.....

Archive for December 2013

ইন্টারনেটে ডলার আয়ের মাধ্যম (কিছু ই-বুক ডাউনলোড করে নিন)

কিছু বই শেয়ার করলাম। যেগুলো আপনারা পড়ে অনলাইনে আয়ের উপর গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস-ট্রিকস জানতে পারবেন। অনলাইনে আয়ের উপর আগ্রহ জাগিয়ে তোলার ব্যাপারে বইগুলো আপনার সহায়ক হবে বলে আশা করছি। ধন্যবাদ।

Learn How I Make Money $20,000+ /Month in 4 Months For Beginner


Make $10000 Daily with Many Ways


Earn $100 in 24 hours on the Internet


The Easy Way To Over $2000 A Month

পিএইচপি (PHP) শিখুন ঘরে বসে (কিছু পিডিএফ বই বিনামূল্যে ডাউনলোড করে নিন)

বন্ধুরা আপনাদের জন্য আজ নিয়ে এলাম কিছু ই-বুক। যারা ওয়েব ডিজাইনের কাজ করেন তাদের জন্য পিএইচপি একটি জরুরী বিষয়। নিচের ই-বুকগুলো পিএইচপি সম্পর্কিত। তাহলে আর দেরী কেন এখনই ডাউনলোড করে নিন আর ঘরে বসে শিখুন পিএইচপি। ধন্যবাদ।

Teach Yourself PHP4 in 24 Hours


PHP Tutorial From Beginner to Master


বাংলায় পিএইচপি মাইএসকিউএল


PHP 6 A Beginner's Guide


O'Reilly - Programming PHP


O'Reilly - Learning PHP, MySql & JavaScript

লঞ্চ ভ্রমন


২০০৭ সাল। দিনটি ছিল মঙ্গলবার। তারিখটি এ মুহূর্তে মনে করতে পারছি না। পরে লেখার ফাঁকে এক সময় উল্লেখ করব। সেদিন সকাল ৯ টায় ঘুম থেকে উঠলাম। ভ্রমনের কথা মনে হতেই শরীরে আলাদা একটা উত্তেজনা অনুভব করলাম। নাস্তা খেয়ে বেশ সাদামাটাভাবেই ভ্রমনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করলাম। পাঠক নিশ্চয়ই ভেবে পাচ্ছেন না আমি "সাদামাটা" শব্দটা ব্যবহার করলাম কেন? আসলে একটা ভ্রমনের জন্য একজন ভবঘুরের কী প্রস্তুতির প্রয়োজন? তো সকাল দশটায় বেরিয়ে পড়লাম সৃষ্টিকর্তার নাম মনে নিয়ে।

এখন বর্ষাকাল। যার ফলে ট্রলারে করে ভ্রমনের মধ্যে আলাদা একটা আনন্দ আছে। তাছাড়া আমাকে লঞ্চঘাটে যাবার জন্য ট্রলারে করেই যেতে হবে। বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই। ট্রলার ঘাট খুজতে গিয়েই লাগল বিপত্তি। কর্তৃপক্ষ তিন তিনটা ট্রলার ঘাটের সূচনা করেছে। যাক অবশেষে পাওয়া গেল কাঙ্খিত ট্রলার ঘাটটি। আমার প্রথম গন্তব্য হচ্ছে কালিরবাজার। যেখানে লঞ্চঘাট অবস্থিত। আমি যে ট্রলারে করে কালিরবাজার যাব সেটি দেখতে অনেকটা ইন্ডিয়ান ছোট আকৃতির ক্যানুর ন্যায়। যার দু মাথা চোখা মধ্যখান স্ফিত। তো উঠে বসলাম তাতে। আর হ্যা ট্রলারের কিন্তু কোন ছাউনি নেই। কী কারনে এ ব্যবস্থা বুঝতে পারলাম না । এটা কতৃপক্ষের নীর্বুদ্ধিতা নাকি ভুল, ঠিক বুঝতে পারলাম না। এটা বলছি এ কারনে যে, ভোরের দিকেই এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে। আর আকাশ মেঘলা থাকায় যেকোন মুহূর্তে বৃষ্টির আশংখা করা অমূলক কিছু নয়।

যাই হোক ঠিক সাড়ে দশটায় সাতাশ জন যাত্রী নিয়ে আমাদের ট্রলারটি রওনা দিল। যার ধারন ক্ষমতা ছিল মাত্র বিশ জন। তাও সর্বোচ্চ। এই অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কুফল আমরা শীঘ্রই টের পেলাম। ট্রলারের বিভিন্ন স্থান থেকে পানি উঠতে লাগল। আসলে ঠিক কয়টা যায়গা থেকে পানি উঠেছিল সেটা আমি নির্ণয় করতে না পারলেও নিজের চোখে তিন চারটি উৎস থেকে প্রত্যক্ষ করলাম। একজন পানি সেচতে সোচ্চার হল। এই কাজটির জন্যই হয়ত পরবর্তীতে আমরা ট্রলার ডুবির হাত থেকে রেহাই পেলাম। সবই মহান আল্লাহ তা'আলার কুদরত। পানি কেটে কেটে চলছে আমাদের ট্রলার।

আশেপাশের গ্রাম্য-প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলোর বর্ণনা না দিলেই নয়। আকাশ মেঘলা। কোথাও কালো আবার কোথাও সাদা। চকের মাঝে দ্বীপের মত কয়েকটা বাড়ী দেখা যাচ্ছে। আশেপাশের অস্বচ্ছ ঘোলাটে পানিতে কচুরিপানার আধিক্য চোখে পড়ার মত। এই কচুরিপানার ফাঁকে ফাঁকে হাস নামক গৃহপালিত পাখিটি নিজের খাদ্য খুজছে অবিরাম ধারায়। একবার ডুব দেয় তো আবার ভেসে উঠে। আবার ডুব আবার ভেসে উঠা। ডুব-ভাসা, ডুব-ভাসা চলছেই। আমাদের ট্রলার চালককে কিছুটা অদক্ষ বলতে হবে। বর্ষাকাল বিধায় তিনি আসল দিক নির্দেশনা ভুলে গেছেন। একজন দক্ষ চালকের ক্ষেত্রে যা কখনও কল্পনাই করা যায় না। তো তিনি এখানে সেখানে আবোল তাবোল ট্রলার ঘুরিয়ে অনেক বিলম্ব করে কালিরবাজারে পৌছালেন। আমরাও ট্রলারের মটরের একটানা গর-গর আওয়াজ থেকে রক্ষা পেলাম।

কালিরবাজার পা রেখে সবাই হাফ ছেড়ে বাচল যেন। নির্ধারিত দশ টাকা ভাড়া দিলাম ট্রলারের চালকের হাতে। এবার অপেক্ষা লঞ্চ আসার। লঞ্চ টার্মিনালে দেখলাম দুজন পুলিশ তাদের নির্ধারিত বা নির্দেশিত দায়িত্ব পালন করছে। নাহ্ দেশটাকে এখন দেশ বলা যায়। অবশেষে দীর্ঘ একঘন্টা পর লঞ্চ এল তার জন্য নির্ধারিত সময়ের পনের মিনিট বিলম্ব করে। লঞ্চ দেখে তো চক্ষু চড়কগাছ। কথা ছিল আসবে বড় লঞ্চ। যার টাইটেল এম.ভি.......... এরকম টাইপের। কিন্তু একি! এযে একেবারেই ছোট লঞ্চ।

বড় লঞ্চ ভ্রমনের আশা আজকের জন্য আমার ত্যাগ করতে হল। লঞ্চে উঠলাম। লঞ্চ দোতলা। নীচে সাধারন যাত্রীদের আসন আর উপরে বিলাস। বিলাসে ঢুকলাম। কাঠের ফ্রেমে লেখা "বিলাসের ভাড়া দেড়গুন"। হ্যা, এই তাহলে বিলাসের নমুনা ! সাধারনত আমরা স্কুলে যে বেঞ্চিতে বসতাম অনেকটা সেরকম বেঞ্চিই এখানে সাড়িবদ্ধভাবে সাজানো। এক বেঞ্চে দুজন। নিজের ব্যাগ বা লাগেজ ফ্লোরে রাখতে হয় অথবা পায়ের উপর রাখতে হয়। ফ্লোর নোংরা। আমি আমার ব্যাগটা পায়ের উপরেই রাখলাম। আমাদের লঞ্চ চালকের বয়স আনুমানিক পয়ষট্টি। যৌবনকালে দেহের চামড়া সাদাই ছিল। কালে কালে রোদের তাপে তা তামাটে রূপ ধারন করেছে। চেহারায় রূক্ষতার ছাপ স্পষ্ট। তিনি দৃঢ়ভাবে চালকের আসনে বসে আছেন। মনে হচ্ছে তিনি অনেক বড় একটি জাহাজের নাবিক।

লঞ্চ ছাড়া হল। এগিয়ে চলছি আমরা। আশেপাশের প্রকৃতিক দৃশ্যাবলী মুগ্ধ করার মত। যার বর্ণনা আমি দেব না কারন লঞ্চে বসে এত কথা লেখা যায় না। আশেপাশের হকারদের চিত্কার, যাত্রীদের কথোকপোথনের ফলে বারবারই চোখ তুলে তাকাতে হয়। যার ফলে মনোযোগে ছেদ পড়ে। লঞ্চ এতক্ষনে চলে এসেছে প্রথম স্টেশনে। ও হ্যা, বলাই হয়নি। মতলব যেতে হলে একে একে ৯টি লঞ্চ টার্মিনাল অতিক্রম করতে হয়। লঞ্চ একে একে অতিক্রম করল (প্রথম থেকে) শ্রীরায়েরচর, দূর্গাপুর, নন্দলালপুর, নায়েরগাঁও, শাহপুর, শ্যামপুর, টরকী, লক্ষীপুর ও এনায়েতনগর। তার পরেই মতলব (জেলা - চাঁদপুর)। মানে আমার গন্তব্যস্থল।

আশেপাশের দুপাড়ের প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী শুধু উপভোগই করা যায়। হালকা সবুজ আর গাঢ় সবুজের কারসাজি। সূর্যের আলোতে প্রখরতা নেই কারন আকাশ মেঘলা। পাখিদের আনাগোনাও তেমন লক্ষ্যনীয় নয়। তবে সবকিছু ছাপিয়ে সর্ব প্রথমেই দৃষ্টিগোচর হয় টাওয়ারগুলো। হ্যা, মোবাইল কোম্পানীগুলোর টাওয়ার। আশেপাশের সকল গাছপালাকে ছাড়িয়ে এসকল টাওয়ারগুলো অনেক উপরে উঠে গেছে। লঞ্চ যখন মতলব টার্মিনালে ভিড়ল তখন ঘড়িতে সময় দুপুর আড়াইটা। তারপর আমি কিভাবে কোথায় গেলাম সেটা বলছি না। কারন অজানাই থাক। আর হ্যা, তারিখটি ছিল ২৪শে জুলাই ২০০৭।

জুলাই ২৪, ২০০৭। লঞ্চে বসে লেখা হয়েছে।

সাইবার ক্রাইম (স্বরচিত গল্প)


"ও" এখন জেলে। এতটুকু বয়সে সে কিশোর অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে। জেল হয়েছে পাঁচ বৎসরের তাও আবার সশ্রম। যদি ওর জেলে যাবার কেস হিস্ট্রী জানতে চাওয়া হয় তাহলে যে কাহিনী বেরোবে তা হয়ত অনেকের কাছেই বিশ্বাসযোগ্য হবে না। তারপরেও বলতে হবে, জানতে হবে। কারন আমরা প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন বিষয় থেকে ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষা গ্রহণ করি। এই ঘটনাটি হয়ত অনেকের কাছে শিক্ষনীয় হবে। তাহলে আরম্ভ করা যাক।

ছেলেটির নাম ড্যানিয়েল মরফি। ডাকনাম ড্যান। বয়স মাত্র পনের বৎসর। বাবা একজন উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মচারী। মা একটি প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে। ড্যানের জন্ম হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায়। কিন্তু বর্তমানে ওরা থাকে লস এ্যাঞ্জেলসে। জায়াগাটা আমেরিকায়। দেশটির পুরো নাম "ইউনাইটেড স্টেট অফ অ্যামেরিকা"। সংক্ষেপে ইউএসএ। ড্যানের বয়স যখন চার তখন ও ভর্তি হয় ক্যালিফোর্নিয়ার স্থানীয় এক স্কুলে। সেখান থেকেই ওর কম্পিউটারের হাতেখড়ি।

নয় বৎসর বয়সে ওরা চলে আসে লস এ্যাঞ্জেলসে। কারন বাবার বদলি হওয়া। মাও আবেদন করে লস এ্যাঞ্জেলসে পোস্টিং করে নেয়। এমনিতেই ওর জ্ঞান ভালো। নয় বৎসর হতে না হতেই ও অফিস এ্যাপ্লিকেশন,গ্রাফিক্স ডিজাইন,ভিজ্যুয়াল বেসিক,সি,সি++,সি#,সানজাভা,জাভা,প্যাসকেল ইত্যাদিতে পারদর্শী হয়ে ওঠে। বই পড়ে, শিক্ষক ও উপরের ক্লাসের ছাত্রদের সাহায্য নিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ও ক্রমে ক্রমে কম্পিউটারের অনেক প্রোগ্রামে আরও পারদর্শী হয়ে ওঠে। ক্যালিফোর্নিয়া স্কুলে প্রোগ্রামিঙে ও তিনবার একাডেমিক অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়।

ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকা কালীন সময়ে ওর মা-বাবা ওর তেমন আদর যত্ন নিতে পারেনি। তারপরও পরিবেশ ভাল থাকায় ওর পড়ালেখায় তেমন কোন ব্যাঘাত ঘটেনি। অসত সঙ্গ বা অসত উপদেশও ওর কানে তখনও প্রবেশ করেনি। কিন্তু লস এ্যাঞ্জেলসে আসার পর থেকেই পরিবেশ উল্টে গেল। উজবুজ ও উড়নচন্ডী সব বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে ওর কোমল হৃদয় বিগড়ে গেল। ক্রমে ক্রমে ও শিখে উঠতে লাগল কিভাবে ওর পূর্ববর্তী শিক্ষাকে কাজে লাগিযে সফটওয়্যারকে হ্যাকিংয়ের কাজে লাগানো যায়। তিন চারটি ই-মেইল এ্যাকাউন্ট খুলে পাশাপাশি ও চালালো চ্যাটিং সাথে প্রাথমিকভাবে ক্রেডিট কার্ডের নাম্বার জোগাড় করা। বয়স, পরিচয়, বাসস্থান গোপন করে অথবা ভূল তথ্য দিয়ে চলতে থাকলো ই-ক্রাইম। একে একে ওর হাতে এল কয়েক হাজার ডলার।

এই মুহূর্তে ও একটি ওয়েবসাইট লঞ্চ করল যা কিনা পর্নো নির্ভর । চাইণ্ড, এ্যাডাল্ট সহ বিভিন্ন প্রকার পর্নো ছবি, ভিডিও দিয়ে ও সাজালো ওর সাইটকে। শুধুমাত্র ডো্মেইন কিনে ও নিজেই ডিজাইন করলো সাইটটি ঘরে বসে। ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে, বাজারের পাওয়া বিভিন্ন ডিভিডি থেকে ও পিকচার ও ভিডিও সংগ্রহ করলো। ধীরে ধীরে ওর ওয়েবসাইট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠল। অনেক পর্নো নির্ভর প্রতিষ্ঠান ওর ওয়েবসাইটে নিজেদের অ্যাডের মাধ্যমে ওকে ডলার দিতে লাগল। ধীরে ধীরে ও যেন ফুলে ফেপে উঠতে লাগল। তবে এ সব কাজই চলতে লাগল ওর মা-বাবা এবং সকল প্রকার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অগোচরে। বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় ওয়েবসাইটের নেটওয়ার্কে আঘাত করে ও হ্যাক করলো।

তবে ও যা ই করুক না কেন সব কিছুই করে সাইবার ক্যাফেতে শুধুমাত্র নিজের ওয়েবসাইট ডেভেলোপমেন্ট ছাড়া। একেক সময় একেক ক্যাফেতে ও যায়। সফটওয়্যার এর মাধ্যমে ক্যাফের পিসির ব্রাউজিং ইনফরমেশনসড সকল হিস্টোরী ও ডিলিট করে দেয়। যার ফলে কোন ধরনের ইনেকোয়ারী ওকে ধরতে পারে না। তাছাড়া ওর বাসার পিসিতে ও ঘন ঘন ইন্টারনেট ব্রডব্যন্ড লাইন বদলানোর মাধ্যমে ও চালালো ক্রাকিং। একটি ক্রাকিং চালিয়ে ও নিজের ইন্টারনেট ক্লায়েন্ট আইপি বদলিয়ে ফেলে। এভাবে ও প্রায় কয়েক মিলিয়ন ডলারের মালিক হল।

কিন্তু মানুষ মাত্রই ভূল হয়। আর সেটাই তার ধ্বংসের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হাতিয়ার। একদা ও একটি শীর্ষস্থানীয় ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের জন্য সফটওয়্যার তৈরী করছিল প্রোগ্রামকোড লিখনের মাধ্যমে নিজের বাসার পিসিতে। ওয়েবসাইটটি ছিল একটি স্বনামধন্য হোটেলের। ওর উদ্দেশ্য ছিল হোটেলে এযাবত কালে যত লোক থেকেছে তাদের তথ্য যোগাড় করা। এসব তথ্য শহরের বড় মাফিয়া চক্রের কাছে মোটা অংকের ডলারে বিক্রি হবে। সেক্ষেত্রে অনেক শক্তিশালী সফটওয়্যার লাগবে। যাকে পরবর্তীতে ভাইরাস সফটওয়্যারে কনভার্ট করে ওই ওয়েবসাইটের নেটওয়ার্কে আক্রমন করতে হবে। তাহলেই ওর উদ্দেশ্য সফল হবে। তো ও প্রোগ্রাম লিখে তা কম্পাইল করছিল। রাত তখন গভীর। দু চোখের পাতা আর স্থির থাকতে চাইছিল না। শত হলেও বয়স কম। এই বয়সে এত পরিশ্রম কী আর ধাতে সয় ? এক সময় ও ঘুমিয়ে পড়ল।

কিন্তু বিধি বাম। প্রোগ্রামটি কম্পাইল হয়ে নিজ থেকেই রান হয়ে গেল এবং নিজে নিজেই ওয়েবসাইটটিকে হ্যাকড করল। এ সব ঘটনা ঘটল আরেকটি ভাইরাসের প্রভাবে। যা কিনা পূর্বে ড্যান তৈরী করেছিল। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এ ভাইরাসটি কম্পাইল কৃত প্রোগ্রামটিকে অটোরান করিয়ে অটোম্যাটিক ওয়েবসাইট হ্যাকড করে। তো ও সকালে উঠে দেখল এই অবস্থা। ততক্ষনে প্রকাশ হয়ে গেছে ওর কুকীর্তি। পুলিশ এস ধরে নিয়ে গেল।

এতদিন পর ওর মা-বাবা টের পেল তাদের ছেলের এ অধপতন। এবং এও টের পেল যে সন্তানকে শাসন এবং চোখে চোখে রাখার কত গুরুত্ব। তাই বাংলাদেশের সকল মা-বাবার প্রতি এই গল্পের লেখকের একটিই অনুরোধ থাকল আর তা হল আপনার সন্তানকে প্রযুক্তি বিদ্যায় শিক্ষিত করুন কারন এটাই হল ভবিষ্যতের পৃথিবীর একমাত্র সম্ভল। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন এই যে, আপনার সন্তানকে চোখে চোখে রাখুন। তার আচার আচরন লিপিবদ্ধ করুন। খারাপ বন্ধুদের চিহ্নিত করে তাদের সঙ্গ থেকে আপনার সন্তানকে বিরত রাখুন। সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা থেকে তাকে দূরে রাখুন। ন্যায়ের পথে চলতে এবং কাজ করতে শিক্ষা দিন। নব প্রযুক্তির সূচনায় নতুন প্রজন্মের বিকাশে সবাই এগিয়ে আসি এবং গড়ে তুলি এক সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ। ধন্যবাদ।

আমি যখন হ্যাকিং সম্পর্কে জানতে পারি তখন গল্পটি লিখা। সময়টা সম্ভবত ২০০৯ সালের প্রথম দিকে।

বাজারে একদিন (স্বরচিত গল্প)


বক্কর সাহেব বাজারে যাবেন। হাতে তার বাজারের ব্যাগ। ভাজ করা। পাঞ্জাবির পকেটটি তেমন ফুলা ফুলা নয়। স্বল্প আয় তার। যার ফলে ব্যাগ ভরে বাজার করা তার সাধ্যের বাহিরে। দুর্নীতির বেসিক নলেজটিও তার মধ্যে নেই। যার ফলে টাকার ওজনে তার পাঞ্জাবির পকেট ছিড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে এটা আশা করাও মস্ত বড় ভুলের কাজ। যাই হোক বক্কর সাহেব বাজারে যাচ্ছেন। পথে এর ওর সাথে দেখা হচ্ছে। কুশল ও সালাম বিনিময় হচ্ছে কিছুক্ষন পরপরই।

রাস্তার পাশেই ডাস্টবিন। বক্কর সাহেব পকেট থেকে রুমাল বের করে নাকে চাপা দিলেন। এ মুহূর্তে তার মাথায় একটি বরের পাগড়ি পরিয়ে দিলে যে কেউ তাকে বর ভেবে ভুল করতে পারে। যাক এমনটি হয়নি। কারন আশেপাশের অনেকেই নাকে রুমাল অর্থাত বক্কর সাহেবের পদাঙ্ক অনুসরন করেছে। কিছুদূর অগ্রসর হয়েই চেখে পড়ল চিরচেনা আরেকটি জিনিস। ম্যানহোল সেটি। যার ঢাকনা কবে নাগাদ নিখোজ হয়েছে তা কেউ স্বরন করতে পারে না। বক্কর সাহেব অতি সাবধানে সেটির পাশ কাটালেন। এইতো আর দশ কদম পরেই বাজার। বক্কর সাহেব তার প্যান্টের নিচের বাড়তি অংশটুকু গুটালেন। কারন বাজারে ঢুকলেই মত্স ধোয়ার পানিতে সৃষ্ট কাদায় তার মহা মূল্যবান না হলেও মহা উপকারী ও বিশ্বস্ত প্যান্টটির বারোটা বাজার পর তেরোটায় যেতে তেমন বিলম্ব হবে না। ইতিমধ্যেই তার নাকে বাজারের উৎকৃষ্ট (নাকি নিকৃষ্ট !) পচা মাছের গন্ধ পৌছাতে শুরু করেছে। বাংলাদেশে তৈরী পারফিউমগুলোর সাথে এ ব্যাপারটির বেশ অমিল খুজে পেয়েছেন বক্কর সাহেব। বাংলাদেশের পারফিউমগুলো শরীরে স্প্রে করার বিশ মিনিটের মধ্যে নিজেদের স্থায়িত্ব হারায়। তখন আশেপাশের লোকজন দূরে থাক নিজেই ঘ্রান নিতে ব্যর্থ হতে হয়। অথচ এই পচা মাছগুলোর গন্ধ প্রায় আধা মাইল দূর থেকেই নাসিকাগোচর হয়।

বক্কর সাহেব এখন এক মাছ ব্যবসায়ীর সামনে। লোকটি ডালায় এক ভাগ মাঝারী সাইজের পুটি মাছ নিয়ে বিক্রির প্রহর গুনছে। বক্কর সাহেব দাম জিজ্ঞেস করলে ওপাশ থেকে পঞ্চাশ টাকা প্রতিউত্তর পাওয়া গেল। হায়রে এ কয়টা অর্ধপচা মাছের দাম এত! বক্কর সাহেব ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বেশ আতংকিত হয়ে পরলেন। ইদানিং ইলিশের প্রাচুর্যে দেশ নাকি ভাসছে। দেখা যাক ইলিশের দাম কেমন। বক্কর সাহেব পুটিগুলোর দাম বিশ টাকা বলে চলে এলেন ইলিশের দোকানের সামনে। এক বিঘা একটি ইলিশের দাম জানা গেল ষাট টাকা। লোকটি বত্রিশ দাত (অবশ্য কমও হতে পারে) বের করে মাছের দাম বলায় বক্কর সাহেবের মত নিপাট ভদ্রলোকের মেজাজ সপ্তমে উঠল। তিনি নিজেকে সংযত করে বললেন, এতটুকু মাছের দাম ষাট ? ব্যবসায়ী আবার তার দন্তকতিপয় প্রদর্শন করে বলল, জি স্যার, হইব না, ইলিশ বইলা কথা।

বক্কর সাহেবের বাজেট চল্লিশ টাকা। তিনি যদি ষাট টাকার মাছ কিনেন তাহলে অন্য সকল তরকারী গুলো কিনতে তার সমস্যা হয়ে যাবে। অগত্য বক্কর সাহেব পয়ত্রিশ টাকা দিয়ে একভাগ টেংরা কিনলেন। এবার তিনি তরকারী বাজার গেলেন আরেকপ্রস্থ সংগ্রামের জন্য। আলু ১৭ টাকা, কচুর লতি ২০ টাকা.........বক্কর সাহেবের পকেটে সম্বল মাত্র ৬৫ টাকা। প্রায় আধা ঘন্টা ঘোরাঘুরির পর তিনি এককেজি আলু ,বেগুন, দু টাকার ধনে পাতা, পাঁচ টাকার মরিচ ও দুটো মাঝারি সাইজের কাঁচা পেঁপে নিয়ে বাড়ি এলেন। এ রকম প্রায় প্রত্যেক বক্কর সাহেবের জন্য বাজার করাই  নয় বরং জীবনের চলার প্রতি পদে পদেই সংগ্রামে লিপ্ত হতে হয়। কতদিন চলবে তাদের সংগ্রাম কে জানে। এটাই গ্রামবাংলার চিরন্তন গল্প।

গল্পটি বেশ কয়েক বছর আগে লিখা, তাই বর্তমান বাজারের সাথে মাছ বা তরকারির মূল্যে পার্থক্য থাকাটাই বাঞ্চনীয়।

কুরআনের একটি আয়াত


"আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন, তদ্বারা যমীনকে তার মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেছেন। নিশ্চয়ই এতে তাদের জন্য রয়েছে নিদর্শন, যারা শ্রবণ করে।"               

                                                            সূরা নাহল- আয়াত সংখ্যা(৬৫)

ছোট্ট একটা আর্জি (আত্মকথন)



পূর্নিমা রাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছু ভাবতে ইচ্ছে করে না। শুধুই বিমগ্ন নয়নে তাকিয়ে থাকতে থাকতে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে 'হে আকাশ আমাকে কি তোমার গোপন বিদ্যা শিখিয়ে দিবে কিভাবে এত উদার হতে হয়? আমি উদার হতে চাই, এ সংকীর্ণ মন নিয়ে জীবনযাপন করতে আমার খুব কষ্ট হয়। দাওনা শিখিয়ে।' আমার এ আর্জি আকাশ হয়ত শুনতে পায় না।

ভয় (প্রতিবেদন)


ভূমিকা :
ভয়। দুটি ব্যাঞ্জন বর্নের সমন্বয়ে গঠিত একটি শব্দ। শব্দটি ছোট হলেও এর তাৎপর্য বা ব্যপকতা অনেক। এই শব্দটির ক্ষমতা এতই বেশি যে এই ব্যাপারটি সৃষ্টির সেরা জীব মানুষকে সবসময় তাড়া করে বেড়ায়। ভয় সম্পর্কে কিছু বলার পূর্বে এর মোটামুটি একটি সংজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন। অনেক চিন্তা করার পর যে সংজ্ঞাটি আমার মনোপুত হয়েছে তা হল "যার কারনে হৃদপিন্ডের রক্তচলাচল অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়,অনুশোচনা করতে ইচ্ছে করে,মস্তিষ্ক-চোখ-মুখ তপ্ত হয়ে ওঠে,একপ্রকার ঠান্ডা শিহরন মস্তিষ্ক ও শিরদাড়া বেয়ে নীচে নেমে যায়,হাত-পা অস্বাভাবিকভাবে কাপতেঁ থাকে,দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়,চলাচল করার বা নড়াচড়া করার শক্তি হারিয়ে যায় এছাড়াও সমস্ত শরীরে ঘাম এসে যায় ইত্যাদি কারনকে সামগ্রিকভাবে ভয় বলে।" উপরোক্ত কারনগুলোর কোন না কোনটা প্রায় প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে। ভয়ের অনেক প্রকারভেদ রয়েছে।

প্রকারভেদ :
১। সৃষ্টিকর্তার ভয়,
২। মৃত্যুর ভয়,
৩। সম্পদ হারানোর ভয়,
৪। স্বাস্থ্য হারানোর ভয়,
৫। সম্মান হারানোর ভয়,
৬। অলৌকিক সত্ত্বার ভয়,
৭। চাকরি হারানোর ভয়,
৮। অঙ্গহানীর ভয়,
৯। আত্মবিশ্বাসের ভয়,
১০। শিক্ষার ভয় বা পরিক্ষার ভয় ইত্যাদি।

আলোচনা:
আমি আজকে যে ভয়কে নিয়ে আলোচনা করব সেটি হচ্ছে অলৌকিক সত্ত্বার ভয়। অলৌকিক সত্ত্বার ভয় বলতে আমি বুঝিয়েছি কোন অতৃপ্ত আত্মার ভয়,ভূতের ভয়,অন্ধকারের আলো আধারীর ভয়,অজানা ভয় ইত্যাদি। আমি উপরের যতগুলো ভয়ের কথা বলেছি আসলে প্রকৃতপক্ষে তার কোনটাই সরল স্বাভাবিক ভয় নয়। প্রত্যেকটাই অস্বাভাবিক ভয়। মানুষের মনের অজানা কোন কুঠুরিতে এই অস্বাভাবিকতার জন্ম। সকল ভয়ই মানুষের মনের অবদান। প্রত্যেক ভয়ই মানুষের অবচেতন মন থেকে উত্পত্তি লাভ করে থাকে। সে ভয়ের সুনির্দিষ্ট কোন কারন নেই। যা মানুষের অস্বাভাবিক চিন্তার ফসল।

মানুষের মাঝে ভয় যেভাবে জন্ম নেয়:
মানুষ সবকিছুই তার পরিবার থেকে শিখে। পরিবারের পাট চুকিয়ে সে প্রকৃতি ও আশপাশের পরিবেশ থেকে শিখতে থাকে। প্রায় প্রত্যেকটি জিনিসই সে পরিবেশ থেকে শিখে। তবে তার মন পরিপূর্ণতা লাভ করলে সে নিজের কাছ থেকেই অনেক কিছু শিখতে থাকে। বহুকাল পূর্বে থেকে যা চলে এসেছে তা মানুষ সাধারনত সমাজ বা পরিবেশ থেকেই শিক্ষা লাভ করে। ভয়ও ঠিক তেমনি। এ জিনিসটিও মানুষ আশপাশের মানুষের আচরন,কথাবার্তা বা পরিবেশ থেকে শিক্ষা লাভ করে। ভয় পাওয়া অনেকটা স্কুলে শিক্ষা লাভের মতই। কেউ যদি ছোটকাল থেকেই ভয়ের সাথে পরিচিত না হয় তাহলে আশা করা যায় বড় হলে তার মধ্যে ভয় নামক জিনিসটি ঠিক মত কাজ করবে না। অর্থাত ভয় মানুষ পরিবেশ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে লাভ করে থাকে।

মানুষ কেন ভয় পায়?
মানুষ কেন ভয় পায়, এই প্রশ্নটির উত্তর বেশ কঠিন । একথা সত্য যে প্রত্যেক মানুষই তার রিপু দ্বারা প্রভাবিত। অন্ধকার দিয়ে হাটছি হঠাত যদি কোথাও একটি অস্বাভাবিক শব্দ হয় তাহলে অবশ্যই আমাকে থমকে দাড়াতে হবে। হয়তো তখন দেহে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে। হ্যা, প্রশ্ন ছিল মানুষ ভয় পায় কেন? এ প্রশ্নটির উত্তর জানতে আমাকে কথা বলতে হয়েছিল এমন কিছু মানুষের সাথে যারা প্রকৃতপক্ষেই এ সব অলৌকিক অস্বাভাবিক সত্ত্বাকে ভয় পায়। তাদের সাথে কথা বলে আমি যে কয়টি তথ্য উদ্ধার করতে পেরেছি সেগুলো হল:

১। যখনই আমি একা হয়ে যাই তখনই মনে হয় কেউ আমাকে তাড়া করছে। কোন কোন সময় মনে হয় সে আমার আশপাশেই ঘুরঘুর করছে। যেকোন সময় আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ে ঘাড়টা মটকে দিতে পারে।
২। একা হাটলেই মনে হয় কেউ আমার পিছু নিয়েছে। বাতাসের সাথে সাথে সেও আমাকে ঘীরে আছে। যেকোন সময় সে তার অস্তিত্ব প্রকাশ করতে পারে।
৩। একা থাকা মানেই ভয়। আর একা হলেই আমার ভয় লাগে। সে যে কারনেই হোক না কেন। হয়ত এটা আমার অভ্যাসে পরিনত হয়েছে।
৪। একা খাটে শুলেই মনে হয় রাতে অতিপ্রাকৃত কোন কিছু আমার সাথে শোবে। সে আমাকে মেরে ফেলবে। মাঝে মাঝে আমি তার অস্তিত্ব অনুভব করি। তার ছবি আমার চোখের সামেনে ভেসে উঠে। সে তো একা নয়। তার সাথে আছে আরও অনেক সে। সে মানে ভূত।

ভয় পাওয়ার কতগুলো প্রকৃত উদাহরন:
১। জ্যোৎস্না রাত। রিকশায় বসে আছি একা (কোন এক কারনে,রিকশা ওয়ালা কিছু সময়ের জন্য অনুপস্থিত)। মনে হল আশপাশের সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। রাত আনুমানিক সাড়ে দশটা। গ্রামে এমনিতেই লোকজন তারাতারি ঘুমিয়ে পড়ে। আমি যেখানে রিকশায় বসে আছি তার পাশে বাঁশঝাড়ের নীচেই দুটি 'কবর'। 'কবর' থেকে কিছুদূর গেলেই বেশ প্রশস্থ খাল। কবরের ঠিক বিপরীত দিকে কিছুদূরে কৃত্রিম বন-জঙ্গল। তার উপরে পূর্ণিমা চাঁদ উঁকি দিয়ে রয়েছে। উত্তর দক্ষিন থেকে হাওয়া বইছিল ঝিরঝির করে। হাওয়ার তালে বাঁশের পাতা নড়ছিল আর খসখস শব্দ হচ্ছিল। যার ফলে চাঁদের আলোয় এক আলো আধারীর খেলা চলছিল, মনে হচ্ছিল কবর থেকে উঠে আসা প্রেতাত্মাগুলো নাচছে। নদীর দিকে তাকাতেই মনে হল এই বুঝি ভেসে উঠল কোন অজানা কিছু। কিন্তু সেই অজানা কিছুটি কী?
২। নিজ এলাকা থেকে কিছু দূরে ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে। ওয়াজ মাহফিলে হরেক রকমের খাবার আসত। ছোট ছিলাম বলে এগুলোর প্রতিই ঝোক ছিল বেশি। তো ওয়াজ শুনছি আর খাবার খাচ্ছি। রাত তখন এগারোটা। হঠাত খেয়াল হল আমার বন্ধুদেরকে আশপাশে দেখছি না। খোঁজকরে বুঝলাম আমাকে রেখেই বাছাধনরা বাড়িতে চলে গেছে। আমাবস্যা রাত। নিজ গ্রামের কাউকে না পেয়ে একাই রওনা দিলাম। হাটছি একা। মাঝে মাঝে রাস্তায় হয়তো দু একজনের সাথে দেখা হচ্ছে। হাটছি তালগাছের নীচ দিয়ে। মনে হল এই বুঝি তালগাছের আগা থেকে আমার কাধে ঝাপিয়ে পড়ল সে। যাচ্ছি নদীর পাশ দিয়ে। যাচ্ছি বাঁশঝারের পাশ দিয়ে। মাথার উপর বাঁশের পাতা খসখস করছে। মনে হয় যেন নি:শ্বাস ফেলছে কোন অতৃপ্ত কেউ। অথবা কখনও মনে হল আমাকে কেউ পেছন থেকে তাড়া করছে। যাক বাড়িতে এস পৌঁছলাম শেষ পর্যন্ত একদম একাই।

আপনি নিজেও ইচ্ছে করলেই ভয় পেতে পারেন:
১। হরর ফিল্ম দেখছেন। ফিল্ম দেখা শেষ হলে ঘুমোতে যাবেন্ ঘরের বাতি নিভান। একটি জানালা খুলে দিন। মনে করুন হরর ফিল্মে যা দেখেছেন তাই ঘটতে যাচ্ছে আপনার সাথে। চতুর্দিক থেকে ওরা আসছে আপনাকে তাড়া করতে। একটু ভাবুন তো তখন আপনার অবস্থাটা কী হবে?
২। ছোট বেলায় দাদীর কাছে একটি ভূতের গল্প শুনেছেন। ঠিক এমন একটি গল্পই মনে করার চেষ্ঠা করুন। দাদী ভূতের চেহারা আকৃতির যে বর্ণনা দিয়েছেন তা মনে করার চেষ্ঠা করুন। রাস্তায় বা ঘরের মধ্যে অন্ধকারে সেই ভূতের ছবিটি ভিজুয়ালাইজ করুন। আশ্চর্য হয়ে যাবেন আপনি যখন দেখবেন আপনার ঠিক চোখেন সামনেই দাড়িয়ে আছে আপনার কল্পিত সেই ভূতটি।
৩। রুমে আপনি একা। রুমটি অন্ধকার। বাইরেও বেশ অন্ধকার। সম্ভবত আমাবস্যা রাত। ভাবুন আপনার রুমের জানালার একটি কপাট ফাকঁ  হয়ে আছে। তার মধ্য দিয়ে একজোড়া লাল রাগত চোখ আপনাকে অনেকক্ষন যাবত লক্ষ করছে। যেকোন সময় জানালার ফাঁক গলে সে আপনার কাছে চলে আসতে পারে। তখন আপনার কী অবস্থাটা হবে চিন্তা করেছেন?
৪। আর হ্যা খুব বেশী সাহসী হলে কবরস্থানের মধ্যখানে গিয়ে বসে থাকুন একদম একলা। ভয় কাকে বলে হয়ত তখন টের পাবেন।

ভয়ের সাথে বন্ধুত্ব করা:
আমাদের প্রত্যেকেরই কম বেশী বন্ধু আছে। আমরা বন্ধুদেরকে সাধারনত ভয় পাই না। তাই আমাদের ভয়কে বন্ধু ভাবতে হবে। পার্থিব জগতে সবার সাথেই ভয় আছে। ভয় থাকবেই। ভয় তো আমার বন্ধু। সে আমাকে সঙ্গ দেয়। আমি যখন একা থাকি তখন তার থেকে ভালো বন্ধু আর কোথায় পাবো? ভয় আমারে অনেক বন্ধুদের মাঝে একজন।
ভয়কে খেলা ভাবা:
ফুটবল,ক্রিকেট,হকি কত ধরনের খেলাইতো আমরা খেলি। ভয়ও তেমনি একটি খেলা। এ খেলাটির নাম ভয়-ভয় খেলা। এ হচ্ছে খেলাচ্ছলে ভয় পাওয়া। সবসময় ভাবুন ভয়কে নিয়ে আমি খেলা করি। আর এ খেলায় আমার জয় অবশ্যাম্ভাবী।
জগতে ভূত বলে কিছু নেই:
জগতে সত্যিই ভূত বলে কিছু নেই। মানুষ ভয় পায় তার মনের জন্য। তার উদ্ভট কল্পনার জন্য সে ভয় পায়। ভূত পেত্নী এ সব তার নিজের বানানো চরিত্র। প্রকৃতিতে বা বাস্তবে এদের কোন অস্তিত্ব নেই। মানুষ যখন কল্পনায় এসব নিয়ে ভাবে তখন সে বাস্তবে এ চরিত্রগুলো ভিজুয়ালাইজ করে যার ফলে এসব চবিত্র তার সামনে বাস্তব রূপে ধরা দেয়।
অন্ধকারই ভালো:
অন্ধকারই ভালো। আলোর চেয়ে অন্ধকারই ভালো। ভয় যারা পান তাদেরকে এ কথাটিই মনে প্রানে বিশ্বাস করতে হবে। অন্ধকারেই আমি স্বস্তি বোধ করি। নিজের মত করে নিজেকে ভাবার সুযোগ পাই। নিজের মনকে নিয়ন্ত্রনের সুযোগ মেলে অন্ধকারেই।

ভয় নেই !
কি বুঝছেন? এখন আর আপনি ভয় পাচ্ছেন না। ঠিক তাই? ভয়কে বন্ধু ভাবা,অন্ধকার ভালো লাগা,ভয়-ভয় খেলা এগুলো প্রত্যহ অনুশীলন করলে ভয়ই বরং আপনাকে ভয় পাবে। চেষ্ঠা করেই দেখন না।


*** উপরোক্ত প্রতিবেদন কোন বৃহৎ গবেষনার ফসল নয়। যার ফলে এত ভূল থাকাই স্বাভাবিক।

অনলাইনে আয়ের ২০০+ বাস্তবিক উপায় (চিত্র)


আমরা অনেকেই অনলাইনে আয় শব্দটির সাথে কমবেশি পরিচিত। অনেকেই আয় করছি। অনলাইনে আয়ের জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ভূয়া। তাই নিচে সার্ভেস্পেনসার এর দেয়া ইনফোগ্রাফিক এ অনলাইনে আয়ের ২০০+ পদ্ধিতি সম্বলিত চিত্রটি দেয়া হল। ক্যাটাগরী অনুযায়ী আপনার পছন্দের ওয়েবসাইট বেছে নিন আর কাজ আরম্ভ করে দিন।


ই-মেইল সাবস্ক্রিপশন

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner

ক্যাটাগরীসমূহ

পৃষ্ঠাসমূহ

Creative Commons License
This work is licensed under a Creative Commons Attribution 3.0 Unported License.
Protected by Copyscape

ব্লগটি মোট পড়া হয়েছে

বাঙলা ব্লগ. Powered by Blogger.

- Copyright © মেহেদী হাসান-এর বাঙলা ব্লগ | আমার স্বাধীনতা -Metrominimalist- Powered by Blogger - Designed by Mahedi Hasan -