাদ: ফয়সাল হাসান
নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন : সবুর খান
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সভাপতি ও ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান। বাংলাদেশের আইটি ব্যবসার প্রথম দিককার একজন ব্যবসায়ী তিনি। পরবর্তীতে একজন বিশ্ববিদ্যালয় উদ্যোক্তা। একসময় আইটি ব্যবসায়ীদের নেতৃত্ব দিলেও ডিসিসিআইয়ের সভাপতি হওয়ার সুবাদে এখন তিনি সাধারণ ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ সব ধরনের ব্যবসায়ীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অত্যান্ত সফলভাবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে পড়াশোনা শেষে ১৯৯০ সালে ব্যবসা শুরু করেন সবুর খান। ১৯৯২ সালে ড্যাফোডিল ডেস্কটপ পাবলিশিং সেন্টারকে আরো বড় আকারে গড়ে তোলেন এবং এই সময় থেকেই তিনি স্থানীয় বাজার থেকে সংগৃহীত কম্পিউটার অ্যাকসেসরিজ বিক্রি শুরু করেন। ১৯৯৩ সালে সিঙ্গাপুর থেকে আমদানিকৃত যন্ত্রাংশ দিয়ে তিনি সিডিকম ক্লোন পিসি অ্যাসেমব্লিং করে বাজারজাত শুরু করেন। ১৯৯৪ সালে তার নেতৃত্বে ড্যাফোডিল কম্পিউটার কমটেক ফেয়ারে অংশগ্রহণ করে এবং সাড়া জাগাতে সমর্থ হয়। প্রাত্যহিক জীবনে কম্পিউটারের প্রয়োগ, তথ্যপ্রযুক্তির ভবিষ্যত বিস্তৃতি, দ্রুত কার্যক্রম পরিচালনার দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে ঢাকার ধানমন্ডির রাসেল স্কয়ারে বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার সুপার স্টোর গড়ে তোলেন। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসাবে ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট চালু হয়।
সবুর খান ২০০২-২০০৩ সালে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতির দায়িত্ব পান। এর আগে তিনি ২০০৪-২০০৬ মেয়াদে ঢাকা চেম্বারের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ২০০২-২০০৩ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একই সঙ্গে ইসলামিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টস ফোরামসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান। সম্প্রতি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে সমস্যা ও সম্ভাবনা, পোশাকের সমস্যা ও সম্ভাবনা, ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার, ঢাকা চেম্বারের কার্যক্রম, ড্যাফোবিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মমুখী শিক্ষাসহ নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি মাসিক মসলিনের সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মাসিক মসলিনের সহযোগী সম্পাদক এম এ জোবায়ের।
প্রশ্ন : দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যবসা-বাণিজ্যের বর্তমান অবস্থাকে কিভাবে দেখছেন?
উত্তর: আমাদের দেশের উদ্যোক্তারা অত্যান্ত মানসিক স্পৃহার সঙ্গে এগিয়ে আসছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ হরতালসহ রাজনৈতিক সহিংসতা বেড়ে চলছে, তারপরও আমাদের উদ্যোক্তারা সাহসিকতার সঙ্গে সবকিছু মোকাবিলা করছে। তবে যদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকত তাহলে ব্যবসায়ীদের এ গতি আরো কয়েকগুণ বেড়ে যেত, অর্থনীতিও লাভবান হতো। হরতাল বা যে কোনো রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশে বাণিজ্য প্রতিনিধি দল কাক্সিক্ষত হারে আসছে না বা আসতেও পারছে না। এতে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়া এ অস্থিরতায় একজন ব্যবসায়ী অর্থনৈতিকভাবে যতটা না ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার চেয়ে বেশি সে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে নতুন প্রজন্ম হতাশাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।
প্রশ্ন : জাতীয় নির্বাচনের বছরগুলোতে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য তথা অর্থনীতিতে কিছুটা শ্লথ গতি দেখা যায়। এ থেকে উত্তরণে কার কি করণীয় রয়েছে বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর: অর্থনীতির শ্লথ গতি থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের রাজনীতিবীদদের দেশের মানুষের কথা ভেবে রাজনৈতিক সহিংসতা থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে হবে। মানুষের জন্যই রাজনীতি, রাজনীতির জন্য মানুষ নয়। রাজনীতি হবে সব উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু। ক্ষমতা নিয়ে হানাহানি, মারামারি কারও কাম্য নয়। দেশের ক্ষতি মানে দেশের মানুষের ক্ষতি এমনকি রাজনীতিবিদদেরও ক্ষতি, কারণ তারাও দেশের বাইরে নয়। রাজনীতিতে সমঝোতা ও ছাড় দেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে, তবেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে। আমরা বর্তমানে দেখতে পাচ্ছি প্রতিহিংসার রাজনীতি। নেতৃত্বের বড় গুণাবলি হচ্ছে ত্যাগ। জনমানুষের সঙ্গে আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের সম্পৃক্ততা কম বলে মনে হয়। মনে রাখতে হবে যে একজন ত্যাগী নেতাকে ইতিহাস হাজার বছর মনে রাখে। নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে রাজনীতিবিদরা জনগণের কাছে আসে। সাধারণ জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষমতা ছাড়ার আগের দিন পর্যন্ত বজায় রাখতে হবে।
প্রশ্ন : সাভার ট্র্যাজেডি পরবর্তী দেশের রফতানি বাণিজ্য বিশেষ করে পোশাক খাত কোন পথে যাচ্ছে?
উত্তর: সাভার ট্র্যাজেডি বা রানা প্লাজার ঘটনাটি বাংলাদেশের জন্য প্রাথমিকভাবে কিছুটা ক্ষতির কারণ হলেও আমি মনে করি এ ঘটনা আমাদের একটি অনন্য সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। এখন আমাদের ব্যবস্থা নিতেই হবে। এ বিপর্যয় থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। এখন আমাদের কারখানার অভ্যন্তরে কমপ্লায়েন্স, নিরাপত্তা, শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে ভাবতে হবে। পাশাপাশি এ দুর্ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের পুনর্বাসনে যদি আমরা কোন ব্যবস্থা নিতে না পারি তাহলে তা বিশ্ব দরবারে একটি খারাপ দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হবে। সাভারের একটি ঘটনা আমাদের অনেকগুলো বিষয়কে স্মরণ করিয়ে দেয়। কোথায় কোথায় অনিয়ম, দূর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, সবকিছুকে বের করে তা সমাধান করতে হবে। তাই আমি মনে করি এ ঘটনা আমাদের একটি সুযোগ করে দিয়েছে।
প্রশ্ন : রফতানির নতুন বাজার তৈরি এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ডিসিসিআইয়ের পদক্ষেপ ও কার্যক্রম সম্পর্কে বলুন।
উত্তর : রফতানির নতুন বাজার তৈরি বা দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ডিসিসিআই সর্বদাই কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি ডিসিসিআইতে আমরা একটি হেল্প ডেস্ক চালু করতে সক্ষম হয়েছি। ফলে একজন নতুন উদ্যোক্তাকে তার ব্যবসা নিবন্ধনের জন্য আর আরজেএসসি’তে যেতে হবে না। আমার ইতোমধ্যেই আরজেএসসি’র সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি। এখন থেকে আরজেএসসির নিবন্ধন সেবা ডিসিসিআই থেকেই পাওয়া যাবে। তাছাড়া আমরা আমাদের অত্যন্ত রিসোর্সফুল ওয়েবসাইটিতে বিটুবি সার্ভিসের ব্যবস্থা রেখেছি যেখানে ডিসিসিআই’র সব সদস্যদের তথ্য অনলাইনে পাওয়া যাবে। এ ধরনের সেবা ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্যই। তাছাড়া ডিসিসিআই বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত প্রয়োজনীয় সুপারিশমালা প্রেরণের মাধ্যমে সরকারকে নীতিসহায়তা দিয়ে আসছে। বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণ এবং রফতানির বাজার সম্প্রসারণে নিয়মিত সেমিনার, সাংবাদিক সম্মেলন, ওয়ার্কশপেরও আয়োজন করছি। এবছর ডিসিসিআই বাণিজ্য প্রতিনিধি দল মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার কয়েকটি দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণে বাণিজ্যমেলা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, বাণিজ্য-আলোচনা অনুষ্ঠান, বিভিন্ন চেম্বারের সঙ্গে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ডিসিসিআই বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তাছাড়াও বাংলাদেশের বিপুল জনগোষ্ঠী দেশের বাইরে ব্যবসা করছে। এসব এনআরবি ব্যবসায়ীকে কিভাবে দেশের মূলধারার অর্থনীতিতে সম্পৃক্ত করা যায় সে লক্ষ্যেও ডিসিসিআই কাজ করে যাচ্ছে।
প্রশ্ন : ডিসিসিআইয়ের ২০০০ নতুন উদ্যোক্তা তৈরির প্রক্রিয়াটি কিভাবে হবে? কেমন সাড়া পাচ্ছেন এতে?
উত্তর : দেশের ক্রমবর্ধমান কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে ডিসিসিআই বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় এ বছর ২০০০ নতুন উদ্যোক্তা তৈরির এ মহতী প্রকল্প হাতে নিয়েছে। উদ্যোক্তা তৈরির প্রক্রিয়াটি আমরা অত্যন্ত সহজ করে নির্ধারণ করেছি। আমরা এ লক্ষ্যে িি.িনঁংরহবংং.ড়ৎম.নফ নামের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছি। উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী যে কেউ এ ওয়েবসাইটে লগইন করে তাঁর ইঁংরহবংং ওফবধ জমা দিতে পারবে। তাছাড়াও আগ্রহী যে কোন ব্যক্তি সরাসরি ডিসিসিআইতে এসে তাঁর বিজনেস আইডিয়ার হার্ড কপিও জমা দিতে পারবেন। ডিসিসিআই পরবর্তীতে এ সকল জমাকৃত বিজনেস আইডিয়া যাচাই বাছাই করে সেরা ২০০০টি প্রকল্প উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরির জন্য নির্ধারণ করবে। আমরা উদ্যোক্তা তৈরির এ প্রকল্পে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছি। তবে আমরা এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘড়হ-ঞৎধফরঃরড়হধষ ও বহুমুখী বিজনেস আইডিয়াগুলোকে প্রাধান্য দিব।
প্রশ্ন : আপনি একজন আইটি ব্যবসায়ী থেকে বিশ্ববিদ্যালয় উদ্যোক্তা। তারপর ডিসিসিআইয়ের সভাপতি হিসেবে এখন সাধারণ ব্যবসায়ীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। নিজেকে কিভাবে মূল্যায়ন করেন?
উত্তর : আমি প্রথম থেকেই আমার যে কোনো কাজে পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। আমি গঁষঃর উরসবহংরড়হধষ কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে কার্যকরভাবে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আমি আমার পূর্ব অভিজ্ঞতাকে যে কোনো কাজে প্রয়োগ করার চেষ্টা করি। আমি যে সকল উপদেশ পাই সেগুলোকেও আমার কাজে প্রয়োগ করার চেষ্টা করি।
আপনারা পড়ছেন, নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন : সবুর খান
প্রশ্ন : একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে আপনার নিজের গল্পটা কেমন?
উত্তর : যে কোনো ব্যবসার শুরুটা খুব মসৃণ হয় না। আমার ব্যবসার শুরুতেও তেমনি অনেক চ্যালেঞ্জ, প্রতিবন্ধকতা, বাধা, বিপত্তি, ঝুঁকি, অপর্যাপ্ত পুঁজির সমস্যা, প্রতিযোগিতা ছিল। তবে ধৈর্য, সততা, নেটওয়ার্কিং ইত্যাদির মাধ্যমে কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। এখনো ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রতিদিন নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়।
প্রশ্ন : নতুন উদ্যোক্তা হতে আমাদের দেশে কি কি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়?
উত্তর : এক্ষেত্রে আমি বলবো সর্বপ্রথম ক্যারিয়ার মাইন্ডসেট ঠিক করতে হবে। সেই সঙ্গে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আত্মবিশ্বাস অর্জন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য। আমরা অনেক সময় দেখতে পাই যে কেউ কেউ ব্যবসা শুরু করেই রাতারাতি ধনী হতে চায়। এমন ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। নতুন উদ্যোক্তা হতে হলে সর্বাগ্রে ধৈর্যশীল হতে হবে। তাছাড়া ঘাত, প্রতিঘাত, ক্ষতি, সমস্যা ইত্যাদি মোকাবিলা করার সাহসিকতা থাকতে হবে। তবে ধৈর্য সহকারে ব্যবসা ধরে রাখলে তাতে সফলতা আসবেই।
প্রশ্ন : নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-কার্যক্রম কতটা বাস্তবসম্মত?
উত্তর : ইতমধ্যে ঢাকা চেম্বার ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মধ্যে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য বিবিএ ইন লিডারশিপ অ্যান্ড ইন্ট্রাপ্রিনিউরশিপ নামের একটি কোর্স চালু করা যায় কিনা তার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এ কোর্সটি যথেষ্ট বাস্তবসম্মত হবে বলে আমি আশা করি এবং তা নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে ভবিষ্যতে কাজ করবে।
প্রশ্ন : দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে আরো প্রযুক্তিনির্ভর করতে আপনার ও ডিসিসিআইয়ের ভূমিকা সম্পর্কে বলুন।
উত্তর : ঢাকা চেম্বারে পরিপূর্ণভাবে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ঢাকা চেম্বারের ওয়েবসাইটটি এখন অনেক রিসোর্সফুল। এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডিসিসিআই’র সকল সদস্যবৃন্দের তথ্য অনলাইনেই পাওয়া যাবে। তাছাড়া ডিসিসিআই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকে বিটুবি সেবা গ্রহণ করা যাবে। ডিসিসিআই’র দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড এখন এর ওয়েবসাইটে দেখা যাবে। ডিসিসিআই বিজনেস ইনস্টিটিউট (ডিবিআই) এর বার্ষিক ট্রেনিং ক্যালেন্ডার এ ওয়েবসাইটেই পাওয়া যায়। তাছাড়াও কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিংক আমাদের ওয়েবসাইটে দেয়া আছে। আমি মনে করি ডিসিসিআই ওয়েবসাইট একজন ব্যবসায়ীকে তার সঠিক পার্টনার খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।
প্রশ্ন : আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্ট রয়েছে। কেন এই বিভাগ? টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগ থেকে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বিভাগ কতটুকু কর্মমুখী বলে মনে করেন?
উত্তর : আমাদের ডিপার্টমেন্টগুলোর সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রি’র সম্পৃক্ততা আছে। ডিআইইউ’র কোর্স কারিকুলাম বাস্তবতার নিরিখেই ডিজাইন করা হয়। উত্তরোত্তর আরো উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ডিআইইউ’র টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্টকে যথেষ্ট প্রতিযোগী সক্ষম করে গড়ে তোলা হয়েছে।
প্রশ্ন : টেক্সটাইল প্রকৌশলীদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বলুন। বর্তমান যুগের ফ্যাশন ও টেকনোলজির সঙ্গে তাদের সম্পর্কের মূল্যায়ন কিভাবে করবেন?
উত্তর : বাংলাদেশের টেক্সটাইল প্রকৌশলীদের ভবিষ্যৎ অনেক ভালো। তাছাড়া বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্প এখন যে অবস্থানে এসেছে প্রতিনিয়ত এর উৎকর্ষ সাধিত হচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ। তবে আমি বিশ্বাস করি একদিন বাংলাদেশ এ খাতে প্রথম স্থান দখল করে নিবে। পাশাপাশি অনেক ভেলুএডেড সার্ভিস চালু হচ্ছে। ফ্যাশন ডিজাইনে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা অনেক ভালো করছে। যখন ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমি সম্পর্ক আরো উন্নত হবে তখন আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের মান আরো উন্নত হবে। তার মানে এই নয় যে, আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের মান খারাপ। আমাদের ইঞ্জিনিয়ারদের বিশ্বের অন্য অনেক দেশের তুলনায় অনেক ভালো বলে আমি মনে করি।
সূত্র : মাসিক মসলিন
তরুণরা উদ্যোক্তা হলে অর্থনৈতিক দৃশ্যপট বদলে যাবে
গতকাল ০৬ অক্টোবর ২০১৩, রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে ওমেন ভলান্টারি অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউভিএ) মিলনায়তনে আয়োজিত উদ্যোক্তা হাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। হাটের উদ্বোধন করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি মো. সবুর খান।
বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) উদ্যোগে এবং ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ ‘চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব’র আয়োজনে প্রথমবারের মতো এবার উদ্যোক্তা হাট চালু হলো। আয়োজনে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ও মিডিয়া পার্টনার বণিক বার্তা।
অনুষ্ঠানে সবুর খান বলেন, ‘আমাদের দেশের জনসংখ্যার অধিকাংশই তরুণ। তাই আমরা যদি এ তরুণ সমাজকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে পারি, তাহলে দেশের অর্থনৈতিক দৃশ্যপটই বদলে যাবে এবং দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।’ ডিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তার ব্যাপারে নানা উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
আপনারা পড়ছেন, তরুণরা উদ্যোক্তা হলে অর্থনৈতিক দৃশ্যপট বদলে যাবে
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, বেসিসের সাবেক সভাপতি মাহবুব জামান, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বিডি ভেঞ্চার লিমিটেডের সভাপতি শওকত হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নতুন উদ্যোক্তাদের শুরুতে সফল হতে হলে অল্প পুঁজি দিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।
এক্ষেত্রে শুরুতে ভালো কয়েকজন গ্রাহককে টার্গেট করে তাদের সন্তুষ্ট করে পরবর্তী সময়ে আরো গ্রাহকের ব্যাপারে কাজ করতে হবে।
তারা বলেন, বর্তমানে দেশে বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। প্রতি বছরই কর্মবাজারে নতুন ২১ লাখ তরুণ-তরুণী যুক্ত হচ্ছেন। বিশ্বব্যাপী এগিয়ে যাওয়া ও অগ্রসরমাণ দেশগুলো বেকারত্ব সমস্যার সমাধান করেছে উদ্যোক্তা তৈরি করে। এসব ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা একই সঙ্গে দেশজ উৎপাদন যেমন বাড়ান, তেমনি তারা কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করেন।
সূত্র : বনিক বার্তা
তরুণ উদ্যোক্তা এরিক ফিজেলবর্গ
লেখক: প্রাঞ্জল সেলিম
তখনো তিনি হাই স্কুলের গণ্ডি পার হননি, অথচ এর মধেই ১১টি ওয়েব বেইজড কোম্পানির মালিক হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই ১৭ বছর বয়সী এই তরুণ উদ্যোক্তার কথা লিখেছেন প্রাঞ্জল সেলিম
সাধারণত দেখা যায় স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছাত্ররা হাত খরচের টাকা দিয়ে শখের কোনো জিনিস কেনে। কিন্তু এরিক ছিলেন একটু অন্য রকমের। তিনি এই টাকা কখনও খরচ করতেন না। জমিয়ে রাখতেন। সেই সময় থেকেই তিনি চিন্তা করতেন ব্যবসা করার। আর সেজন্যই জমাতেন এই টাকা।
ব্যস, গ্র্যাজুয়েশন শুরু করার আগেই আপলোড করে দিলেন তার ওয়েবসাইটগুলো। মোট ১১টি সাইট খুলেছিলেন তিনি। সেগুলোর সবই বলা যায় নন-প্রফিটেবল ছিল। তার প্রজেক্টগুলোর মধ্যে এমন সাইটও ছিল, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সেমিস্টারের প্রজেক্ট ওয়ার্কের বিবরণ দেওয়া থাকত, এমনকি সেগুলোর সমাধানও থাকত। মূলত এই ধরনের কাজের জন্যই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। এ প্রজেক্টগুলো ভালোই চলছিল। একসময় তার কাছ থেকে একটি কোম্পানি তার ওয়েব সাইট কিনতে চাইল। তিনিও রাজি হলেন। ১১টি থেকে তিনটি ওয়েবসাইট বিক্রি করে দিলেন তিনি। ট্রিকার টক, রামানিয়া ফাউন্ডেশন এবং ক্লাসলিফ নামের সাইটগুলো বিক্রি করে দিয়েছিলেন তিনি।
পোকাটা তার মাথায় ঢুকেছিল স্টিভ জবসের গল্প পড়ে ও শুনে। তাদের ক্লাসের আরও অনেকে অনুপ্রাণিত ছিলেন এই স্টিভ জবসের কাজে। কিন্তু তার মতো করে বুকে নিয়ে এগিয়ে যেতে পেরেছে খুব কম মানুষই। বিখ্যাত আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা জবসের জীবনের শুরুটাও খানিকটা এলোমেলো। পড়ালেখায় মন ছিল না, বাদ পড়ে গিয়েছিলেন কলেজ থেকে। এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র একুশ বছর বয়সে মনের মতো কম্পিউটার বানানোর চিন্তা থেকে অ্যাপলের শুরু।
নিজের কম্পিউটার নেড়েচেড়ে সে রকমই কিছু করার ইচ্ছাটা হয়তো উঁকি দিয়েছিল ওয়েনসের মাথায়। ইচ্ছাকে প্রশ্রয় দিয়ে যেটা করে বসল তাতে অন্তত একদিক থেকে শুধু জবস কেন, অন্য সবাইকে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি। মাত্র ১৬ বছর বয়সে হয়ে গেছে মিলিয়ন পাউন্ডের মালিক। মাত্র সাত বছর বয়সে তার হাতেখড়ি কম্পিউটার চালানোয়। প্রথমে সারাক্ষণ এ যন্ত্রটি নিয়েই মেতে থাকতেন। ফলে অল্প কয়েক দিনে ওয়েব ডিজাইনের মতো জটিল সব কারবার তার আয়ত্তে চলে আসে। ১০ বছর বয়সে পেয়েছিলেন একটি মেকিন্টোশ কম্পিউটার। তখন এতে ছোটখাটো প্রোগ্রাম বানাতে শুরু করেন তিনি। চার বছর পর ২০০৮ সালে হাতখরচের পয়সা বাঁচিয়ে নিজের একটি ওয়েবসাইট খোলেন। নাম দেয় ম্যাক বঙ্ বান্ডেল। সেখান থেকে তার তৈরি প্রোগ্রাম বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের মানুষ কিনতে পারতেন টাকার বিনিময়ে। ব্যবসায়িক বুদ্ধি অবশ্য ভালোই খাটিয়েছেন ছোট্ট এরিক। নিজের পাশাপাশি অন্যান্য নির্মাতার বানানো প্রোগ্রামও বিক্রির সুযোগ করে দিয়েছিলেন তার সাইটে। কেউ একসঙ্গে অনেক প্রোগ্রাম কিনতে চাইলে কখনো ১০ শতাংশ দামে বিক্রি করে দিতেন তিনি। আর প্রতিটি প্রোগ্রাম বিক্রির কিছু অংশ কোষাগারে জমা হতো সেবামূলক কাজে ব্যয়ের জন্য। এতে অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পেয়ে যান তিনি। একই সঙ্গে ভারি হতে থাকে তার টাকার ঝোলা। দুই বছরের মাথায় আয় পৌঁছে যায় ৭০ হাজার পাউন্ডে।
আ্পনারা পড়ছেন, তরুণ উদ্যোক্তা এরিক ফিজেলবর্গ
দ্রুত সাফল্য পেয়ে থেমে যাননি তিনি। এরপর বেছে নিয়েছে ইন্টারনেটভিত্তিক বিজ্ঞাপনের কাজ। এরপর ব্রাঞ্চর নামে বিজ্ঞাপন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে নতুন একটি ওয়েবসাইট খোলেন তিনি। এখান থেকে মাসে অন্তত ৩০০ মিলিয়ন বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে যায় ইন্টারনেট ও আইফোনে। সেসব বিজ্ঞাপনে কেউ ক্লিক করামাত্র টাকা চলে আসে ওয়েনসের নামে। এরই মধ্যে এই ব্যবসা থেকে পাওয়া গেছে পাঁচ লাখ পাউন্ড। উইলিয়াম হিলের মতো বড় বড় কোম্পানি এখন তার সেবা গ্রহণ করে।
দুটি প্রতিষ্ঠানের হর্তাকর্তা তিনি নিজে। এর সদর দপ্তর তার ঘরে কম্পিউটারের সামনের জায়গাটুকু। এখানে তিনি আবার চাকরিও দিয়েছে আটজনকে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে বাস করা কর্মীরা সবাই বয়সে তার চেয়ে বড়। তারা ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নানাভাবে সাহায্য করে তাকে। স্কুল শেষে ও সপ্তাহান্তে অবসর পেলে তিনি বসে যান ব্যবসার কাজে। সামনের বছরে দুটো শাখা খোলার পরিকল্পনা আছে তার। ব্যবসা নিয়ে কেউ কথা বলতে এলে বেশ ভারিক্কিভাব চলে আসে তার মধ্যে। নাকের ওপর চশমাটা পেছনে ঠেলে আরও শক্ত করে বসিয়ে নেন।
ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘১০ বছর পরে কেমন থাকব তা জানি না, কিন্তু ১০০ মিলিয়ন আয় না করা পর্যন্ত থামছি না।’ তিনি চান তার ছেলেবেলার নায়ক স্টিভ জবসের মতো তার নামও সবার মুখে মুখে প্রচারিত হোক।
সম্প্রতি তিনি একটি বিশাল প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছেন। ২০১৩-এর শেষ দিকে সেটার প্রকাশ ঘটবে বলে জানিয়েছেন তিনি, তবে কী নিয়ে কাজ করছেন সে সম্পর্কে কোনো ধারণাই দিতে চাননি এই তরুণ প্রতিভা।
সূত্র: ইত্তেফাক