.....


আজ আমরা শিখব ট্যাবনেবিং ব্যবহার করে কিভাবে ফেসবুকের পাসওয়ার্ড হ্যাক করতে হয়। ট্যাবনেবিং হচ্ছে একটি উন্নতমানের ফিশিং পদ্ধতি, যা ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড হ্যাক করতে ব্যবহার করা হয়। সাধারন ফিশিং এ্যাটাক ফেসবুকের মাধ্যমে ধরে ফেলা যায় কারন বর্তমানে ফেসবুক কিছু অতিরিক্ত কোড ব্যবহার করে যা পূববর্তী এ্যাড্রেসটি ভ্যারিফাই করে। যদি দেখা যায় যে, পূববর্তী এ্যাড্রেসটি কোন ফিশিং বা ফেক পেজ, তাহলে তা ব্যবহারকারীকে একটি সতর্কবার্তা প্রদর্শন করে যে, “তুমি একটি ফেক বা ফিশিং পেজ থেকে এসেছ, তাই তুমি তোমার ফেসবুক পাসওয়ার্ডটি দ্রুত পরিবর্তন কর”। ফলে ব্যবহারকারী সহজেই বুঝতে পারে যে, সে কারো দ্বারা হ্যাকিং এর শিকার হয়েছে এবং সে তার পাসওয়ার্ড দ্রুত পরিবর্তন করে ফেলে। যার ফলে হ্যাকিং প্রচেষ্টাটি বিফলে যায়।

পুরনো ফিশিং পদ্ধতিটি নতুনদের জন্য যারা মূলত স্ক্রিপ্ট কিডি বা নিওবাই। যেহেতু প্রযুক্তি ও কোড প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ও শক্তিশালী হচ্ছে সেদিকে খেয়াল রেখে হ্যাকারদেরও হ্যাকিং পদ্ধতি আরো উন্নত করতে হবে।

ট্যাবনেবিং ও পুরনো ফিশিং পদ্ধতি মোটামুটি এক রকমই। তবে তাদের মধ্যে মূল পার্থক্য হচ্ছে, ফিশিং আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ওয়ের এড্রেসে ফিরিয়ে নিয়ে যায় যেখানে ট্যাবনেবিং ব্রাউজারে একটি মেটা রিফ্রেশ ফিচার ব্যবহার করে যা ওয়েব ব্রাউজারকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পেজটি রিফ্রেশ করতে বাধ্য করে, তবে রিফ্রেশের সময়টি হ্যাকার নির্ধারন করে দেন। মেটা রিফ্রেশ হচ্ছে একটি মেটা ট্যাগ যেটা ওয়েব পেজের হিডার অংশে (যারা এইচ.টি.এম.এল জানেন তারা ভালো বুঝতে পারবেন) ব্যবহৃত হয়। এটা সোর্স পেজ থেকে নির্দিষ্ট সময় পর নির্ধারিত ওয়েব সাইটে ট্রাফিক পাঠায়। যেহেতু এটা একটা মেটা ট্যাগ সেহেতু এটা শুধু প্রক্তিয়াটি সম্পন্ন করে এবং ব্রাউজার কুকিতে কোন ডাটা সংরক্ষিত হয়না। এখানেই হচ্ছে মূল বিষয়টি, যখন ফেসবুক পূববর্তী ওয়েব ঠিকানাটি চেক করে যে, ব্যবহারকারী কোথা থেকে এসেছে তখন সে কিছুই পায় না, যেহেতু হ্যাকার রিফ্রেশ সেট করে রেখেছে। নতুন একটা ট্যাবে ফেসবুক খুললে যা হয় এটা ঠিক তেমন হয়ে যায়, সোর্স এড্রেসটি মুছে যায়। আর যেহেতু কোন কুকি থাকে না সেহেতু ধরা পরার উপায় থাকে না বললেই চলে। তখন ফেসবুক বুঝতে পারে ব্যবহারকারী সাধারনভাবেই ফেসবুকে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।

ট্যাবনেবিং করতে আমাদের যা প্রয়োজন হবে :-
.    ফিশিং পেজ
.    একটি পিএইচপি সাপোর্ট করে এমন ওয়েব সার্ভার এবং পেজগুলোকে সেখানে আপলোড করে দেয়া
.    শিকারের কাছে পাঠিয়ে দেয়া

যেভাবে ট্যাবনেবিং ব্যবহার করে ফেসবুকের পাসওয়ার্ড হ্যাক করব :-
এই পদ্ধতিতে ফেসবুকের পাসওয়ার্ড হ্যাক করতে পাঁচ মিনিটেরও কম সময়ের প্রয়োজন হয়। এই পদ্ধতিটি প্রাথমিক পযার্য়ের, পরবর্তীতে ট্যাবনেবিং এর আরো পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হবে আশা করছি। 


নিচের পদ্ধতিটি অনুসরন করুন :
.    এখান থেকে ফিশিং পেজগুলো ডাউনলোড করুন
.    আনজিপ করলে আপনি মোট চারটি ফাইল পাবেন
.    এখানে রেজিষ্ট্রেশন করুন এবং ফাইলগুলো আপলোড করুন
.    এখন ইনডেক্স (index) ফাইলটি খুলুন এবং এটার লিংকটি শিকারের কাছে পাঠিয়ে দিন।
.    পাসওয়ার্ড ফাইলটি চেক করুন, শিকারের পাসওয়ার্ড পাওয়ার জন্য।


ফেসবুক মেসেজে লিংকটি পাঠাতে চাইলে এভাবে পাঠান : http://*iMahediHasan.*blogspot*.com তারপর বলুন * চিন্হটি উঠিয়ে দিতে।


অনুগ্রহপূবর্ক কেউ নতুনদের প্রতারিত করবেন না, এই টিউটোরিয়াল এই জন্য যে, যাতে আপনারা নিজেদেরকে হ্যাকারদের প্রতারনা থেকে রক্ষা করতে পারেন, ই-মেইলে আসা বিশ্বাসযোগ্য নয় এমন লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থেকে। আমি চাইনা কেউ এর ভুল প্রয়োগ করুক, তাই কিভাবে ফিশিং মেইল পাঠাতে হয়, এ নিয়ে আলোচনা করা থেকে বিরত থাকলাম। সবাই ভালো থাকবেন।

{ 3 comments... read them below or Comment }

  1. Screenshot dile valo hoito...
    amra notun so onk kisu e bujhi na...
    thanks.

    ReplyDelete
    Replies
    1. সময় পেলেই স্ক্রীনশট দেয়ার চেষ্ঠা করব।
      কমেন্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

      Delete
  2. Vai fb page take colour krbo kivabe???

    ReplyDelete

ই-মেইল সাবস্ক্রিপশন

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner

ক্যাটাগরীসমূহ

পৃষ্ঠাসমূহ

Creative Commons License
This work is licensed under a Creative Commons Attribution 3.0 Unported License.
Protected by Copyscape

ব্লগটি মোট পড়া হয়েছে

বাঙলা ব্লগ. Powered by Blogger.

- Copyright © মেহেদী হাসান-এর বাঙলা ব্লগ | আমার স্বাধীনতা -Metrominimalist- Powered by Blogger - Designed by Mahedi Hasan -