.....
- Back to Home »
- উদ্যোক্তা উন্নয়ণ , উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ , উদ্যোগ , প্রতিবেদন , ব্যবসা বানিজ্য »
- নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনার দেশ : শওকত হোসেন
প্রশ্ন : নতুন উদ্যোক্তাদের জন্যে বাংলাদেশ কতোটা সম্ভাবনাময়? এবং কেন?
শওকত হোসেনঃ নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনার দেশ। আমি বাংলাদেশের সুযোগগুলোকে এভাবে ভাগ করবঃ
• আভ্যন্তরীণ বাজার
• তরুন বুদ্ধিদিপ্ত প্রযুক্তি-বান্ধব শ্রম সম্পদ
• সমৃদ্ধ খাতগুলোর সাথে মিসিং লিঙ্ক বা ডটগুলো সংযুক্ত করা
• ক্রম হ্রাস মান দারিদ্র
• তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে যুক্ত প্রায় ১ কোটি প্রবাসী বাংলাদেশি
বাংলাদেশ ১৫ কোটি লোকের দেশ। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল। সারাদেশে যে কোন জায়গায় অনায়াসে পৌঁছানো যায়। প্রায় একই ভাষা, একই সংস্কৃতি। তাই স্থানীয় বাজারটা বিশাল ও আকর্ষণীয়। এই বাজারকে লক্ষ্য করে অনেক ব্যবসা শুরু করা যায়।
আমাদের আছে উদ্যমী যুব সমাজ। যারা বুদ্ধিমান ও পরিশ্রমী। তরুনরা প্রযুক্তি ব্যবহারে সিদ্ধহস্ত। মোবাইল, ইন্তারনেট ও সামজিক যোগাযোগ-এ তারা পারদর্শী। তারা দ্রুত শিখছে। সময়ের সাথে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। অনেকেই ফ্রিলান্সিং এ পৃথিবীর সাথে প্রতিযোগিতা করে কাজ করছে। এদের সঠিক ভাবে কাজে লাগালে অনেক ভাল ফল পাওয়া যেতে পারে।
আমাদের অনেক গুলো খাতে উন্নতি ঘটেছে- যেমন কৃষি, পোশাক শিল্প, জাহাজ নির্মাণ, ঔষধ, যানবাহন ইত্যাদি। কিন্তু পশ্চাত বা সম্মুখ খাত তাল মিলিয়ে উন্নত হয়নি। সমৃদ্ধ খাতগুলো বিছিন্ন দ্বীপের মতো রয়ে গেছে। সময় এসেছে সেগুলোকে সংযুক্ত করার।
বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও গত এক যুগ ধরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের উপরে। খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ আমরা। ক্ষুদ্র ঋণ ও রেমিটেন্স আয় দেশের সাধারন নাগরিকের ক্রয় ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়েছে। ওদের অনেকের হাতে উদ্বৃত্ত টাকা আছে। তারা উদ্যোক্তা অথবা বড় একটা ভোক্তা শ্রেণি হিসাবে আবির্ভূত হতে পারে।
বিদেশে প্রবাসি বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় ১ কোটি। অধিকাংশ শ্রমিক হলেও অনেকেই বুদ্ধি-কর্মী হিসাবে নিয়োজিত। তারা বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সের কাজ নিয়ে দেশে সস্তা শ্রমে কাজ আদায় করে নিতে পারেন।
বাংলাদেশকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও বিদেশি প্রতিষ্ঠান “ফ্রন্টিয়ার দেশ” হিসাবে বিবেচনা করছে। এত নেতিবাচক ইমেজ বা প্রচারনার মধ্যেও, সম্ভাবনা আছে বলেই, বাংলাদেশকে তারা আগুয়ান দেশ হিসেবে ‘গন্য’ করছে।
আপনারা পড়ছেন, নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনার দেশ : শওকত হোসেন
প্রশ্ন : উদ্যোক্তারা এদেশে নতুন একটি ব্যবসা নিয়ে আসার সময় কি কি প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছে? এবং প্রতিকূলতাগুলো নিরসনের জন্য কি কি উপায় তারা অবলম্বন করতে পারে?
শওকত হোসেনঃ বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ অনুপস্থিত। নতুন উদ্যোক্তাদের পথটি বন্ধুর। বিদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ একটি বেদনা ও হতাশাময় গন্তব্য। সবচেয়ে বড় বাধা আমলাতন্ত্র। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘দেশ কি পাবে’ নয় ‘আমি কি পাব’ সেটাই মুখ্য হয়ে দাড়ায়। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, দুর্নীতি, দুর্বল ভৌত অবকাঠামো, নিতিমালার অসামঞ্জস্যতা বা পরিবর্তনশীলতা, আইনের দুর্বল প্রয়োগ, বিচারের দীর্ঘ সুত্রিতা, সুবিধাজনক জমির দুস্প্রাপ্যতা, অর্থের সহজ অলভ্যতা ইত্যাদি প্রধান কারন। বিশ্বব্যাংক-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আইএফসির ২০১২ সালের বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ এর মাপকাঠিতে ১৮৫ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯ নাম্বারে। পাশের দেশ শ্রীলঙ্কা ৮১, মালদ্বীপ ৯৫, পাকিস্তান ১০৭ এবং নেপাল ১০৮ ও ভিয়েতনাম ৯৯। এই সার্ভে-তে যেসব মাপকাঠি তারা বিবেচনায় নিয়েছে তার মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান সর্বনিম্নে (১৮৫), ‘চুক্তি প্রয়োগ’এ ১৮২ ও জমি নিবন্ধনে ১৭৫। চুক্তি প্রয়োগে বাংলাদেশে ১৪৪২ দিন বা প্রায় ৪ বছর লাগে অথচ ভুটানে লাগে ২২৫ দিন। বিদ্যুৎ পেতে বাংলাদেশে লাগে ৪০৪ দিন। অথচ ভারতে লাগে ৬৭ দিন এবং নেপালে ৭০ দিন। জমি নিবন্ধনের জন্য বাংলাদেশে প্রায় ২৪৫ দিন সময় লাগে। ভারতে লাগে ৪৪ দিন এবং নেপালে ৫ দিন। কথাগুলো খুবই হাতাশাব্যঞ্জক ও নেতিবাচক শোনালেও বাস্তবতা কিন্তু খুব রুঢ়। সত্যর মুখোমুখি না হলে প্রকৃত অবস্থাকে পরিবর্তন করা যাবে না।
উদ্যোক্তা কে আমরা ‘লেগে থাক’ উপদেশ দিতে পারি। কিন্তু সেটি প্রকৃত সমাধান নয়। বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃজনে এই বাধাগুলো সরাতে হবে। এখানে সরকারের ভুমিকাই বেশী। তারপরও আমাদের সবাইকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। এতে মিডিয়ারও যথেষ্ট ভুমিকা আছে।
প্রশ্ন : ব্যবসা শুরু করা এবং পরিচালনার সময় নতুন উদ্যোগক্তারা সাধারণ যেসব বড় ধরণের ভুল করে থাকে?
শওকত হোসেনঃ উদ্যোক্তারা প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারনত কিছু ভুল করে থাকে, যা সহজে শোধরান যায় না অথবা অনেক বড় মাশুল দিতে হয়। এমনকি ব্যবসাও বন্ধ হয়ে যায়। যেমনঃ
• নির্দিষ্ট কোন ব্যাবসায় দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও সেই ব্যবসা শুরু করা
• ব্যবসা শুরুর আগে বাজেট বা পরিকল্পনা না করা
• বাজার যাচাই না করেই আন্দাজে চাহিদা, বিক্রয়মূল্য ইত্যাদি হিসাব করা
• ব্যবসা শুরুর আগেই লাভ হিসাব করে অহেতুক খরচ করা
• অংশীদারদের মধ্যে সম্পর্ক স্পষ্ট না করা
• ব্যবসার পণ্য, স্থান, কর্মী নির্ধারণে (ব্যবসা ব্যতিত) অন্য কোন ইস্যু বিবেচনা করা ব্যবসা পরিচালনার সময় উদ্যোক্তারা যে ভুলগুলো করে বা করতে পারে
• ব্যক্তিগত সম্পর্কর সাথে ব্যাবসায়িক সম্পর্ক গুলিয়ে ফেলা
• ব্যবসায় পর্যাপ্ত সময় না দেয়া
• হিসাব পত্র ঠিক না রাখা
• যথেষ্ট চিন্তা ভাবনা ছাড়া (কারো প্ররোচনায় বা অন্য কাউকে দেখে) ব্যবসার পণ্য, উদ্দেশ্য ইত্যাদি পরিবর্তন করা।
প্রশ্ন : উদ্যোক্তারা কিভাবে বিনিয়োগ সংগ্রহ করতে নিজেদেরকে বিশ্বস্ত প্রমান করতে পারে?
শওকত হোসেনঃ বিশ্বস্ত প্রমানের চেয়ে ব্যবসায় সৎ থাকা জরুরি। বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদিও সৎ থাকা খুব কঠিন- কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে অবশ্যই তার সুফল পাওয়া যাবে। সরবরাহকারি (যাদের কাছ থেকে কাঁচামাল কেনা হয়), কর্মচারী, বাড়িওয়ালা সবার পাওনা নিয়মিত পরিশোধ করতে হবে। অন্য ব্যাংক, এনজিও বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আগে ঋণ নিলে তা সময়মত পরিশোধ করা উচিত। বর্তমানে অন্য কোন ব্যাংকে কোন ঋণ চালু থাকলে বা কোন ঋণের আবেদন প্রক্রিয়াধীন থাকলে তা স্বীকার করা উচিত। বিদ্যুৎ, পানি, টেলিফোন বিল নিয়মিত শোধ করা উচিত। যতটুকু সম্ভব লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করা উচিত। ব্যবসার হিসাবপত্র ঠিক মতো রাখা উচিত। অনেকে হিসাবে গোঁজামিল দেয়- বেশী ঋণ পাওয়ার আশায়। ধরা পরলে সেটি উদ্যোক্তার সততার ব্যপারে প্রশ্ন বোধক চিহ্ন হয়ে দাঁড়াবে।
প্রশ্ন : বিডিভেঞ্চার লিমিটেড সাধারণত কোন ধরণের/ খাতের উদ্যোক্তাদের প্রাধান্য দিয়ে থাকে?
শওকত হোসেনঃ বিডিভেঞ্চার লিমিটেড নিম্নলিখিত খাতগুলোতে বিনিয়োগ করেঃ
• তথ্য প্রযুক্তি (সফটওয়্যার, বিপিও, আইইএস, ডকুমেন্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি)
• কৃষি খামার, কৃষি শিল্প, কৃষি বা খাদ্য প্রক্রিয়াকরন
• পর্যটন
• হাল্কা শিল্প
• পুনঃ ব্যবহার যোগ্য জ্বালানি বা জ্বালানি দক্ষ টেকনোলজি
• শিক্ষা
• স্বাস্থ্য ইত্যাদি
তবে উক্ত প্রতিষ্ঠানের বয়স কমপক্ষে এক বছর হতে হবে।
প্রশ্ন : ভেঞ্চার ক্যাপিটালের বিশ্বস্ততা অর্জনের জন্য একজন উদ্যোগক্তার কি কি গুণাবলী থাকাটা জরুরী?
শওকত হোসেনঃ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল উদ্যোক্তার বিজনেস প্লান যাচাই বাছাই করে। উক্ত ব্যবসায় তার দক্ষতা দেখে। পূর্ববর্তী সময়ের আর্থিক হিসাব বিবরণী, ব্যাংক বিবরণী, গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিপত্রসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখা হয়। উদ্যোক্তা একাধিক হলে সবার সাথে কথা বলা হয়। এ ছাড়া নির্ধারিত অডিট ফার্ম দিয়ে হিসাব বিবরণী নিরীক্ষা করা হয়। তবে, মূলত যেটা প্রধান বিবেচ্য, উদ্যোক্তা ব্যবসা বোঝেন কিনা, ব্যবসার প্রতি আগ্রহ আছে কিনা, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি তাকে বিশ্বাস করতে পারে কিনা। এছাড়াও উক্ত ব্যবসার বর্তমান ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা (যেমন বর্তমানে লাভ কেমন, ভবিষ্যতে পর্যাপ্ত লাভ হবে কিনা) ইত্যাদি যাচাই করা হয়।
আপনারা পড়ছেন, নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনার দেশ : শওকত হোসেন
প্রশ্ন : একজন নতুন উদ্যোক্তাকে কোন কোন বিষয় বিবেচনায় রেখে ব্যবসা শুরু করা উচিত?
শওকত হোসেনঃ নতুন উদ্যোক্তা কয়েক প্রকার ব্যবসায় প্রবেশ করতে পারে। যেমনঃ
• শিক্ষা, যোগ্যতা বা দক্ষতা উদ্ভুত (যেমন, বুয়েটের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার সফটওয়্যার ব্যবসা শুরু করতে পারে)
• অভিজ্ঞতা উদ্ভুত (যেমন গার্মেন্টসের প্রডাকশন ম্যানেজার গার্মেন্টস কারখানা চালু করতে পারে)
• সম্পদ উদ্ভুত (গ্রামে উত্তারাধিকার সুত্রে পাওয়া কিছু পুকুরে মাছ চাষ শুরু করতে পারে)
• বাজার সংশ্লিষ্ট (গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির প্রাক্তন কোন কর্মচারী উক্ত গার্মেন্টসে কার্টুন সরবরাহ শুরু করতে পারে)
• সরবরাহ উদ্ভুত (যশোরের কোন তরুন ফুল উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে ফুল কিনে বিদেশে রপ্তানি করতে পারে)
প্রশ্ন : নতুন উদ্যোক্তাদের আগ্রহী করার জন্যে বিডিভেঞ্চার লিমিটেড কি ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে?
শওকত হোসেনঃ বিডিভেঞ্চার উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগের সাথে জড়িত। যেমন, উদ্যোক্তাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনার উপর প্রশিক্ষন দেয়। National entrepreneur Summit-এ উদ্যোক্তা উন্নয়নে ভুমিকা রেখেছে। এ ছাড়া উদ্যোক্তা উন্নয়নের সাথে জড়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক, বেসিস, ডিসিসিআই সাথে সম্মিলিত ভাবে কাজ করছে।
প্রশ্ন : প্রচলিত ব্যাংক গুলোর ঋণ প্রদান ব্যবস্থা নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য কতোটুকু সহায়ক ভূমিকা পালন করে বলে আপনি মনে করেন?
শওকত হোসেনঃ ব্যাংকরা সাধারনত নতুন উদ্যোক্তাদের ঋণ দেয় না। তাছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক এর আদেশ থাকলেও জামানত বিহীন ঋণের ব্যাপারে ব্যাংকরা খুব রক্ষণশীল। তদুপরি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার এক মাস (বড় জোর তিন মাস) পর থেকে কিস্তিতে ঋণ শোধ শুরু করতে হয়। বর্ধিষ্ণু একটি ব্যবসার জন্য যা খুবই কষ্ট সাধ্য। তাছাড়া এসএমই ঋণ-এর সুদের হার ১৮ থেকে ২০ শতাংশ। অন্যান্য খরচ সহ যা ২২ থেকে ২৫ শতাংশ দাঁড়ায়। এত বড় সুদের বোঝা অনেক ব্যবসার পক্ষে বহন করা সম্ভব না। এ ক্ষেত্রে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে বা ব্যবসায় মন্দা দেখা দিলে ঋণ শোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে চাপে পড়ে পুঁজি ভাংতে হয়। যা দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর।
প্রশ্ন : শুধু আইডিয়ার উপর আপনারা কি বিনিয়োগ করে থাকেন?
শওকত হোসেনঃ না, আমরা আইডিয়ার উপর বিনিয়োগ করি না। যে ব্যবসার বয়স কমপক্ষে এক বছর সেসব ব্যবসায় আমরা বিনিয়োগ করি- তাদের ব্যবসা সম্প্রসারনের জন্য।
প্রশ্ন : অনেকে বলেন, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম উদ্যোক্তাদের টাকা যোগান দিয়ে ফলশ্রুতিতে উদ্যোক্তাদের অলস করে দেয়, আপনি কি মনে করেন?
শওকত হোসেনঃ এটা আপেক্ষিক ব্যাপার। নির্ভর করে উদ্যোক্তার উপর। টাকা অধিক পরিমানে প্রদান করা হলে উদ্যোক্তা অলস হয়ে যেতে পারে। বিলাসী জীবনে লিপ্ত হতে পারে। অপচয় করতে পারে। আবার টাকাটা ভাল বা উৎপাদনশীল কাজেও ব্যবহার করতে পারে। এই ‘রোগ’ ঋণের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অনেক ঋণ গ্রহীতার প্রকল্প রুগ্ন হয়ে গেছে কারন ঋণ পেয়েই তারা গাড়ি-বাড়ি কিনে বিলাস-ব্যসনে মত্ত হয়ে উঠেছিলেন। ফলশ্রুতিতে ব্যবসা উঠেছিল লাটে।