.....
- Back to Home »
- আমার লেখা , স্বরচিত কবিতা »
- অজানা গন্তব্য
আমি এক পথভোলা মানুষ
ঠিকানাবিহীন গন্তব্যে চলছি একা,
বিশ্রামহীন আমি
আমি ক্লান্ত
আমার কোন পরিচয় নেই
নেই কোন আশা,
আমি নিজেই জানি না
আমি কে?
দিন কাটাই আমি
প্রানী এবং বৃক্ষের সাথে কথা বলে
পেটের দায়ে কাজ করি।
রাত কাটাই আমি
খোলা আকাশের নীচে
কথা বলি আকাশের
চাঁদটির সাথে
তারকারাজির সাথে।
তাদের প্রশ্ন করি আমি
তোমরা কি কেউ জানো
আমার পরিচয়-
আমি কে?
কেউ বলতে পারে না
আমার ঠিকানা।
মনে মনে ভাবি
সত্যিই আমি দুর্ভাগা।
আবার পা চালাই
অজানা গন্তব্যের দিকে
চলতে চলতে পা ব্যাথা হয়ে
যায় আমার।
আমি ক্লান্ত, আমি বিশ্রামহীন।
হঠাৎ আমার সামনে পড়ে
একটা ভাঙ্গা সাঁকো
আমি ভাবি পৃথিবীটাও
ভাঙ্গা সাঁকোর মত।
পৃথিবী তার সকল জীবসহ
আস্তে আস্তে
ভেঙ্গে পড়ছে অতল গর্ভে।
কিন্তু এ ভাঙ্গা বিধ্বস্ত
পৃথিবীটাকে মেরামত করতে হবে
উদ্ধার করতে হবে এর
সকল জীবদের।
কিন্তু কে করবে তাদের উদ্ধার?
কেউ কি নেই এ পৃথিবীর
মেরামতকারী?
ভাবতে ভাবতে কল্পনা থেকে
বাস্তবে ফিরে আসি আমি।
সামনে ভাঙ্গা সাঁকো
এ ভাঙ্গা সাঁকোটি
মেরামত করতে হবে।
কিন্তু আমি কে মেরামত করার?
আমি তো নিজেই আমার
পরিচয় জানি না।
জানি না আমার গন্তব্য সম্পর্কে
কেউ কি বলবে-
আমি কে?
কি আমার পরিচয়?
হে পৃথিবীর মানুষ
তোমাদের মধ্যে কেউ কি নেই
যে আমার পরিচয়
বলতে পারে?
স্থানীয় এক চাচা বলেছিলেন
যুদ্ধে আমার মা-বাবা
মারা গেছেন।
কিন্তু তাদের পরিচয় কি?
চাচা বলতে পারেন না।
বাবা-মা নাকি
শহর থেকে এসেছিলেন।
বাবা-মা না হয় মারা গেছেন
কিন্তু তোমরা কেউ কি
আমার পরিচয়
বলতে পারবে না?
বুঝেছি কেউ বলতে পারবে না
আমার পরিচয়।
কারন তোমরাইতো জানো না
তোমাদের আসল পরিচয়!
এ পৃথিবীতে তোমরা কি জন্য
এসেছ,
কি তোমাদের কর্তব্য তা-ও
ভুলে গেছ তোমরা।
কিন্তু তোমাদের তো
ভুলে যাবার কথা নয়।
কর্তব্য সম্পর্কে এ হেয়ালীপনা
মোটেই ভালো নয়।
যদি নিজেদের পরিচয় নিজেরাই
জানো না
তাহলে দাড়িয়ে আছ কেন?
চলে এস আমার সাথে
সকলে পা চালাই
অজানা গন্তব্যের দিকে।
ঠিকানাবিহীন গন্তব্যে চলছি একা,
বিশ্রামহীন আমি
আমি ক্লান্ত
আমার কোন পরিচয় নেই
নেই কোন আশা,
আমি নিজেই জানি না
আমি কে?
দিন কাটাই আমি
প্রানী এবং বৃক্ষের সাথে কথা বলে
পেটের দায়ে কাজ করি।
রাত কাটাই আমি
খোলা আকাশের নীচে
কথা বলি আকাশের
চাঁদটির সাথে
তারকারাজির সাথে।
তাদের প্রশ্ন করি আমি
তোমরা কি কেউ জানো
আমার পরিচয়-
আমি কে?
কেউ বলতে পারে না
আমার ঠিকানা।
মনে মনে ভাবি
সত্যিই আমি দুর্ভাগা।
আবার পা চালাই
অজানা গন্তব্যের দিকে
চলতে চলতে পা ব্যাথা হয়ে
যায় আমার।
আমি ক্লান্ত, আমি বিশ্রামহীন।
হঠাৎ আমার সামনে পড়ে
একটা ভাঙ্গা সাঁকো
আমি ভাবি পৃথিবীটাও
ভাঙ্গা সাঁকোর মত।
পৃথিবী তার সকল জীবসহ
আস্তে আস্তে
ভেঙ্গে পড়ছে অতল গর্ভে।
কিন্তু এ ভাঙ্গা বিধ্বস্ত
পৃথিবীটাকে মেরামত করতে হবে
উদ্ধার করতে হবে এর
সকল জীবদের।
কিন্তু কে করবে তাদের উদ্ধার?
কেউ কি নেই এ পৃথিবীর
মেরামতকারী?
ভাবতে ভাবতে কল্পনা থেকে
বাস্তবে ফিরে আসি আমি।
সামনে ভাঙ্গা সাঁকো
এ ভাঙ্গা সাঁকোটি
মেরামত করতে হবে।
কিন্তু আমি কে মেরামত করার?
আমি তো নিজেই আমার
পরিচয় জানি না।
জানি না আমার গন্তব্য সম্পর্কে
কেউ কি বলবে-
আমি কে?
কি আমার পরিচয়?
হে পৃথিবীর মানুষ
তোমাদের মধ্যে কেউ কি নেই
যে আমার পরিচয়
বলতে পারে?
স্থানীয় এক চাচা বলেছিলেন
যুদ্ধে আমার মা-বাবা
মারা গেছেন।
কিন্তু তাদের পরিচয় কি?
চাচা বলতে পারেন না।
বাবা-মা নাকি
শহর থেকে এসেছিলেন।
বাবা-মা না হয় মারা গেছেন
কিন্তু তোমরা কেউ কি
আমার পরিচয়
বলতে পারবে না?
বুঝেছি কেউ বলতে পারবে না
আমার পরিচয়।
কারন তোমরাইতো জানো না
তোমাদের আসল পরিচয়!
এ পৃথিবীতে তোমরা কি জন্য
এসেছ,
কি তোমাদের কর্তব্য তা-ও
ভুলে গেছ তোমরা।
কিন্তু তোমাদের তো
ভুলে যাবার কথা নয়।
কর্তব্য সম্পর্কে এ হেয়ালীপনা
মোটেই ভালো নয়।
যদি নিজেদের পরিচয় নিজেরাই
জানো না
তাহলে দাড়িয়ে আছ কেন?
চলে এস আমার সাথে
সকলে পা চালাই
অজানা গন্তব্যের দিকে।