.....


সকল উদ্যোক্তাই সফল হতে পারেন না। আবার যারা সফল হন তাঁরাও যে খুব সহজে সফল হয়েছেন- তা নয়। অনেক পরিশ্রম আর মেধার সমন্বয়ে উদ্যোক্তা তার সফলতার পথ খুঁজে নেন। সফল হওয়ার সড়কে নেমে অনেকেই পিছনে পরে যান। অন্য একজন যখন সফলতার সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠছেন তখন কেন কিছু উদ্যোক্তা সফলতার পথে এগুতে পারছেন না? এর রয়েছে কিছু কারন।

লিখিত পরিকল্পনা না থাকা:
আপনি আসলে কোথায় পৌঁছতে চান তার একটি লিখিত পরিকল্পনা থাকতে হবে। অনেকেই মনে মনে করেন ব্যবসা তো শুরু করেছি দেখি কি হয়। এমন উদাসীন থাকলে উদ্যোক্তা সফল হতে পারে না। একজন উদ্যোক্তা কি করতে চান, কিভাবে করতে চান, কত সময়ের মধ্যে করতে চান, কোথায় পৌঁছতে চান- এই সমস্ত বিষয়গুলো লিখিত আকারে থাকলে পথ খুঁজে নেওয়া সহজ হয়।

সঠিক ব্যবসা মডেল না থাকা:
একজন নতুন উদ্যোক্তা অবশ্যই পুরাতনের তুলনায় কম জানেন। তাকে নানান বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে শিখতে হয়। এ ক্ষেত্রে তিনি বিশেষ কোন সফল উদ্যোক্তাকে অনুসরণ করতে পারেন বা বিশেষ কোন সফল প্রতিষ্ঠানকে তার মডেল হিসেবে বিবেচনা করে এগিয়ে যেতে পারেন। উদ্যোক্তা যে বিজনেস মডেলটি অনুসরণ করছেন তা অনুসরণ করে অন্যরা সফল হয়েছেন কি না তা খতিয়ে দেখুন।

আইডিয়া নয়, দরকার সুযোগ সৃষ্টি:
বিভিন্ন ব্যবসায়িক সুযোগ সুবিধা তৈরী না হওয়ার কারনে অনেক উদ্যোক্তাই ঝরে পড়েন। দেখা যায় ভালো আইডিয়া কিংবা ভালো পণ্য থাকা সত্ত্বেও অনেক ব্যবসায়ী সফল হতে পারছেন না। ব্যবসায়ে সুযোগ তৈরি হওয়ার একটা ব্যাপার আছে আবার সুযোগ তৈরি করারও একটা ব্যাপার আছে। একজন ভালো উদ্যোক্তা জানেন কিভাবে ব্যবসার সুযোগ তৈরী করে নিতে হবে।

পরিচালনায় ব্যথর্তা:
পরিচালনায় অপটুতা উদ্যোক্তার ব্যর্থতার কারন হতে পারে। ব্যবসায়িক মনোভাব এবং ব্যবসায়ে পরিপক্বতা অর্জন খুব জরুরী বিষয়। অনেকেরই প্রচুর বিনিয়োগ করার সামর্থ্য আছে কিন্তু তা সঠিকভাবে পরিচালনা করার সামর্থ্য নেই।

তীব্র প্রতিযোগিতা:
ব্যবসার জগতে ধাবমান আরো অনেক উদ্যোক্তার সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে হয়। আর বর্তমান সময়ে এই প্রতিযোগিতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। সে ক্ষেত্রে একজন নতুন উদ্যোক্তাকে প্রথমেই এসে হিমসিম খেতে হয়। এ জন্য মার্কেটিংয়ের আগে একজন উদ্যোক্তার মার্কেটপ্লেস সর্ম্পকে সম্যক ধারণা নিয়ে নিজস্ব মার্কেটিং পলিসি নির্ধারণ করে এগিয়ে যাওয়া উচিত। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মনোবল না থাকাও উদ্যোক্তার অসফলতার কারন।

কৌশলী দৃষ্টিভঙ্গির অভাব:
ব্যবসায়ে অনেক কৌশল অবলম্বন করতে হয়। একটি মাত্র সিদ্ধান্তই একটি ব্যবসাকে সর্বোচ্চ সফলতায় নিয়ে যেতে পারে আবার ব্যর্থতায় তলিয়ে করতে পারে। সে ক্ষেত্রে উদ্যোক্তার ব্যবসায়ে কৌশলী হওয়ার বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কৌশলী দৃষ্টিভঙ্গি না থাকলে ব্যবসার উন্নতি সম্ভব না।

দরকার স্বপ্নবাজ সহকর্মী:
উদ্যোক্তার সহকর্মীরা হবেন উদ্যোক্তার মতই স্বপ্নবাজ। আর এজন্যই ব্যবসায়ে সহকর্মী নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অভিজ্ঞ, পরিশ্রমী, সৎ সহযোগি নির্বাচন না করলে ব্যবসা স্থিমিত হয়ে পড়ে। শুধুমাত্র চাকুরীজীবী দিয়ে উদ্যোগ সফল হয় না।



যথেষ্ঠ মার্কেটিং জ্ঞান না থাকা:
সম্ভাব্য গ্রাহক কারা-বিষয়টি বুঝতে হবে। উদ্যোক্তার যথেষ্ঠ মার্কেটিং জ্ঞান না থাকলে মার্কেট গবেষণা সম্ভব নয়। বর্তমান বাজারে মার্কেট গবেষণা না করে, সিদ্ধান্ত নিলে অনেক সময় তা সফল হয়না।

ধৈর্যচ্যুত হওয়া:
হোঁচট খেলেই থামতে হবে- তা নয়। উদ্যোক্তা মাত্রই সে উদ্যমী এবং প্রথম অবস্থায় তাকে নানান অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হবে। কিন্তু দেখা যায় অনেকেই প্রাথমিক ভাবে কোন হোঁচট খাওয়ার পর মনোবল হারিয়ে ব্যবসায়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। অথচ এই হোঁচটই তার জন্য ছিল শিক্ষণীয়। ধৈর্য সহকারে প্রতিটি ব্যর্থতাকে কাটিয়ে সাফল্যের পথে হাঁটাই একজন প্রকৃত উদ্যোক্তার পরিচয়।

উদ্যোম হারিয়ে ফেলা:
অনেকেই শুরু করেন আট ঘাট বেঁধে। কিন্তু মাঝ পথে গিয়ে আর এই উদ্যোম থাকেনা। মোটামুটি একধরনের উদাসীন হয়ে যান। আর উদ্যোম হারিয়ে ফেললে সফলতা আর আপনার হাতে ধরা দেবেনা।

তথ্যসূত্র : ওয়েবসাইট থেকে।

Leave a Reply

Subscribe to Posts | Subscribe to Comments

ই-মেইল সাবস্ক্রিপশন

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner

ক্যাটাগরীসমূহ

পৃষ্ঠাসমূহ

Creative Commons License
This work is licensed under a Creative Commons Attribution 3.0 Unported License.
Protected by Copyscape

ব্লগটি মোট পড়া হয়েছে

বাঙলা ব্লগ. Powered by Blogger.

- Copyright © মেহেদী হাসান-এর বাঙলা ব্লগ | আমার স্বাধীনতা -Metrominimalist- Powered by Blogger - Designed by Mahedi Hasan -