.....
- Back to Home »
- উদ্যোক্তা উন্নয়ণ , উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ , উদ্যোগ , প্রতিবেদন , ব্যবসা বানিজ্য »
- আমিরের ধানকাটা যন্ত্র : দু’ঘণ্টায় কাটা যাবে এক একর জমির ধান
বগুড়ার প্রকৌশলী আমির হোসেন এবার হালকা ও সস্তা ধানকাটা মেশিন তৈরি করেছেন। এ মেশিন দিয়ে ধান-গম-ভুট্টা-পাট ও আখ কাটা যাবে। এর আগে তিনি ব্যাটারি ও সোলার পাওয়ার চালিত মোটরগাড়িসহ অর্ধশতাধিক সস্তা কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি করেছেন। এই ধানকাটা মেশিন তৈরি করে পুনরায় আলোচনায় এসেছেন তিনি।
আমির হোসেনের তৈরি এ মেশিনে দু’ঘণ্টায় এক একর জমির ধান কাটা যাবে। এজন্য খরচ হবে ২ লিটার পেট্রোল। ১ দশমিক ৫ হর্স পাওয়ারের মেশিন খুব হালকা, ১০/১৫ কেজি ওজন। নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী যে কেউ সহজেই যন্ত্রটি চালিয়ে ধান-পাট-গম-ভুট্টা-তিল-আখ গাছ কাটতে পারবেন। আপাতত পেট্রোল ইঞ্জিন তৈরি করলেও তিনি পরে এটিকে সোলার পাওয়ার মেশিনে রূপান্তরিত করবেন বলে জানান।
একজন কৃষক মাত্র ৮/১০ মণ চাল বিক্রি করে এ মেশিন ৮/১০ হাজার টাকায় কিনতে পারবেন। ইঞ্জিনের বিশেষত্ব, ধান-পাট-গম যে অবস্থায় থাকুক, যে অবস্থায় লাগানো হোক, খাড়া থাক বা মাটিতে হেলে পড়ুক, সহজেই এসব কাটা যাবে।
আপনারা পড়ছেন, আমিরের ধানকাটা যন্ত্র : দু’ঘণ্টায় কাটা যাবে এক একর জমির ধান
এ মেশিন দিয়ে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটে এক বিঘা জমির ধান কেটে দেখিয়েছেন আমির হোসেন বগুড়া পৌর এলাকার ধরমপুর গ্রামের মাঠে। এক বিঘা জমির ধান কাটতে খরচ হবে মাত্র ৬০/৭০ টাকা। বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া রহিম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের স্বত্বাধিকারী আমির হোসেন দাবি করেছেন—চীন, জাপান, ভারত, থাইল্যান্ড কোনো দেশ এখনও তার মতো হালকা, টেকসই ও সস্তা শস্যকাটার মেশিন তৈরি করতে পারেনি। তারা যা তৈরি করেছে, তা অনেক ভারি, দামি ও ব্যয়বহুল। ওইসব যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ধান-পাট-গম লাইন করে লাগাতে হয় এবং খাড়া হয়ে থাকতে হয়। কিন্তু মাটিতে ধান-পাট-গমের গাছ হেলে পড়লেও আমিরের তৈরি মেশিন দিয়ে সহজেই কাটা যাবে।
বোরো মৌসুমে একসঙ্গে লাখ লাখ একর জমির ধান পেকে যায়। শ্রমিকের অভাবে কৃষক ধান কাটতে পারে না। সে সময় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকায় শঙ্কিত থাকে কৃষক। অনেকেই শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে না পারায় ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে সব নষ্ট হয়ে যায়। একথা চিন্তা করে আমির হোসেন হালকা ও সস্তা এ ধানকাটার মেশিন তৈরি করেছেন।
এ মেশিন আরও সস্তা ও আধুনিক করার জন্য কৃষিমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের সহযোগিতা চেয়েছেন আমির হোসেন। সোলার পাওয়ারে এ মেশিন চালানো গেলে শস্য কাটতে কোনো খরচ লাগবে না। এ প্রযুক্তির ওপর তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ৬ বিভাগের ৬শ’ কৃষকের মধ্যে তার এই সস্তা ধানকাটা মেশিন নামমাত্র মূল্যে তৈরি করে দিতে চান। কৃষিকে যান্ত্রিক ও আধুনিকীকরণের জন্য এটি তার আর একটি নতুন পদক্ষেপ।
এ ব্যাপারে বগুড়ার কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রোস্তম আলী সাংবাদিকদের বলেন, এই যন্ত্র ব্যবহার করে কৃষককুল উপকৃত হবে। ধান কাটতে খরচ ও সময় দুই-ই বাঁচবে।
সূত্র : উদ্যোক্তা ওয়েবসাইট