.....


লেখকঃ এম এ জোবায়ের

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সভাপতি ও ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান। বাংলাদেশের আইটি ব্যবসার প্রথম দিককার একজন ব্যবসায়ী তিনি। পরবর্তীতে একজন বিশ্ববিদ্যালয় উদ্যোক্তা। একসময় আইটি ব্যবসায়ীদের নেতৃত্ব দিলেও ডিসিসিআইয়ের সভাপতি হওয়ার সুবাদে এখন তিনি সাধারণ ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ সব ধরনের ব্যবসায়ীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অত্যান্ত সফলভাবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে পড়াশোনা শেষে ১৯৯০ সালে ব্যবসা শুরু করেন সবুর খান। ১৯৯২ সালে ড্যাফোডিল ডেস্কটপ পাবলিশিং সেন্টারকে আরো বড় আকারে গড়ে তোলেন এবং এই সময় থেকেই তিনি স্থানীয় বাজার থেকে সংগৃহীত কম্পিউটার অ্যাকসেসরিজ বিক্রি শুরু করেন। ১৯৯৩ সালে সিঙ্গাপুর থেকে আমদানিকৃত যন্ত্রাংশ দিয়ে তিনি সিডিকম ক্লোন পিসি অ্যাসেমব্লিং করে বাজারজাত শুরু করেন। ১৯৯৪ সালে তার নেতৃত্বে ড্যাফোডিল কম্পিউটার কমটেক ফেয়ারে অংশগ্রহণ করে এবং সাড়া জাগাতে সমর্থ হয়। প্রাত্যহিক জীবনে কম্পিউটারের প্রয়োগ, তথ্যপ্রযুক্তির ভবিষ্যত বিস্তৃতি, দ্রুত কার্যক্রম পরিচালনার দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে ঢাকার ধানমন্ডির রাসেল স্কয়ারে বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার সুপার স্টোর গড়ে তোলেন। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসাবে ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট চালু হয়।

সবুর খান ২০০২-২০০৩ সালে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতির দায়িত্ব পান। এর আগে তিনি ২০০৪-২০০৬ মেয়াদে ঢাকা চেম্বারের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ২০০২-২০০৩ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একই সঙ্গে ইসলামিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টস ফোরামসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান। সম্প্রতি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে সমস্যা ও সম্ভাবনা, পোশাকের সমস্যা ও সম্ভাবনা, ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার, ঢাকা চেম্বারের কার্যক্রম, ড্যাফোবিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মমুখী শিক্ষাসহ নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি মাসিক মসলিনের সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মাসিক মসলিনের সহযোগী সম্পাদক এম এ জোবায়ের।

প্রশ্ন : দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যবসা-বাণিজ্যের বর্তমান অবস্থাকে কিভাবে দেখছেন?

উত্তর: আমাদের দেশের উদ্যোক্তারা অত্যান্ত মানসিক স্পৃহার সঙ্গে এগিয়ে আসছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ হরতালসহ রাজনৈতিক সহিংসতা বেড়ে চলছে, তারপরও আমাদের উদ্যোক্তারা সাহসিকতার সঙ্গে সবকিছু মোকাবিলা করছে। তবে যদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকত তাহলে ব্যবসায়ীদের এ গতি আরো কয়েকগুণ বেড়ে যেত, অর্থনীতিও লাভবান হতো। হরতাল বা যে কোনো রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশে বাণিজ্য প্রতিনিধি দল কাক্সিক্ষত হারে আসছে না বা আসতেও পারছে না। এতে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়া এ অস্থিরতায় একজন ব্যবসায়ী অর্থনৈতিকভাবে যতটা না ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার চেয়ে বেশি সে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে নতুন প্রজন্ম হতাশাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।

প্রশ্ন : জাতীয় নির্বাচনের বছরগুলোতে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য তথা অর্থনীতিতে কিছুটা শ্লথ গতি দেখা যায়। এ থেকে উত্তরণে কার কি করণীয় রয়েছে বলে আপনি মনে করেন?

উত্তর: অর্থনীতির শ্লথ গতি থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের রাজনীতিবীদদের দেশের মানুষের কথা ভেবে রাজনৈতিক সহিংসতা থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে হবে। মানুষের জন্যই রাজনীতি, রাজনীতির জন্য মানুষ নয়। রাজনীতি হবে সব উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু। ক্ষমতা নিয়ে হানাহানি, মারামারি কারও কাম্য নয়। দেশের ক্ষতি মানে দেশের মানুষের ক্ষতি এমনকি রাজনীতিবিদদেরও ক্ষতি, কারণ তারাও দেশের বাইরে নয়। রাজনীতিতে সমঝোতা ও ছাড় দেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে, তবেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে। আমরা বর্তমানে দেখতে পাচ্ছি প্রতিহিংসার রাজনীতি। নেতৃত্বের বড় গুণাবলি হচ্ছে ত্যাগ। জনমানুষের সঙ্গে আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের সম্পৃক্ততা কম বলে মনে হয়। মনে রাখতে হবে যে একজন ত্যাগী নেতাকে ইতিহাস হাজার বছর মনে রাখে। নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে রাজনীতিবিদরা জনগণের কাছে আসে। সাধারণ জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষমতা ছাড়ার আগের দিন পর্যন্ত বজায় রাখতে হবে।

প্রশ্ন : সাভার ট্র্যাজেডি পরবর্তী দেশের রফতানি বাণিজ্য বিশেষ করে পোশাক খাত কোন পথে যাচ্ছে?

উত্তর: সাভার ট্র্যাজেডি বা রানা প্লাজার ঘটনাটি বাংলাদেশের জন্য প্রাথমিকভাবে কিছুটা ক্ষতির কারণ হলেও আমি মনে করি এ ঘটনা আমাদের একটি অনন্য সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। এখন আমাদের ব্যবস্থা নিতেই হবে। এ বিপর্যয় থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। এখন আমাদের কারখানার অভ্যন্তরে কমপ্লায়েন্স, নিরাপত্তা, শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে ভাবতে হবে। পাশাপাশি এ দুর্ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের পুনর্বাসনে যদি আমরা কোন ব্যবস্থা নিতে না পারি তাহলে তা বিশ্ব দরবারে একটি খারাপ দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হবে। সাভারের একটি ঘটনা আমাদের অনেকগুলো বিষয়কে স্মরণ করিয়ে দেয়। কোথায় কোথায় অনিয়ম, দূর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, সবকিছুকে বের করে তা সমাধান করতে হবে। তাই আমি মনে করি এ ঘটনা আমাদের একটি সুযোগ করে দিয়েছে।

প্রশ্ন : রফতানির নতুন বাজার তৈরি এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ডিসিসিআইয়ের পদক্ষেপ ও কার্যক্রম সম্পর্কে বলুন।

উত্তর : রফতানির নতুন বাজার তৈরি বা দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ডিসিসিআই সর্বদাই কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি ডিসিসিআইতে আমরা একটি হেল্প ডেস্ক চালু করতে সক্ষম হয়েছি। ফলে একজন নতুন উদ্যোক্তাকে তার ব্যবসা নিবন্ধনের জন্য আর আরজেএসসি’তে যেতে হবে না। আমার ইতোমধ্যেই আরজেএসসি’র সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি। এখন থেকে আরজেএসসির নিবন্ধন সেবা ডিসিসিআই থেকেই পাওয়া যাবে। তাছাড়া আমরা আমাদের অত্যন্ত রিসোর্সফুল ওয়েবসাইটিতে বিটুবি সার্ভিসের ব্যবস্থা রেখেছি যেখানে ডিসিসিআই’র সব সদস্যদের তথ্য অনলাইনে পাওয়া যাবে। এ ধরনের সেবা ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্যই। তাছাড়া ডিসিসিআই বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত প্রয়োজনীয় সুপারিশমালা প্রেরণের মাধ্যমে সরকারকে নীতিসহায়তা দিয়ে আসছে। বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণ এবং রফতানির বাজার সম্প্রসারণে নিয়মিত সেমিনার, সাংবাদিক সম্মেলন, ওয়ার্কশপেরও আয়োজন করছি। এবছর ডিসিসিআই বাণিজ্য প্রতিনিধি দল মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার কয়েকটি দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণে বাণিজ্যমেলা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, বাণিজ্য-আলোচনা অনুষ্ঠান, বিভিন্ন চেম্বারের সঙ্গে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ডিসিসিআই বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তাছাড়াও বাংলাদেশের বিপুল জনগোষ্ঠী দেশের বাইরে ব্যবসা করছে। এসব এনআরবি ব্যবসায়ীকে কিভাবে দেশের মূলধারার অর্থনীতিতে সম্পৃক্ত করা যায় সে লক্ষ্যেও ডিসিসিআই কাজ করে যাচ্ছে।

প্রশ্ন : ডিসিসিআইয়ের ২০০০ নতুন উদ্যোক্তা তৈরির প্রক্রিয়াটি কিভাবে হবে? কেমন সাড়া পাচ্ছেন এতে?

উত্তর : দেশের ক্রমবর্ধমান কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে ডিসিসিআই বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় এ বছর ২০০০ নতুন উদ্যোক্তা তৈরির এ মহতী প্রকল্প হাতে নিয়েছে। উদ্যোক্তা তৈরির প্রক্রিয়াটি আমরা অত্যন্ত সহজ করে নির্ধারণ করেছি। আমরা এ লক্ষ্যে িি.িনঁংরহবংং.ড়ৎম.নফ নামের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছি। উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী যে কেউ এ ওয়েবসাইটে লগইন করে তাঁর ইঁংরহবংং ওফবধ জমা দিতে পারবে। তাছাড়াও আগ্রহী যে কোন ব্যক্তি সরাসরি ডিসিসিআইতে এসে তাঁর বিজনেস আইডিয়ার হার্ড কপিও জমা দিতে পারবেন।  ডিসিসিআই পরবর্তীতে এ সকল জমাকৃত বিজনেস আইডিয়া যাচাই বাছাই করে সেরা ২০০০টি প্রকল্প উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরির জন্য নির্ধারণ করবে। আমরা উদ্যোক্তা তৈরির এ প্রকল্পে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছি। তবে আমরা এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘড়হ-ঞৎধফরঃরড়হধষ ও বহুমুখী বিজনেস আইডিয়াগুলোকে প্রাধান্য দিব।

প্রশ্ন : আপনি একজন আইটি ব্যবসায়ী থেকে বিশ্ববিদ্যালয় উদ্যোক্তা। তারপর ডিসিসিআইয়ের সভাপতি হিসেবে এখন সাধারণ ব্যবসায়ীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। নিজেকে কিভাবে মূল্যায়ন করেন?

উত্তর : আমি প্রথম থেকেই আমার যে কোনো কাজে পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। আমি গঁষঃর উরসবহংরড়হধষ কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে কার্যকরভাবে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আমি আমার পূর্ব অভিজ্ঞতাকে যে কোনো কাজে প্রয়োগ করার চেষ্টা করি। আমি যে সকল উপদেশ পাই সেগুলোকেও আমার কাজে প্রয়োগ করার চেষ্টা করি।

আপনারা পড়ছেন, নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন : সবুর খান

প্রশ্ন : একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে আপনার নিজের গল্পটা কেমন?

উত্তর : যে কোনো ব্যবসার শুরুটা খুব মসৃণ হয় না। আমার ব্যবসার শুরুতেও তেমনি অনেক চ্যালেঞ্জ, প্রতিবন্ধকতা, বাধা, বিপত্তি, ঝুঁকি, অপর্যাপ্ত পুঁজির সমস্যা, প্রতিযোগিতা ছিল। তবে ধৈর্য, সততা, নেটওয়ার্কিং ইত্যাদির মাধ্যমে কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। এখনো ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রতিদিন নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়।

প্রশ্ন : নতুন উদ্যোক্তা হতে আমাদের দেশে কি কি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়?

উত্তর : এক্ষেত্রে আমি বলবো সর্বপ্রথম ক্যারিয়ার মাইন্ডসেট ঠিক করতে হবে। সেই সঙ্গে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আত্মবিশ্বাস অর্জন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য। আমরা অনেক সময় দেখতে পাই যে কেউ কেউ ব্যবসা শুরু করেই রাতারাতি ধনী হতে চায়। এমন ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। নতুন উদ্যোক্তা হতে হলে সর্বাগ্রে ধৈর্যশীল হতে হবে। তাছাড়া ঘাত, প্রতিঘাত, ক্ষতি, সমস্যা ইত্যাদি মোকাবিলা করার সাহসিকতা থাকতে হবে। তবে ধৈর্য সহকারে ব্যবসা ধরে রাখলে তাতে সফলতা আসবেই।

প্রশ্ন : নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-কার্যক্রম কতটা বাস্তবসম্মত?

উত্তর : ইতমধ্যে ঢাকা চেম্বার ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মধ্যে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য বিবিএ ইন লিডারশিপ অ্যান্ড ইন্ট্রাপ্রিনিউরশিপ নামের একটি কোর্স চালু করা যায় কিনা তার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এ কোর্সটি যথেষ্ট বাস্তবসম্মত হবে বলে আমি আশা করি এবং তা নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে ভবিষ্যতে কাজ করবে।

প্রশ্ন : দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে আরো প্রযুক্তিনির্ভর করতে আপনার ও ডিসিসিআইয়ের ভূমিকা সম্পর্কে বলুন।

উত্তর : ঢাকা চেম্বারে পরিপূর্ণভাবে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ঢাকা চেম্বারের ওয়েবসাইটটি এখন অনেক রিসোর্সফুল। এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডিসিসিআই’র সকল সদস্যবৃন্দের তথ্য অনলাইনেই পাওয়া যাবে। তাছাড়া ডিসিসিআই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকে বিটুবি সেবা গ্রহণ করা যাবে। ডিসিসিআই’র দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড এখন এর ওয়েবসাইটে দেখা যাবে। ডিসিসিআই বিজনেস ইনস্টিটিউট (ডিবিআই) এর বার্ষিক ট্রেনিং ক্যালেন্ডার এ ওয়েবসাইটেই পাওয়া যায়। তাছাড়াও কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিংক আমাদের ওয়েবসাইটে দেয়া আছে। আমি মনে করি ডিসিসিআই ওয়েবসাইট একজন ব্যবসায়ীকে তার সঠিক পার্টনার খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।

প্রশ্ন : আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্ট রয়েছে। কেন এই বিভাগ? টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগ থেকে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বিভাগ কতটুকু কর্মমুখী বলে মনে করেন?

উত্তর : আমাদের ডিপার্টমেন্টগুলোর সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রি’র সম্পৃক্ততা আছে। ডিআইইউ’র কোর্স কারিকুলাম বাস্তবতার নিরিখেই ডিজাইন করা হয়। উত্তরোত্তর আরো উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ডিআইইউ’র টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্টকে যথেষ্ট প্রতিযোগী সক্ষম করে গড়ে তোলা হয়েছে।

প্রশ্ন : টেক্সটাইল প্রকৌশলীদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বলুন। বর্তমান যুগের ফ্যাশন ও টেকনোলজির সঙ্গে তাদের সম্পর্কের মূল্যায়ন কিভাবে করবেন?

উত্তর : বাংলাদেশের টেক্সটাইল প্রকৌশলীদের ভবিষ্যৎ অনেক ভালো। তাছাড়া বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্প এখন যে অবস্থানে এসেছে প্রতিনিয়ত এর উৎকর্ষ সাধিত হচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ। তবে আমি বিশ্বাস করি একদিন বাংলাদেশ এ খাতে প্রথম স্থান দখল করে নিবে। পাশাপাশি অনেক ভেলুএডেড সার্ভিস চালু হচ্ছে। ফ্যাশন ডিজাইনে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা অনেক ভালো করছে। যখন ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমি সম্পর্ক আরো উন্নত হবে তখন আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের মান আরো উন্নত হবে। তার মানে এই নয় যে, আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের মান খারাপ। আমাদের ইঞ্জিনিয়ারদের বিশ্বের অন্য অনেক দেশের তুলনায় অনেক ভালো বলে আমি মনে করি।

সূত্র : মাসিক মসলিন

Leave a Reply

Subscribe to Posts | Subscribe to Comments

ই-মেইল সাবস্ক্রিপশন

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner

ক্যাটাগরীসমূহ

পৃষ্ঠাসমূহ

Creative Commons License
This work is licensed under a Creative Commons Attribution 3.0 Unported License.
Protected by Copyscape

ব্লগটি মোট পড়া হয়েছে

বাঙলা ব্লগ. Powered by Blogger.

- Copyright © মেহেদী হাসান-এর বাঙলা ব্লগ | আমার স্বাধীনতা -Metrominimalist- Powered by Blogger - Designed by Mahedi Hasan -