.....
- Back to Home »
- উদ্যোক্তা উন্নয়ণ , উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ , উদ্যোগ , প্রতিবেদন , ব্যবসা বানিজ্য »
- হতে হলে জয়ী
একটা ছোট সাফল্য স্বপ্ন দেখায় বড় কিছুর। সাহস জোগায় নতুন কোনো উদ্যোগের। কিন্তু বললেই তো আর সফল হওয়া যায় না। সাফল্য এমনি এমনি এসে ধরা দেয় না হাতের মুঠোয়। সাফল্যের পেছনে মেধা, শ্রম, সময়োচিত পরিকল্পনা, অর্থের জোগান প্রভৃতি দরকার। তবে বর্তমান বিশ্বে যে কোনো সাফল্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে যোগাযোগ। বিশ্বের সফল ব্যক্তিত্ব, উদ্যোক্তাদের দিকে তাকাই। বিল গেটস, স্টিভ জবস, কার্লোস স্লিম, ওয়ারেন বাফেট, মুকেশ আম্বানি, লক্ষ্মী নিবাস মিত্তাল থেকে শুরু করে বিশ্বজুড়ে তরুণদের স্বপ্ন দেখানো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ উদ্যোক্তা সাবিরুল ইসলাম_ প্রত্যেকের সাফল্যের পেছনে বড় ভূমিকা রয়েছে যোগাযোগের। এখানে যোগাযোগ করাটাই শেষ কথা নয়। যোগাযোগে কে কতটা সৃজনশীল বা কৌশলী হতে পারছেন, তার ওপর নির্ভর করে সাফল্যের মাত্রা। তাই সৃজনশীল কার্যকর যোগাযোগের সূত্র তৈরি নিয়েও চলছে নানা গবেষণা, যা ব্যবহার করে সফল হতে পারেন আপনিও।
যোগাযোগের ক্ষেত্রে কীভাবে নিজেদের উপস্থাপন করবেন? উত্তর খুঁজতে তরুণ পেশাজীবীদের আন্তর্জাতিক সংগঠন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল, ঢাকা পশ্চিম আয়োজন করে 'পেশাগত যোগাযোগে আধুনিক প্ররোচনা সূত্রে ব্যবহার' বিষয়ে কর্মশালার। সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ৭৫ তরুণ কর্মকর্তা অংশ নেন। যার মেন্টর ছিলেন বিশ্বখ্যাত বক্তা আলফ্রেড সি্নডার। আপনি আপনার বিষয়, উদ্যোগ বা পণ্যের প্রতি ভোক্তাকে আকর্ষিত করবেন কীভাবে, কী হবে কৌশল, কোন কোন বিষয়ে থাকতে হবে সতর্ক প্রভৃতি ছিল সি্নডারের উপস্থানার বিষয়। কর্মশালার কিছু বিষয় এখানে তুলে ধরা হলো। যে কেউ অনুসরণ করে দেখতে পারেন।
প্ররোচনার সূচনা
যখন কোনো বিষয়ে অন্যকে আগ্রহী বা প্ররোচিত করবেন, লক্ষ্য রাখতে হবে, আপনি তার মনোভাব, প্রত্যয় এবং মূল্যবোধে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করবেন। এ ক্ষেত্রে আপনাকে হতে হবে আত্মবিশ্বাসী। প্ররোচনার মাত্রা আস্তে আস্তে বাড়াতে হয়। একটা বিষয় সব সময় মনে রাখতে হবে_ আপনি প্ররোচিত করবেন; কখনোই বাধ্য করতে যাবেন না। আপনি সব সময় শুধু তথ্য জানানোর চেষ্টা করবেন, কখনোই বোঝাতে যাবেন না। এমন মনোভাব প্রকাশ পাওয়ার মানে দাঁড়াবে ব্যর্থতাকে ডেকে আনা। আরও একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, ব্যক্তি এবং অবস্থার পরিবর্তনে প্ররোচনার কৌশল পাল্টাতে হবে_ অর্থাৎ সব ক্ষেত্রে একই কৌশল কাজ করবে না। এ জন্য যাকে প্ররোচিত করতে যাচ্ছেন সেই ব্যক্তির প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে। তার মনোভাব উপলব্ধি করতে হবে। সে হিসেবে তৈরি করতে হবে আপনার প্ররোচনার কৌশল।
জানতে হবে ইংরেজি
যোগাযোগের খুব গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ ভাষা। কাজের ক্ষেত্র এখন বিশ্বজুড়ে। যে কোনো সময় যে কোনো দেশের মানুষের সঙ্গে তৈরি হতে পারে কাজের সুযোগ। সে ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে ভাষা। ইংরেজি জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই বিশ্বের যে কোনো দেশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন। তাই ক্যারিয়ার শুরুর প্রস্তুতিতেই খুব ভালো করে জেনে নিন ইংরেজি। সম্ভব হলে ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিশ, হিন্দির মতো আরও কিছু ভাষা শিখে নিতে পারেন তা বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে আপনার কাজকে আরও সহজ করে তুলবে।
আপনারা পড়ছেন, হতে হলে জয়ী
থাকতে হবে নতুন তথ্য
আপনাকে আলাপের শুরুই করতে হবে নতুন কোনো তথ্য দিয়ে। পুরনো কথাই যদি ঘ্যান ঘ্যান করে বলতে থাকেন, তবে যাকে বিষয়টি সম্পর্কে বোঝাবেন তিনি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। আপনি যে বিষয়টি সম্পর্কে পরিকল্পনা করেছেন, হতে পারে সেটা মার্কেটিং বিষয়ে। সে ক্ষেত্রে প্রচলিত মার্কেটিং কৌশল থেকে আপনার কৌশলের নতুনত্ব কী এবং সেটা কতটা বেশি কার্যকর প্রচলিত কৌশলগুলো থেকে, সে বিষয়ে শুরুতে আপনাকে বলে নিতে হবে। তাহলে আপনি যাকে প্ররোচিত করতে গেছেন তিনি আপনার বিষয়টির প্রতি আগ্রহী হবেন। অর্থাৎ আপনি তার মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হলেন। আপনার সফল হওয়ার পথ এগিয়ে গেল অনেকটা।
ভাবনার ব্যাখ্যা
আপনার উপস্থাপনায় পরিকল্পনার বাস্তবসম্মত ব্যাখ্যা থাকতে হবে। ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। সে ক্ষেত্রে আপনার উপস্থাপনা দুর্বল হয়ে যাবে।
ছোট দিয়ে শুরু
শুরুতেই বড় কোনো প্রস্তাব উপস্থাপন করলে তা বাতিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই শুরুতে ছোট কোনো প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করলে সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আপনাকে পরীক্ষা করার জন্য হলেও প্রকল্পটি গ্রহণ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রকল্পটি সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পাশাপাশি তার সঙ্গে সম্পর্কেরও উন্নয়ন ঘটে। এতে পরবর্তী সময়ে বড় কাজের প্রস্তাবও সহজেই গৃহীত হয়ে যায়।
সামাজিক দায়বদ্ধতা
আমাদের প্রত্যেকেরই সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। কাজেই কোনো প্রকল্প পরিকল্পনার সময় যদি সামাজিক দায়বদ্ধতার পূরণ হয় এমন কিছু সংযুক্ত করা যায়, সেই প্রকল্প দ্রুত গ্রহণ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। কারণ প্রকল্প গ্রহণকারী একই সঙ্গে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা পূরণের সুযোগ পায়।
সূত্র : সমকাল